مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
يا علماء الإسلام الحقوا بالقافلة
بقلم- عاصم المغربي
হে ইসলামের আলেমগণ!
কাফেলায় শরীক হোন!
আসিম আল-মাগরিবি
O Scholars of Islam!
Join the caravan
- Asim al-Maghribi
হে ইসলামের আলেমগণ!
কাফেলায় শরীক হোন!
মূল: আসিম আল-মাগরিবি
অনুবাদ: আন-নাসর অনুবাদ টিম
এই হেদায়াতপ্রাপ্ত উম্মাহর প্রতি আল্লাহর একটি বিশেষ রহমত হলো, তিনি প্রত্যেক যুগে ও প্রত্যেক স্থানে উম্মাহর জন্য এমন একদল উলামা ও মুজাহিদ প্রস্তুত করে দিয়েছেন, যারা উম্মাহর প্রতিরক্ষা করে এবং তাদের গতিপথ ঠিক রাখে। তারা তাত্ত্বিক ও বাস্তবিক– উভয়দিক থেকে এই দীনকে সীমালঙ্ঘনকারীদের বিকৃতি, বাতিলপন্থিদের মিথ্যাচার এবং জাহেলদের অপপ্রচার থেকে হেফাযত করেন। নিঃসন্দেহে এ দুটি ভিত্তি ব্যতীত ইসলামের উত্থান ও প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। একটি হল ইলমের ভিত্তি, তথা পথপ্রদর্শনকারী কিতাব। আরেকটি হল জিহাদের ভিত্তি, তথা সাহায্যকারী তরবারি।
কিতাব ও লৌহের মাধ্যমে এবং উলামা ও মুজাহিদগণের মাধ্যমে- হক ও দীন প্রতিষ্ঠিত হয় ও টিকে থাকে। এ দুই ভিত্তির কোনো একটি ভিত্তিতে সমস্যা হলে দীনের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। বিচ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে এবং অগ্রযাত্রা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বিশৃঙ্খলভাবে চলতে থাকে। একপর্যায়ে সীমালঙ্ঘন, বাড়াবাড়ি ও শৈথিল্যের গোলক-ধাঁধা থেকে আর বের হতে পারে না।
আল্লাহর বিশেষ রহমত এবং তাঁর উদারতা ও বদন্যতার খাস নূরে তিনি দীনের ফরযগুলোর
মাধ্যমে, বিশেষ করে এ যুগের অন্যতম ফরয বিধান বিশ্বজগতের মালিকের পথে জিহাদের মাধ্যমে- এই কল্যাণময় উম্মাহর জন্য পারস্পরিক সম্প্রীতি, ভালোবাসা, ঐক্য ও একতার উপকরণগুলো ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাই তারা হল এক জাতি। যাদের ব্যাপারে আল্লাহ শরয়ীভাবে ও সৃষ্টিগতভাবে চেয়েছেন যে, তারা এক দেহের ন্যায় হবে। তারা নিজেরা এটা কামনা করুক অথবা না করুক এবং তাদের ইচ্ছা হোক কিংবা না হোক। এটাই তাদের জন্য লিখিত অবধারিত পরিণতি। এ কারণে একমাত্র মহান আল্লাহকে এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আঁকড়ে ধরা ব্যতীত, মুক্তির ও নাজাতের কোনো উপায় নেই।
অতঃপর, শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ঐক্য ও সম্মেলন ঘটবে আল্লাহওয়ালা আলেম এবং খাঁটি মুজাহিদগণের নেতৃত্বে। তাই সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি এই উম্মাহকে অফুরন্ত কল্যাণ ও বরকত দানের মাধ্যমে অনুগ্রহ করেছেন। তাদেরকে শ্রেষ্ঠ উম্মাহ বানিয়েছেন- সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজে নিষেধ ও রবের পথে জিহাদের মাধ্যমে।
বর্তমানের প্রত্যেক খাঁটি মুসলিমের নিকট একটি বিশেষ আনন্দের বিষয় যে, তিনি নিজ চোখে দেখে যাবেন, আল্লাহ কীভাবে ভূপৃষ্ঠকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন। কীভাবে ঈমানকে পুরোনো হয়ে যাওয়ার পর নবায়ন করেন এবং কীভাবে মানুষ দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করে। তাই হে আল্লাহ, প্রশংসা সবই আপনার, আপনার সৃষ্টির সংখ্যা পরিমাণ, আপনার নিজের সন্তুষ্টি পরিমাণ, আপনার আরশের ওজন পরিমাণ এবং আপনার বাণীসমূহের বিস্তৃতি পরিমাণ।
হে সর্বস্থানের মুসলিমগণ!
নিশ্চয়ই যে জিহাদ হক আলেমগণ পরিচালনা করেন না, তা একটি বন্ধ্যা জিহাদ। এর থেকে কোনো ফলাফল আসবে না। আর এ যুগে এই উম্মাহর প্রতি আল্লাহর বড় বড় নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম একটি নেয়ামত হলো, তিনি এ যুগে আযহারি শায়খ মুজাহিদ উমর আব্দুর রহমানকে (আল্লাহ তাঁকে কবুল করুন!) এবং আরেক আযহারি শায়খ ফকীহ আব্দুল্লাহ আযযামকে (আল্লাহ তাঁকেও কবুল করুন) পাঠিয়েছেন। অতঃপর তাঁরা এ যুগে জিহাদী কাফেলা প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা হিজরত করেছেন, আল্লাহর পথে নিজেদের জান, মাল, পরিবার ও সন্তান দিয়ে জিহাদ করেছেন। নিজেদের জাতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং তাদের মাঝে আত্মমর্যাদার চেতনা জাগ্রত করার জন্য- এই দুর্গম পথের পতাকা বহন করেছেন।
সেদিন অদম্য সাহসী ফিলিস্তিনি ইমাম আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ একথা বলে মানুষের মাঝে জিহাদের ঘোষণা দিয়েছিলেন যে: {الحقوا بالقافلة} “আপনারা কাফেলার অন্তর্ভুক্ত হোন।” উম্মাহর সামনে ফাতওয়া দিয়েছেন যে, স্পেন, ফিলিস্তিন ও মুসলিমদের প্রতি বিঘত হারানো ভূমিকে পুনরুদ্ধার করতে মুসলিমদের উপর জিহাদ করা ফরযে আইন। ফলে দিকে দিকে মুসলিম সীমান্তগুলোতে ঈমানের হাওয়া বয়ে চলে। উম্মাহ তার কলিজার টুকরোগুলোকে ঠেলে দেয় হককে উঁচু করা ও দীনকে সাহায্য করার নিমিত্তে নিজেদের রক্তগুলো ঢেলে দেওয়ার জন্য।
আজ পর্যন্ত উম্মাহ সেই হকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতিটি ফ্রন্টে জিহাদী কাফেলায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। আর আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম ও তাঁদের অনুসারীদের স্বাভাবিক নীতির ন্যায় যুবক, দরিদ্র ও দুর্বল লোকেরাই সাড়া প্রদানকারীদের অগ্রভাগে ছিল। তারপর অব্যাহতভাবে আল্লাহর সেই সকল বান্দা অন্তর্ভুক্ত হতে লাগলেন, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ কল্যাণ চাইলেন। এভাবে কল্যাণ ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রসার লাভ করলো। ফলে একের পর এক ঈমানদার দলের ও মুসলিম কাফেলাসমূহের সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং এর প্রতি আস্থাশীল হওয়াই এই দাওয়াত বিজয় লাভ করার এবং এর পথ-মত ও নীতি-আদর্শ সুউচ্চ, সুস্থির ও অবিচল হওয়ার দলীল হয়ে গেল। আজ আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইসলামী মাগরিব, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক ও অন্যান্য ইসলামী রণাঙ্গনের জিহাদী কাফেলাসমূহে আল্লাহর সাহায্যে উলামা, ফুকাহা, ইমাম ও দাঈদেরকে দেখতে পাচ্ছি জিহাদী কাফেলায় যোগ দিচ্ছেন। শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ যে পথের দাওয়াত দিয়েছিলেন, সে পথের দাওয়াত দিচ্ছেন। এই দাওয়াত- জিহাদ ফরযে আইন হওয়া এবং দীনের সাহায্যের জন্য ইসলামী রণাঙ্গনগুলোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়ার আবশ্যকীয়তার দাওয়াত।
বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা সংস্থা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও উলামা সংগঠনগুলো তাদের জিহাদী সাহিত্যের বাণীগুলোতে এবং বয়ান ও ভাষণগুলোতে সেই জিহাদী ইলমী ঐতিহ্যগুলো ব্যবহার করছেন, যেগুলোকে একসময় উগ্রপন্থা, সীমালঙ্ঘন ও সন্ত্রাসের তকমা দেওয়া হতো। তখন জনবসতির এমন অল্পসংখ্যক লোকই এর কথা বলতো, যাদের সংখ্যা ছিল নূহ আলাইহিস সালামের নৌকার আরোহীদের ন্যায়।
আমরা দেখতে পেলাম, ‘তুফানুল আকসা’ অপারেশনের পর শত শত উলামার বয়ান বের হচ্ছে- জিহাদ ফরয হওয়ার ব্যাপারে এবং মুসলিমদের উপরে সর্বাত্মকভাবে বের হয়ে পড়া আবশ্যক হওয়ার ব্যাপারে। আমরা এর মধ্য থেকে বিশেষভাবে স্মরণ করছি তিউনিসিয়ার যায়তুনাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আলেমগণ, পশ্চিম কাতার ও মৌরতানিয়ার ফকীহগণ এবং পাকিস্তান উপমহাদেশ ও পূর্ব এশিয়ার আলেমগণ যে ফাতওয়াগুলো জারি করেছেন।
এমনিভাবে সম্মানিত আল-আযহারের বয়ান থেকেও এর সমর্থন পাচ্ছি। তাঁর বয়ানে এই জিহাদী কাফেলার দাওয়াতকে সংক্ষেপে ব্যক্ত করা হয়েছে। আমাদের এই কাফেলা দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের তাগুতদের মোকাবেলা করার কাজ করে আসছে।
সম্মানিত আল-আযহার মুসলিম উম্মাহকে উৎসাহিত করেছে, তাঁরা যেন পশ্চিমা অহঙ্কারী ইউরোপ-আমেরিকার সাথে সম্পর্কের বিষয়টিকে মূল থেকে পুনর্বিবেচনা করে। পশ্চিমাদের মোকাবেলা করেন, তাদের আক্রমণ প্রতিহত করেন এবং সোমালিয়া ও আফগানে মুজাহিদগণের লড়াইয়ের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। আল-আযহারের সর্বশেষ বিবৃতিতে যা এসেছে, তার কিয়দাংশ এমন:
“অধিকৃত ভূমির বসতি স্থাপনকারী জায়নবাদী ইহুদীদের ক্ষেত্রে ‘বেসামরিক নাগরিক’ বিশেষণটি ব্যবহার করা যায় না। বরং তারা হলো ভূমি দস্যু, অধিকার লুণ্ঠনকারী, নবীদের পথ থেকে বিচ্যুত এবং আল-কুদস শহরের ঐতিহাসিক পবিত্র স্থানগুলোর উপর সীমালঙ্ঘনকারী। অথচ এখানে আছে ইসলামী ও খ্রিস্টীয় ঐতিহ্যসমূহ….।
আরব ও ইসলামী জনগণের উচিত- তাদের ফিলিস্তিনি ভাইদেরকে একা ছেড়ে না দেওয়া। তাদেরকে নিজেদের পরিপূর্ণ সাধ্যানুযায়ী সমর্থন ও সাহায্য করা। প্রত্যেকেই নিজ নিজ সামর্থ্য, সুযোগ ও ক্ষমতা অনুযায়ী সাহায্য করবে। আরবী ও ইসলামী জাতির উচিত, পশ্চিমা দাম্ভিক ইউরোপ-আমেরিকার উপর নির্ভরতাকে মূল থেকে পুনর্বিবেচনা করা। আর ফিলিস্তিনিদের উচিত- একথা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করা যে, পশ্চিমারা তাদের সকল সামরিক শক্তি ও ধ্বংসাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ যখন আপনাদের মোকাবেলায় আসে কিংবা আপনারা তাদের মোকাবেলায় বের হন, তখন তারা দুর্বল ও ভীত। কারণ তারা নিজ ভূমির বাইরে অন্য ভূমিতে যুদ্ধ করছে। তারা এমন বাসি আকীদা ও আদর্শের জন্য লড়াই করছে, কালের পরিক্রমা যার চিহ্নও মুছে দিয়েছে। এমনকি তাদের আকীদা ও আদর্শ- এক হাস্যকর ও ক্রন্দনোদ্রেককর বিষয়ে পরিণত করেছে। আপনাদের উচিত আল্লাহকে এবং তাঁর রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আঁকড়ে ধরা এবং এই অমানবিক, বর্বর আক্রমণগুলোর সামনে নিজেদের অবিচলতা প্রদর্শনের মাধ্যমে মোকাবেলা করা।
আর সোমালিয়া ও আফগানিস্তানের মানদণ্ড অনুযায়ী, আপনাদের এবং পশ্চিমাদের মধ্যকার শক্তির পার্থক্য খুব বেশি নয়। মুসলিম উম্মাহর উচিত, আল্লাহ তাদেরকে যে শক্তি, সম্পদ ও সরঞ্জাম দান করেছেন এবং যে পরিমাণ সৈন্য ও রসদই তাদের সামর্থ্যে আছে, তা বিনিয়োগ করা। ফিলিস্তিন ও তার মাজলুম জনগণের পাশে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানো। তারা এমন শত্রুর মোকাবেলা করছে; যারা সকল প্রকার বিবেক-বুদ্ধি ও অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছে। মানবতা, নৈতিকতা ও নবী-রাসূলদের শিক্ষার সবকিছুকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছে।...”
ফিলিস্তিন ও মুসলিমদের প্রতিটি রণাঙ্গনের জিহাদী কাফেলায় যুক্ত হওয়া এই হেদায়াতপ্রাপ্ত উম্মাহর ভাগ্য। এ কারণে যাদেরকেই আল্লাহ এই কাফেলায় যুক্ত হওয়ার তাওফীক দান করেছেন, তাদের উচিত নিজ জাতিকে হিকমাহ ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দেওয়া। নিজেদের নামাযে অন্যদের জন্য দোয়া করা, যেন আল্লাহ তাদেরকে তাওফীক, হিদায়াত ও যোগ্যতা দান করেন।
আর তাদেরকে অবশ্যই সে সকল গুণে গুণান্বিত হতে হবে, যেগুলো আল্লাহ ভালোবাসেন। তাই যে এ কাফেলার প্রতি এক বিঘত পরিমাণ নিকটবর্তী হবে, আমরা তার প্রতি এক হাত নিকটবর্তী হবো। আর যে এর প্রতি এক হাত নিকটবর্তী হবে, আমরা তার প্রতি এক দেহ পরিমাণ নিকটবর্তী হবো। আর যে আমাদের দিকে হেঁটে হেঁটে আসবে, আমরা তার দিকে দৌঁড়ে যাবো।
আল্লাহ তাআলা যুদ্ধমন্ত্রী, খাদিমুল মুজাহিদীন শহীদ আবু হামযাহ আল মুহাজিরের প্রতি রহম করুন। তিনি কয়েক বছর পূর্বে তাঁর বিখ্যাত ‘সর্বসম্মত কথার দিকে আসুন’ শীর্ষক ভাষণে উম্মাহর উলামায়ে কেরামকে আহ্বান করে বলেছিলেন:
“হে সম্মানিত আলেমগণ! হে মহান নেতৃবৃন্দ!
আপনারা আমার থেকে এটা ভালোভাবে জেনে রাখুন: আমরা আসবোই। আমরা বিজয়ী হবোই। হয়তো সেটা খুব নিকটেই এবং হতে পারে আপনাদের অনেকের জীবদ্দশায়ই। সেদিন আমরা কখনও আপনাদের থেকে সম্পর্ক মুক্ত হবো না। কারণ আপনারা আমাদের পিতৃ সমতূল্য, আপনারা আমাদের ভাই। আপনারা আমাদের জাতির গৌরব, আমাদের দীনের সম্মান এবং আমাদের নবীর ওয়ারিশ।
তাই আপনারা আমাদেরকে ছেড়ে দিলেও, আমরা আপনাদেরকে ছাড়বো না। আপনারা আমাদের থেকে দূরে সরে গেলেও, আমরা আপনাদের সঙ্গেই লেগে থাকবো। আপনাদের আঁচল জড়িয়ে রাখবো। কারণ আপনারাই নূর ও হেদায়াতের উৎস। যদি আপনাদের কেউ প্রবৃত্তির কারণে কিংবা সংশয়ের কারণে বিভ্রান্ত হয়, তবু আমরা তাদের থেকে নিজেদের জবানকে নিবৃত্ত করবো। তাদের সম্মানের প্রহরা দিবো। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কথা ও কাজের মাধ্যমে অন্যদেরকে ফিতনায় না ফেলে।
আমাদের সম্মানিত আলেমগণ!
আমরা খারেজী নই। আমরা বিদআতী কিংবা তার প্রতি আহ্বানকারী নই। বরং আমরা হলাম এমন একদল পুরুষ, যারা দেখতে পাচ্ছি যে, দীনতা ও লাঞ্ছনা প্রবল স্রোতের ন্যায় নেমে আসছে উম্মতকে অজ্ঞতার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করার জন্য। তখন আমরা নিজেদের হাড় ও মস্তকগুলোর মাধ্যমে এমন দেয়াল তৈরি করলাম, যা আপনাদের দীন ও সম্মানের প্রতিরক্ষা করে। আর আজ সে দেয়াল সুউচ্চ, মজবুত এবং কুফরের ঢেউয়ের জন্য দুর্ভেদ্য হয়ে গেছে। যখনই কোনো ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে, অমনিতে তা তার দেয়ালে এসে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।
তারপর আমরা ইসলামের গৌরবময় বৃক্ষের দিকে মনোনিবেশ করলাম এবং আমাদের রক্তের মাধ্যমে তাকে সিঞ্চিত করতে লাগলাম। অতঃপর যখন তা সতেজ হয়ে উঠলো, তার শাখা-প্রশাখা সুউচ্চ হয়ে গেল, তার ফলগুলো পরিপক্কতা পেল এবং তার শিকড়গুলো ভূমির গভীরে বদ্ধমূল হয়ে গেল, তখন আমরা আমাদের দেহের মাধ্যমে তার সিঁড়ি বানালাম। এবং আপনাদেরকে বললাম: আসুন, ফল পেকেছে। আপনারা তা তৃপ্তির সাথে মন ভরে খান।
অশুভ পাখিগুলো উপত্যকার আশপাশে ঘুর ঘুর করছে। আমরা আশঙ্কা করছি, তা বহু বছরের কষ্ট-ক্লেশ এবং বহু দুর্ভোগের তিক্ততাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করবে। আমরা ইরাকে আমাদের রক্তের যে প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছি, তা বিশাল। চার হাজার মুহাজির এবং তার চেয়ে বহুগুণ বেশি আনসার। এরা কল্যাণ ও বরকতের উজ্জলতম প্রতীক ছিলেন।
হে সম্মানিত আলেমগণ!
আজ আমরা আপনাদেরকে আহ্বান করছি- আপনারা আপনাদের আমানতের ভার বহন করুন। আমরা এখন এক টার্নিং পয়েন্টে আছি। তাই আপনারা আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না। আল্লাহর শপথ! আপনারা আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না। কারণ আপনাদেরকে আমাদের বড়ো প্রয়োজন।
আর আপনারা যদি আমাদের থেকে সম্পর্ক মুক্ত হয়ে যান, আর আমরা জনগণের মাঝে বিশৃঙ্খল হয়ে যাই, তবে আপনারা আমাদেরকে ভর্ৎসনা করতে পারবেন না। কারণ অন্বেষা তীব্র। আর আমাদেরকে চলতেই হবে, স্থলে পৌঁছতেই হবে। আমরা আল্লাহর সাহায্য ও পথনির্দেশ নিয়ে তা করবোই। কারণ আল্লাহর
সুদৃষ্টি এবং তাঁর সুরক্ষা ও পরিবেষ্টন কখনো আমাদেরকে বিভ্রান্ত হতে দিতে পারে না।
হে সম্মানিত আলেমগণ!
উদাহরণ ও আশা হিসাবে বলছি, ধরুন, শায়খুল আযহার দায়িত্ব নিলেন মুজাহিদগণকে তাযকিয়া (আত্মশুদ্ধি করা) করার ও ফাতওয়া দেওয়ার। আর হেজাযের মুফতী সাহেব থাকলেন মর্টারের দায়িত্বে। অপরদিকে শামের মুফতী সাহেব শুটিং টার্গেট ঠিক করলেন। তাহলে কি আপনারা মনে করেন, তখন আমাদের উম্মাহর অবস্থা আমাদের বর্তমান অবস্থার মতো হবে?
হে মহান গুণীজন!
নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের ভার নিতে হলে অবশ্যই বিশুদ্ধ চিন্তাধারা, বিশুদ্ধ ইলম ও পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন হয়। আর এটা আল্লাহ আলেমগণকে দিয়েছেন। আর একটি কল্যাণময়, গুণী, শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজের বৈশিষ্ট্য হলো, তার নেতৃত্ব দিবে আলেমগণ এবং মানুষ তাদের মূল্য বুঝবে।……”
পরিশেষে: আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করি, তিনি আমাদের জাতির জন্য এমন আদর্শ বিষয় চূড়ান্ত করে দিন, যা আমাদের জাতিকে কল্যাণ, পুণ্য ও উম্মাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদে ঐক্যবদ্ধ করবে। তিনি আমাদেরকে কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন। সমস্ত প্রশংসাই আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের রব।
***
روابط بي دي اب
PDF (796 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৭৯৬ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/he-islamer-alemgon/he%20alem.pdf
https://www.mediafire.com/file/bdqqj1iy5gyf18t/he+alem.pdf/file
https://upload08.files.wordpress.com/2023/11/he-alem.pdf
https://mega.nz/file/TZ0VkZ5A#IMC8qMz0OS1q9wp6pCa80-CdKiG5lQCCtdXH7Trtchw
روابط ورد
Word (2.61 MB)
ওয়ার্ড [২.৬১ মেগাবাইট]
https://archive.org/download/he-islamer-alemgon/he%20alem.docx
https://www.mediafire.com/file/i7fo17zlgrzs3yg/he+alem.docx/file
https://upload08.files.wordpress.com/2023/11/he-alem.docx
https://mega.nz/file/XI8gSbpS#htwAN2TtNC_iMYDt0H_847Tf5kp2Bfh62S8_q8oRSeE
روابط الغلاف- ١
book Banner [436 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৪৩৬ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/he-islamer-alemgon/he%20alem%20Cover.jpg
https://www.mediafire.com/file/hpju61xwyq7iwws/he+alem+Cover.jpg/file
https://upload08.files.wordpress.com/2023/11/he-alem-cover.jpg
https://mega.nz/file/iUsgXLJQ#tcKr8Lgfm-qt7hGUuCGzAfKcwRgt-L3JkuyxnN5D5Kg
روابط الغلاف- ٢
Banner [645 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৬৪৫ কিলোবাইট]
https://ia800504.us.archive.org/8/items/he-islamer-alemgon/he%20alem%20Banner.png
https://www.mediafire.com/file/wa9a0ur1nh6x2on/he+alem+Banner.png/file
https://upload08.files.wordpress.com/2023/11/he-alem-banner.png
https://mega.nz/file/KE9CUATK#beI38nQt_L4I_2ic2DdRVL8bLTVZctlqWWy-u3YA7RI
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent