اداره الحکمہ
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al Hikmah Media
پیش کرتے ہیں
পরিবেশিত
Presents
بنگالی ترجمہ
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
عنوان:
শিরোনাম:
Titled:
بنگلہ دیشی فوج میں ہندوستانی اثر و رسوخ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভারতের প্রভাব
India's influence in Bangladesh army
از أوستاد مصباح البنگالی حفظہ اللہ
উস্তাদ মিসবাহ আল-বাঙ্গালী হাফিযাহুল্লাহ
By Ustad Misbah Al-bangali Hafizahullah
ڈون لوڈ كرين
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading
پی ڈی ایف
PDF (626 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৬২৬ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/fs3Sjsjb26gHMDS
https://cloud.degoo.com/share/j0VLLfGeTY5GGARBbWpwwA
https://www.mediafire.com/file/yj0prwmcicireai/BangladeshMilitaryUstadMisbahalhikmah.pdf/file
https://mega.nz/file/cpJTmKjI#Soo5IhdP4zvijA2HFECQTPfw-WHt4e38cHvCdlDiYt0
ورڈ
WORD (451 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৪৫১ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/7C3QBSHrZ6Qx7gM
https://cloud.degoo.com/share/LlREme6ZtAhN3E8IruaoUw
https://www.mediafire.com/file/ewj0n7h6ktw38wf/BangladeshMilitaryUstadMisbahalhikmah.docx/file
https://mega.nz/file/RkBTTCyJ#JnUwTmXGYZWSNcnSuIECLAxF-TF_l15YWui97N8H77c
غلاف
book cover [964 KB]
বুক কভার [৯৬৪ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/pqP2EWHrcnpjDZd
https://cloud.degoo.com/share/i_MPCg-VOyGcr5mEH1pj5Q
https://www.mediafire.com/view/3oasxdinz4r4ylb/BangladeshMilitaryUstadMisbahalhikmah.jpg/file
https://mega.nz/file/Q0YzkCRT#xbQWHL9hpPEx214ri4uHTX-imh79omQlrBFaejba7to
بينر
banner [917 KB]
ব্যানার [৯১৭ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/WqdDEoW8BF2XjRQ
https://cloud.degoo.com/share/f48kGbLKrBXq8xHrXzobtQ
https://www.mediafire.com/view/vv7bq9auindyi4o/BangladeshMilitaryUstadMisbahalhikmahBanner.jpg/file
https://mega.nz/file/JwJB3SzJ#Ri8gB0LMpWkWxaktuGlmM9FhZwxSH1lk29YASiC3DWc
***********
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভারতের প্রভাব
উস্তাদ মিসবাহ আল-বাঙ্গালী হাফিযাহুল্লাহ
প্রকাশকের কথা
সম্মানিত তাওহীদবাদী ভাই ও বোনেরা! মুহতারাম উস্তাদ মিসবাহ আল-বাঙ্গালী হাফিযাহুল্লাহ’র ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভারতের প্রভাব’ নামক গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা পুস্তিকা আকারে আপনাদের সম্মুখে বিদ্যমান। গুরুত্বপূর্ণ এই লেখায় লেখক বাংলাদেশের সামরিক সেক্টরে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতের নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর্দা উন্মোচিত করেছেন। নিঃসন্দেহে এই প্রবন্ধে পাঠক ও পাঠিকাগণ নিজেদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনাও পাবেন ইনশা আল্লাহ।
এই লেখাটির উর্দু সংস্করণ ইতিপূর্বে ‘জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ শাখা’র অফিসিয়াল উর্দু ম্যাগাজিন ‘নাওয়ায়ে গাযওয়ায়ে হিন্দ’ এর গত ফেব্রুয়ারি - এপ্রিল ২০২১ ইংরেজি সংখ্যায় “বাংলাদেশি ফৌজ মে হিন্দুস্তানি আছর ও রুসুখ” (بنگلہ دیشی فوج میں ہندوستانی اثر و رسوخ) শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল। অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই লেখাটির মূল বাংলা সংস্করণটি লেখক আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন, যা এখন পুস্তিকা আকারে আপনাদের সম্মুখে বিদ্যমান। আলহামদু লিল্লাহ ছুম্মা আলহামদু লিল্লাহ।
আম-খাস সকল মুসলিম ভাইদের ও বোনদের জন্য এই রিসালাহটি ইনশাআল্লাহ উপকারী হবে। সম্মানিত পাঠকদের কাছে নিবেদন হল- লেখাটি গভীরভাবে বারবার পড়বেন, এবং নিজের করণীয় সম্পর্কে সচেতন হবেন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ এই রচনাটি কবুল ও মাকবুল করুন! এর ফায়েদা ব্যাপক করুন! আমীন।
আবু যুবাইদা
১৬ই রবিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি
২২শে নভেম্বর, ২০২১ ইংরেজি
ভুমিকাঃ
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে কোন সম্পর্ক –হোক তা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা সামরিক– বুঝতে হলে ইতিহাস পর্যালোচনা করতে হবে। কারণ প্রায় সকল বড় বড় ঘটনাগুলোর সূত্র পেছনের অনেক ইতিহাসের সাথে যুক্ত। তাই আলোচনার শুরু করবো ইতিহাস থেকে দুটি উদ্ধৃতি এনে।
প্রথম উদ্ধৃতিটি হল প্রাচীণ ভারতবর্ষের সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধাণ অমাত্য কৌটিল্যের, যিনি চানক্য নামে সুপরিচিত। তার একটি শিক্ষা হল –
“ক্ষমতা অর্জনের লোভ ও অন্য দেশ বিজয়ের আকাঙ্ক্ষা কখনও মন থেকে মুছে ফেল না। সব সীমান্তবর্তী রাজাকে শত্রু বলে মনে করবে।”
হাজার বছর পর আজও এই মূলনীতির উপরই ভারত কাজ করে যাচ্ছে। এটি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” আজও অক্ষরে অক্ষরে এই মূলনীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে।
দ্বিতীয়টি উদ্ধৃতি -
“ভারত অবশ্যম্ভাবীভাবে তার আধিপত্য বিস্তার করবে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত হবে সব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র। ছোট জাতিরাষ্ট্রগুলোর সর্বনাশ ঘটবে। তারা সাংস্কৃতিকভাবে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন থাকবে না।”
এটা ছিল ভারতের স্বাধীনতার অন্যতম স্তম্ভ পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর বহুল প্রচলিত ‘ইন্ডিয়া ডকট্রিন’, যা এখন নেহেরু ডকট্রিন নামেও পরিচিত। মূলত এর উদ্ভব ‘অখন্ড ভারত’-এর ধারণা থেকেই। একে একে কাশ্মীর, হায়দ্রাবাদ, সিকিম নেপাল, শ্রীলংকার তামিল টাইগার এবং ১৯৭১ এর যুদ্ধ এবং তার পর থেকে বাংলাদেশে অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ইন্ডিয়া ডকট্রিন তার স্বরূপ উন্মোচন করছে সবার সামনে।
আমাদের আজকের আলোচনা বিশেষভাবে শুধুমাত্র সামরিক প্রভাবে মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে ইনশাআল্লাহ। যদিও অনেক সময়েই সমরনীতি এবং রাজনীতি একে অপরের সীমানা অতিক্রম করে।
৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার আগেই ভারত বাংলাদেশকে গোপন সাত দফা চুক্তিতে আবদ্ধ করে, যার একটি আমাদের আজকের আলোচনার জন্য প্রাসঙ্গিক। তা হচ্ছে – ‘বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সামরিক বাহিনী থাকতে পারবেনা।’
তাহলে একটি সঙ্গত প্রশ্ন আমাদের সামনে আসে, যে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সহায়তা করলো কেন তারাই আবার সেই দেশটির সেনাবাহিনীর ব্যাপারে এত উদ্বিগ্ন? সারকথা এই যে - ভারত কখনই চায়নি বাংলাদেশের একটি নিজস্ব প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী থাকুক। শুরু থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত এটিই ভারতের অবস্থান।
এই ইতিহাসটুকু জানার পরে এবার আমরা বাস্তবতার দিকে তাকাতে পারি ইনশা আল্লাহ্।
১। দেশ স্বাধীন হবার পূর্বেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থানঃ
যে কোন স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার জন্য দরকার হয় তার নিজস্ব সেনাবাহিনী। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পুর্বেই ভারত বাংলাদেশকে ২৫ বছর মেয়াদী দাসত্বের চুক্তি করতে বাধ্য করে। যার একটি শর্ত ছিলো, বাংলাদেশের কোন নিজস্ব সেনাবাহিনী থাকতে পারবে না। প্যারামিলিশিয়া বাহিনী থাকতে পারবে যার কিছু হবে অফিসার, কিছু হবে মুক্তিবাহিনীর মধ্যে থেকে ভারতের পছন্দমত নেতা এবং কিছু হবে খোদ ভারতীয় বাহিনীর অফিসার! সুতরাং ইতিহাসের এই কয়েকটি লাইন আমদের জন্য ভারত বাংলাদেশের সামরিক রসায়ন বুঝার জন্য যথেষ্ট!
২। জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালাঃ
প্রতিটি স্বাধীন দেশের একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের কখনই একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা নীতিমালা ছিলোনা। বলা যায় থাকতে দেয়া হয়নি। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে সরকার ছেলে ভুলানো একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালা - ২০১৮ খসড়া প্রণয়ন করে। এ ব্যাপারে একসময়ে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়নের প্রধান অবঃ জেনারেল হোসেন সারওয়ার্দি জানান –
“ভারত সবসময়ে চাইত তাদের মনমত প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন করতে এবং এ ব্যাপারে তারা চাপ প্রয়োগ করত।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের বাৎসরিক সামরিক মহড়ায় [ওয়ার গেইম] কল্পিত শত্রু হিসেবে ভারতের সীমানার ওপার দেখান হত। যুদ্ধখেলা সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এতে তাদের যুদ্ধের মতবাদ (ডকট্রিন) এবং কৌশল শেখানো হয়। যুদ্ধ খেলায় শত্রুর নাম প্রকাশ করা হয় না। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্তের অবস্থান এবং সামরিক বাহিনীর সংখ্যার (ফোর্স লেভেল) ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় প্রতিপক্ষ কে। ১ দিকে সাগর এবং ৩ দিকে ভারতের অবস্থান এবং মুলত অন্যান্য প্রতিবেশীর সাথে ভারতের অবস্থা সব মিলিয়েই এই ওয়ার গেইম পরিকল্পনা করা হয়। এ বিষয় নিয়ে ভারত দীর্ঘ দিন থেকে আপত্তি জানিয়ে আসছে, যেন বাংলাদেশের মিলিটারি ডকট্রিন থেকে ভারতকে কল্পিত শত্রু হিসেবে না দেখানো হয়।
২০১২ সালে ভারতের আপত্তির প্রেক্ষিতে এই ডকট্রিনে পরিবর্তন আনা হয় এবং ২০১৪ সালের ওয়ার গেইম এ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তকে ‘শত্রু’ বিবেচনা করা হয়নি। এ ব্যাপারে
The New Indian Express ১০, ফেব্রুয়ারি ২০১৪ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে - India not ‘Enemy’ in Bangla Wargames[1]
৩। মিলিটারি একাডমির পাসিং আউট প্যারেডে ভারতের সেনাপ্রধানঃ
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিজয় কুমার সিং এবং ২০১৫ সালে জেনারেল দলবীর সিং প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি’তে ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেছিলেন। বিএমএ’র এই অনুষ্ঠানে সাধারণত বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বা বাংলাদেশ সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর প্রধানরা স্যালুট নিয়ে থাকেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো বিদেশীকে স্যালুট গ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি। কোনো দেশের অমুসলিম সেনাপ্রধানের প্রশ্নই ওঠে না, সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানও এই সম্মান পাননি।
৪। ভারত বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তিঃ
২০১৭ সালে বাংলাদেশ চীন থেকে ২ টি সাবমেরিন কিনে। এটি ভারত ভালো চোখে দেখেনি। তারা এই ক্রয় প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার চেস্টাও করেছিল। এর প্রেক্ষিতে ভারত বাংলাদেশের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করে। স্বভাবতই এই চুক্তির ব্যাপারে কেউ তেমন কিছু জানতে পারেনা। এ ব্যাপারে ভারতীয় সাংবাদিক এবং বিশ্লেষক সুবীর ভৌমিকের মতে –
“সামরিক ক্ষেত্রে আরো বাড়তি যোগাযোগ, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি-এসব ব্যাপারে দু'দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করা সেটা একটা ব্যাপার। দু'নম্বর হচ্ছে, ভারত চাইছে যে ভারতের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র কেনা হোক...বর্তমানে বাংলাদেশে বেশিরভাগ অস্ত্র চীন থেকে কেনে - ভারত সেই জায়গাতে ঢুকতে চাইছে। আর তিন নম্বর যেটা সেটা হচ্ছে, কিছু কিছু সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে যৌথ অভিযান বা সম্মিলিত অভিযান চালানো - সেরকম একটা সুযোগ তৈরি করার একটা ব্যাপার এ চুক্তির মধ্যে ভারত রাখতে চাইছে”, বলছিলেন মি. ভৌমিক।[2]
বিশ্লেষকদের মতে, এই যৌথ অভিযান বিষয়টি পরিষ্কার নয়, কোন প্রেক্ষিতে কোন অবস্থায় এই যৌথ অভিযান অনুমতি দেয়া হবে, কতদূর অনুমতি থাকবে, কার অধীনে হবে–কোন কিছুই স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে সামরিক অভিযান চালানো, গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ত্রানের নামে হেলিকপ্টারে করে নজরদারি করা এগুলো কোনটাই ভারতের নতুন কাজ নয়! ভারতের অতীত রেকর্ড বিবেচনায় যৌথ অভিযান শব্দটি যথেষ্ট সন্দেহজনক!
হাইকমিশন সূত্রের আরো খবর–প্রতিরক্ষা খাতে যে ৫০ কোটি ডলার ভারত ঋণ দিচ্ছে, তার পুরোটাই যে ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে খরচ করতে হবে তা নয়। চুক্তির একটা অংশ (প্রায় ৩৫ শতাংশ) তৃতীয় দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনে বাংলাদেশ খরচ করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ভারতের অনুমতি নিতে হবে।[3]
অর্থাৎ বাংলাদেশ কোথা থেকে কি অস্ত্র কিনবে কত অস্ত্র কিনবে সব কিছু তাদের জানা চাই!
৫। বিডিআর হত্যাকাণ্ডঃ
২০০১ সালে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদুয়া এবং রৌমারিতে আগ্রাসী অভিযান চালায়। এই অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। উল্লেখ্য যে, ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের মত প্রশিক্ষিত নয়। কারণ বাংলাদেশের বর্ডারগার্ড (সেই সময়ের বাংলাদেশ রাইফেলস) পরিচালিত হয় সেনাবাহিনী দ্বারা এবং এদের প্রশিক্ষণ সেনাবাহিনীর মতই। ২০০১ সালের এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আওয়ামী সরকারের সাথে যোগসাজশে ভারত ২০০৯ সালে বিডিআর সদরদপ্তরে ৫৭ জন আর্মি অফিসারকে হত্যা করে!
উল্লেখ্য যে, আগ্রাসী ভারতীয় বাহিনীকে ঠেকিয়ে দেয়া তৎকালীন বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানকে ভারতের চাপে এক সরকার পদচ্যুত করে, আরেক সরকার চাকুরিচ্যুত করে।
৭। বিজিবিকে প্রশিক্ষণ দেবে বিএসএফঃ
“সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) প্রশিক্ষণ দেবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। ২০১৪ সালে ভারতে শেষ হওয়া উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজধানীর পিলখানায় নিজের দপ্তরে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বিজিবিকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তাব করেছিল বিএসএফ। বিজিবি সেটিতে সম্মত হয়েছে[4]।
৬। বাংলাদেশের কম্যান্ডো বাহিনীর প্রশিক্ষণ সিলেবাস চুরি করেছে ভারতঃ
বাংলাদেশ সেনাবিহিনির প্যারা কমান্ডো বাহিনীর প্রধান অবঃ লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজর রহমান জানান, উদ্ভাস চাকমা নামক এক জুনিয়র অফিসার ভারতের প্ররোচনায় বাংলাদেশের কমান্ডো বাহিনীর প্রশিক্ষণ দস্তাবেজ চুরি করে ভারতে পালিয়ে যায়। ভারতের সেনাবাহিনী তাকে ভারতের প্যারা এসএফ এর কর্নেল মর্যাদা এবং উপদেষ্টার লোভ দেখিয়ে এই কাজ করিয়ে নেয়।
৭। মংলা পোর্টে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজঃ
সাংবাধিক, লেখক, কলামিস্ট, বিশ্লেষক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ম বাচের অফিসার ক্যাপ্টেন অবঃ শহীদ খান জানাচ্ছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে মংলা বন্দরে ভারতের ২ টি যুদ্ধ জাহাজ অবস্থান করছে। কোন একটি দেশের যুদ্ধজাহাজ এভাবে আরেকটি দেশে কোন সফরসূচী ব্যতিত প্রবেশ করতে পারেনা। আর বিশেষ কোন সফরসূচী বা প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আসলেও তাদের সকল কর্মকাণ্ড, অনুশীলন, মহড়া সফরসূচি অনুযায়ী হয়ে থাকে। কিন্তু এভাবে কোন সফরসূচী ছাড়া ভারতের দুটি যুদ্ধজাহাজের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থানের ব্যাপারে ক্যাপ্টেন অবঃ শহীদ খান জানাচ্ছেন –
“মুলত এভাবে তারা বাংলাদেশ বিশেষভাবে এর নদীপথ, স্ট্রাটেজিক পয়েন্টস, অ্যাডভান্টেজ পয়েন্টস, জেটি/ঘাট, ডেপ্লয়মেন্ট এগুলো রেকি করছে। এসকল কিছুই কোন স্বাধীন রাস্ট্রের গোপন সামরিক তথ্য যা আজ ভারতের হাতে চলে যাচ্ছে।”
পরিশিষ্টঃ
এখানে শধুমাত্র হাতে গোনা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে আসা হয়েছে। এর বাইরে ভারতের আগ্রাসন এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার ব্যাপারে ভারতের আরো অসংখ্য ঘটনা পর্দার আড়ালেই রয়ে যায়। বস্তুত ভারতের একান্ত দাস হাসিনার সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসন বর্তমানে এক ভয়ঙ্কর নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। দেশের অর্থনীতি, মিডিয়া, প্রশাসনে ইতিমধ্যে শক্তভাবে হিন্দুস্তানী কবজা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর নেতাদেরকের নারী, অর্থ এবং পদের লোভ দেখিয়ে কিনে নেয়া হয়েছে আগেই। খোদ সেনাবাহিনী প্রধান হল ভারতের একনিষ্ঠ এক দাস। তবে ভারতের আশঙ্কা সেনাবাহিনীর মধ্যম র্যাংকের অফিসার এবং সাধারণ সৈনিকরা এখনো তাদের আধিপত্যের পথে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে। ১৯৭৫ সালে এরাই ভারতের একান্ত দাস মুজিবকে হত্যা করে, ভারতের পাশার দান উল্টে দিয়েছিল। এজন্যই ভারত নানা কৌশলে প্রশাসনের মতো বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকেও সম্পূর্ণভাবে নিজের কবজায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
[2] https://www.bbc.com/bengali/news-39291351
*************
اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
اداره الحکمہ براۓ نشر و اشاعت
القاعدہ برِّ صغیر
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent