NoteShare

الحمد لله الذي لا إله إلا هو، أنجز وعدہ ونصر عبدہ وعبادہ، وھزم الأحزاب وحدہ، الحمد للہ الذی بنعمتہ تتم الصالحات۔ والصلوۃ والسلام علی نبینا المصطفٰی ورسولنا المجتبی،أسوتنا وقدوتنا فی البذل والتضحیۃ و النصر و التمکین، وعلی ألہ وصحبہ ومن تبعہ وسلک طریقہ وسنتہ بإحسان إلی یوم الدین، وبعد

বর্তমানে আফগানিস্তানের জমিনে বিশেষ করে কাবুলের রাজভবনে ইমারতে ইসলামিয়া’র মুজাহিদীনের বিজয়ের দৃশ্য পুরো দুনিয়ার মুসলিমদের হৃদয় শীতল করে দিয়েছে। আর জালিম ও জবরদখলকারী এবং তাদের অনুসারীদের অন্তর ভয়-ভীতি ও পরাজয়ের গ্লানি দ্বারা পূর্ণ করে দিয়েছে। আমরা এই বরকতময় বিজয়ে আমীরুল মু’মিনীন শাইখুল কুরআন ওয়াল হাদীস শাইখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা মাদ্দাজিল্লুহু, তাঁর রাজনৈতিক নায়েব মুহতারাম মোল্লা আব্দুল গনী বেরাদার মাদ্দাজিল্লুহু, এবং অন্য দুই নায়েব মুহতারাম খলিফা সিরাজুদ্দীন হক্কানী মাদ্দাজিল্লুহু, মুহতারাম মৌলভি মুহাম্মাদ ইয়াকুব মাদ্দাজিল্লুহু, এবং ইমারতে ইসলামিয়া’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং মুজাহিদীনকে আমাদের জামাআতের ও উপমহাদেশের ঈমানদারদের পক্ষ থেকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

নিশ্চয়ই এটি এমন এক খুশির সময় ও আনন্দের মুহুর্ত; যা দুর্দশাগ্রস্ত আফগান জাতির জন্য শান্তনার আশা দান করেছে এবং বিশ বছর ধরে অবিরাম চলতে থাকা আগ্রাসী হামলার পর শান্তি ও সুখের সুসংবাদ প্রদান করেছে। এটি এমন এক সুসংবাদ; যার জন্য উম্মতে মুসলিমা বিষাদগ্রস্ত হয়ে খেলাফতে উসমানিয়ার পতনের পর থেকে সুদীর্ঘ এক শতাব্দীকাল ধরে অপেক্ষমান ছিল। এমনিভাবে উম্মতে মুসলিমা বিগত দুই দশক পূর্বে আমীরুল মু’মিনীন মোল্লা মোহাম্মদ উমর (রহিমাহুল্লাহ) এর সময়ে এর আরেক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি দেখেছিলো।

নিশ্চয়ই আফগানিস্তানের আত্মমর্যাদাশীল মুসলিমগণ এ মোবারকবাদের যোগ্য। কেননা, তারা নিজেদের আত্মমর্যাদাবোধ ও জাতীয় আত্মসম্ভ্রমবোধ রক্ষার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, আফগানিস্তানের ভূমি কোন জবরদখলকারী বা আগ্রাসী শক্তির আবাসস্থল নয় বরং এটা ইসলামের ভূমি, মুসলিমদের আবাসস্থল। তাঁরা নিজেদের ইতিহাস পুনরাবৃত্ত করেছেন এবং দেখিয়ে দিয়েছেন যে, যেভাবে ইতিপূ্র্বে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের ও সোভিয়েত রাশিয়ার আগ্রাসনের মোকাবেলা করে তাদের নিজেদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করেছেন, ঠিক সেভাবেই ক্রুসেডার আমেরিকা আর ন্যাটো জোটকেও বিশ বছর ক্বিতাল ও জিহাদের মাধ্যমে পরাজিত করে তাড়িয়ে দিয়েছেন এবং পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন। পুরো আফগান জাতিই মোবারকবাদের উপযুক্ত। কেননা, কোন একটি ঘরও বাদ নেই, যেখান থেকে হয়তো কেউ শহীদ হয়েছেন অথবা কোন একজন বন্দী আছেন অথবা কোন ঘর থেকে কেউ একজন মা’যুর অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। (আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে আমাদের এবং পুরো মুসলিম জাতির পক্ষ থেকে দোজাহানে উত্তম প্রতিদান দান করুক!)

আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়া’র বিজয় সমস্ত মুসলিমদের জন্য এই বার্তা দেয় যে, জবরদখল ও আগ্রাসী শক্তির মোকাবেলা ও প্রতিরোধ করার জন্য জিহাদের পথ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। তাই তাদের বিরুদ্ধে ক্বিতালের ময়দানে অবতীর্ণ হতে হবে। দুনিয়ার আগ্রাসী শক্তির বাছাই করা গণতন্ত্র দ্বারা তাদের মোকবেলা করা যায় না।

এ বিজয়ে মুসলিমদের জন্য পয়গাম হলো- বিশ্ব আগ্রাসী শক্তির মোকাবেলায় নিজেদের সবকিছু বিসর্জন দেয়ার মাঝে কোন ধরনের কৃপণতা না করা এবং আত্মত্যাগের মহিমায় অটল-অবিচল থাকা।

এই বিজয়ে সকল মুসলিমদের জন্য এই নসীহত রয়েছে যে, পরিস্থিতি যতই নাজুক হোক, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য এবং জাতীয় মূল্যবোধ রক্ষার তাগিদে কোন মুসলিমের জন্য যুদ্ধের ময়দান থেকে পিছপা হওয়া সাজে না।

এ বিজয়ে মুসলিমদের জন্য আরো শিক্ষা রয়েছে যে, কোন এলাকার মুসলিমরা শুধুমাত্র তখনই অত্যাচারী, আগ্রাসী শক্তির মোকাবেলা করার জন্য যোগ্য হয়ে উঠে, যখন তারা জাতীয়ভাবে তাদের প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। এবং পুরো জাতি - মুজাহিদীন ও সাধারণ জনগণ - এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়।

এ বিজয়ে ইসলামী আন্দোলনকারীদের জন্যও শিক্ষা রয়েছে, বিশ্ব আগ্রাসী শক্তির সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কূটনৈতিক কৌশল সফল হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে যুদ্ধের দ্বারা নিজেদের শক্তির প্রমাণ না দেওয়া হয়।

এ বরকতময় আনন্দঘন মুহূর্তে পুরো দুনিয়ার মুসলিম জাতি; বিশেষ করে যারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দুশমনদের সাথে জিহাদ করছেন, তারাও ইমারতে ইসলামিয়া’র মুজাহিদীন এবং আফগান মুসলিম জাতির খুশির সাথে সমান অংশীদার।

আমরা দু‘আ করি- আল্লাহ তা’আলা যেভাবে ইমারতে ইসলামিয়াকে দুনিয়ার কথিত সুপার পাওয়ার আমেরিকা ও তার সাহায্যকারী ন্যাটো জোটভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে জিহাদের ময়দানে বিজয় আর সাহায্য দান করেছেন, ঠিক সেভাবে আল্লাহ তা’আলা নেতৃত্বের ময়দানেও ইমারতে ইসলামিয়াকে শরীয়তের হুকুম প্রতিষ্ঠা করা ও মাজলুম জনতার কল্যাণকামী হওয়ার তাওফিক দান করুন। প্রস্তুতি ও যোগ্যতায় দিক বিবেচনায় দুনিয়ার প্রতীক হিসাবে শক্তি ও সামর্থে উন্নতি দান করুন। আর এর থেকেও বড় কথা হল- আগামী দিনে উম্মতে মুসলিমার জন্য ঢাল বানিয়ে দিন এবং উম্মতে মুসলিমার কেন্দ্রস্থল বানিয়ে দিন। আমীন।

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين. وصلى الله تعالى على نبينا الأمين، أمين

**************

اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
اداره النصر براۓ نشر و اشاعت
القاعدہ برِّ صغیر

আপনাদের দোয়ায়
আন নাসর মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ

In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent