مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা ডাবিং
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled
تعليق على رسالة (توجيهات عامة للعمل الجهادي) (1) للشيخ قاسم الريمي (رحمه الله).
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ-এর পুস্তিকা
“জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা”
-এর উপর ব্যাখ্যামূলক আলোচনা
(পর্ব-১)
শাইখ কাসিম আর-রীমি রহিমাহুল্লাহ
Commentary on The Message ‘General Guideline for Jihadi Action by Sheikh Ayman al-Zawahiri’ (May Allah protect him) (1)
by Sheikh Qassem Al-Rimi (May Allah have mercy on him)
للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
روابط الجودة الاصلية
FULL HD 1080 (349.4 MB)
মূল রেজুলেশন [৩৪৯.৪ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/HXS2p4aNodeMWc6
https://cloud.degoo.com/share/OGfS5h4JePM9TMj4MxZNdA
https://www.mediafire.com/file/40zqns4cj2swyk7/jihader+sadaron+diknirdesonar+bekkha-+1.mp4/file
https://mega.nz/file/gNdQmLxY#faKjQ-BOkG6pVbhmOkzAvMOveyTIaYoqrrEa2hPCbrw
روابط الجودة العالية
HQ 1080 (168 MB)
১০৮০ রেজুলেশন [১৬৮ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/6mZZRfMTf6erSAe
https://cloud.degoo.com/share/JDkseelKf9FoLXJphpCwow
https://www.mediafire.com/file/m9olecd9ymkge45/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-1+HQ.mp4/file
https://mega.nz/file/cdlmkLJB#7YHoTyYam7QblouuhiIZXGOUeBX5vfQ8PBYI06Yfs7k
روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (78.6 MB)
৭২০ রেজুলেশন [৭৮.৬ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/bjdiAESiaFLCjGB
https://cloud.degoo.com/share/HO1rsLO2rppEMXt3E3J3LQ
https://www.mediafire.com/file/nn5szqlqdew993r/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-1+MQ.mp4/file
https://mega.nz/file/NFdGyDxb#oOVdClNIrW2TtkWmiX_1kMWMEbpYqbq_9TuSDGPwHR4
روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (33.5 MB)
৩৬০ রেজুলেশন [৩৩.৫মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/XX4GSEkGwJwjRcy
https://cloud.degoo.com/share/ohOYCCtygM4308VemBi8ZQ
https://www.mediafire.com/file/3alfudb8v1gep7i/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-1+LQ.mp4/file
https://mega.nz/file/UREyiT5D#LwsyiW2sX8grNNPk3MYIDGYkW8u38Ofvv3Vy1ErOTWI
روابط جودة الجوال
Mobile Qoality (33.8 MB)
3GP রেজুলেশন [৩৩.৮ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/DbNN9diBbPZX9xm
https://cloud.degoo.com/share/K0kwvN3K9aPFkSV_JXzg8g
https://www.mediafire.com/file/fqogvsksqdle6ui/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-1.3gp/file
https://mega.nz/file/BQUyALJL#vsp4YKDX8vbmwQjSzUKIGYQO0p_KmXbPFbCTvREVs1o
روابط صوتية
MP3 (13.8 MB)
অডিও ডাউনলোড করুন [১৩.৮ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/BKtMEHEyQeRLgAJ
https://cloud.degoo.com/share/Rw6VwoLN7pijQwoL5BJG1A
https://www.mediafire.com/file/q2aatdrqk4s5w0f/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-1.mp3/file
https://mega.nz/file/cdlwXbQC#oED9i984U2AJFHoSAdHVOCFymxaoPje_efrdCAn31L4
روابط بي دي اب
PDF (424 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪২৪ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/Epaorg8WAPSNk94
https://cloud.degoo.com/share/aFXWZLZ5HA1Flf-X9DMjLg
https://www.mediafire.com/file/fb7kr947qjgwrz6/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-1.pdf/file
https://mega.nz/file/uqoQ2JrZ#aOEyjpPZvHXVUaVwe3TxgtaIPz8WxH4Cl8rln0dgRPk
روابط ورد
Word (514 KB)
ওয়ার্ড [৫১৪ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/5ex7GTb6b7zgXT2
https://cloud.degoo.com/share/rQmwgYIdEyBPeOWAdFSL_Q
https://www.mediafire.com/file/r7q9swqcje1t18i/JihaderSadharonNirdeshona-er+Bekkha-1.docx/file
https://mega.nz/file/H75m1bbL#pZbwyMxstEX7n6rT3oiz1nmIv8fkJMNtpDf1HJACcdo
روابط الغلاف- ١
book Banner [1.9 MB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [১.৯ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/bAZCGSAe2B35fc4
https://justpaste.it/img/647ffe0b13f9b7c0a6a3785f4f013430.jpg
https://cloud.degoo.com/share/TZbwXsTEizYwt__49LeU7Q
https://www.mediafire.com/file/53z4iirbpplr2kd/diknirdesona-bekkha-1-Prossod.jpg/file
https://mega.nz/file/K6xiSLrR#A4sdlvSMKDZIDg-l-9iiqjS2oVN0uEAahBc9SI_2f4M
روابط الغلاف- ٢
Banner [373 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩৭৩ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/Le9mNX3LMCJD9kG
https://justpaste.it/img/a5229c5d33c4fef35068fc1a0d3e4ca4.jpg
https://cloud.degoo.com/share/q1ib2MMYkJynAJkzsKrc0w
https://www.mediafire.com/file/yxfi9q0a5jx89xr/diknirdesona+bekkha-1+banner.jpg/file
https://mega.nz/file/uupg3RQB#TpeifLBq5ER-fUENAdZw46YkuabUqpD9TKRKJjM5B50
*******
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ-এর পুস্তিকা
“জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা”
-এর উপর ব্যাখ্যামূলক আলোচনা
(পর্ব-১)
মূল
শাইখ কাসিম আর-রীমি রহিমাহুল্লাহ
অনুবাদ ও প্রকাশনা
শুরুর কথা
আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিহিল আমীন, আম্মাবাদ-
পরিশেষে ‘শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ-এর পুস্তিকা“জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা”-এর উপর ব্যাখ্যামূলক আলোচনা’ সিরিজের প্রথম পর্বটি আপনাদের সামনে আনতে পেরেছি। লাকাল হামদু ওয়ালাকাশ শুকরু। এটির গুরুত্ব আশা করছি আপনারা নাম দেখেই বুঝতে পেরেছেন।
অত্র পুস্তিকাটি ‘‘জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব’ (AQAP) এর সাবেক আমীর শাইখ কাসিম আর রিমি রহিমাহুল্লাহ’র تعليق على رسالة توجيهات عامة للعمل الجهادي নামক দরসের বাংলা অনুবাদ। এটির ১০ মিনিটের প্রথম পর্বটির ভিডিও গত ১৪৪২ হিজরির যিলহাজ্জ মাসে আল মালাহিম মিডিয়া থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।
এটির অন্যান্য দরসগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুবাদ প্রকাশিত হবে ইনশা আল্লাহ। আশা করি আম ও খাস সকল মুসলিমদের উপকারে আসবে ইনশা আল্লাহ। পরিশেষে সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলার।
আবু যুবাইদা
০১ মুহাররাম ১৪৪৩ হিজরি
১০ আগস্ট ২০২১ ইংরেজি
بسم الله الرحمن الرحيم ، الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه ومن والاه، أما بعد،،
আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর, তাঁর সাথীগণের উপর এবং তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত অনুরাগীদের উপর।
হামদ ও সালাতের পর...
প্রথমে আমি আল্লাহ তা‘আলার কাছে আমাদের নিজেদের জন্য এবং আপনাদের সকলের জন্য কল্যাণ কামনা করছি। শাইখ কবুল করুন। আল্লাহুম্মা আমীন!
(পুস্তিকার শুরু থেকে পড়ছি-)
“পরম দয়ালু অসীম করুণাময় আল্লাহ’র নামে শুরু করছি। জিহাদের বা জিহাদী কার্যক্রমের সাধারণ দিকনির্দেশনা। লিখেছেন শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ”।
প্রথমে তিনি (শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ) ভূমিকা উল্লেখ করেছেন। তো স্বাভাবিকভাবে তাঁর এই রচনা হচ্ছে কাজের জন্য একটি সাধারণ দিকনির্দেশনা। এটি হলো একনজরে দেখানো নকশা। এর ব্যপ্তি কতটুকু? ঊর্ধ্বে দুই পৃষ্ঠা।
ঠিক আছে? আচ্ছা।
প্রথমে শাইখ বলেছেন-
“ভাইদের কারো কাছে অস্পষ্ট নেই যে, আমরা যে কাজ করছি তার দুটো ভাগ রয়েছে: প্রথমটি সামরিক আর দ্বিতীয়টি দাওয়াত কেন্দ্রিক। সামরিক কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো- কুফুরি বিশ্বের মাথা আমেরিকা এবং তার মিত্র ইজরাইল। আর দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো- তাদের কোলাবোরেটর'/Collaborator (সহযোগী) আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনরা।”
শাইখ বলেন-
ক) “আমেরিকাকে টার্গেট কথার অর্থ হল, তার পতন এবং তার ক্রমাগত আয়ুক্ষয়ের ব্যবস্থাকে লক্ষ্য বানানো। যেমনিভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটেছে সেভাবেই যেন এই বিরাট দানবের পরিণতি হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন যেমনিভাবে সামরিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের দরুন নিজের ভেতর থেকেই সে শেষ হয়ে গেছে, এবারেও যেন ঠিক তেমনটাই ঘটে। আর তাতেই আমাদের দেশগুলোর ওপর তার কব্জা শিথিল হবে। তখন তাদের কোলাবোরেটর' ও দোসরদের একে একে খুব সহজেই পতন ঘটবে। ”
আমরা ভালভাবেই জানি সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল একটা রাষ্ট্রসংঘ। মূলের পতনের সঙ্গে সঙ্গে অন্য সব অংশের পতন ঘটে গিয়েছিল। এবারেও পুরো মার্কিন ব্লকের ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা হলো, আমেরিকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে তার সহযোগী অন্যান্য শক্তিগুলোর খুব সহজেই পতন ঘটে যাবে।
(শাইখ আরো বলেন-)
“বলা হয়ে থাকে, আরবের বিপ্লবগুলোতে যা ঘটেছে, তাতে বোঝা যায় মার্কিন কর্তৃত্ব আবার ফিরে আসবে। আসলে আফগানিস্তানে ও ইরাকে মুজাহিদদের কাছে আমেরিকা যেভাবে আঘাত খেয়েছে এবং ৯/১১-এর পর থেকে আমেরিকার নিরাপত্তা যেভাবে হুমকির মুখে রয়েছে, তার কারণে আমেরিকা আজ গণচাপের মুখে বেশ বেকায়দায় রয়েছে। তাইতো নিজের দোসরদের সামনে আরো বেশি হম্বিতম্বি দেখাচ্ছে। আসন্ন পরিস্থিতি আরো অনেক কিছুই স্পষ্ট করে দেবে ইনশা আল্লাহ। আমেরিকা এমন পশ্চাৎপদতা ও পতনের মুখে পড়বে, যা তার মিত্রদের ওপর তার কর্তৃত্বের শেকল একেবারেই শিথিল করে দেবে।”
আমরা যদি দেখি, আজ রাশিয়া আমেরিকার সঙ্গে কোন সুরে কথা বলছে? তার সম্বোধনের ভঙ্গি কিরূপ আজ? আপনারা তো দেখছেন, তা কি গর্বিত সম্বোধন? ঠিক আছে? আচ্ছা। এখন আমেরিকার ভূমিকা কোথায়? আমেরিকা এখন নিজের মাঝেই গুটিয়ে যেতে আরম্ভ করেছে।
আমেরিকা এখন দুটো কাজ করতে পারে: হয় এখনো পূর্বের টেকনিক অব্যাহত রাখবে, যুদ্ধের জন্য সৈন্য সংযোগ ঘটাবে ইত্যাদি, অর্থাৎ যতটুকু পারা যায় বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালাবে এবং যুদ্ধগুলো জিইয়ে রাখবে—বলে রাখি, এই অপশন গ্রহণ করলে আমেরিকা ধ্বংস হয়ে যাবে।
অথবা আর একটি অপশন রয়েছে তা হলো- আমেরিকা নিজের মাঝে গুটিয়ে যাবে, তাতে অভ্যন্তরীণভাবে তার কিছু শক্তি অবশিষ্ট থাকবে। এখন আপনারা বলুন আমেরিকা কোন অপশন গ্রহণ করতে আরম্ভ করেছে? আমেরিকা এখন নিজের মাঝে গুটিয়ে যাচ্ছে। তার এভাবে সংকুচিত হয়ে যাবার কারণ কি? কারণ সেটাই যা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ক্ষেত্রে ক্রিয়াশীল ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল এবং তার শক্তি ক্ষয় অব্যাহত ছিল। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ স্থিতি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় খরচ এবং যুদ্ধের খরচ বহন করার মতো সক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলেছিল।
একই অবস্থা আজ আমেরিকার। কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেভাবে আমেরিকা জড়িয়েছে, তাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাদের যে ক্ষতি হয়েছিল, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি লোকসান তাদের গুনতে হচ্ছে। দুই সময়ে তাদের ক্ষতির পরিমাণ কখনই এক নয়। এতে করে অভ্যন্তরীণভাবে আমেরিকা এখন চাপে পড়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকা একটি পুঁজিবাদী রাষ্ট্র। যেকোনো কিছুই তার দৃষ্টিতে ব্যবসায়িক পণ্যের মত। এমনকি যদি তাদের নির্বাচনের কথা বলি সেটাও কি দিয়ে হয়? অর্থের মাধ্যমেই।
বর্তমানে চীনের কাছে আমেরিকা প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার ঋণী। বিশাল পরিমান ঋণ। এক ট্রিলিয়নে এক হাজার বিলিয়ন। আর এক বিলিয়ন সমান এক হাজার মিলিয়ন। এক মিলিয়নে হলো দশলাখ। এবার বুঝেন - এটাকে বলে ট্রিলিয়ন। তো এক ট্রিলিয়নে কত? হিসাব বিজ্ঞানীরা বলেন- একটি ফুটবল খেলার মাঠের সমান। অর্থাৎ আমরা যদি শুধু দশ হাজার নোট দিয়ে একটি ফুটবল খেলার মাঠ সাজিয়ে দেই, সেই মাঠটি ফুল/সম্পূর্ণ ভরে যাবে। এটা হলো এক ট্রিলিয়ন। ভালো কথা, বলছিলাম, আমেরিকার ঘাড়ে যেই ঋণের বোঝা, যা তাদের সরকারই স্বীকার করেছে, তার পরিমাণ- বিশ ট্রিলিয়নের চাইতেও বেশি।
শাইখ বলেন-
“দ্বিতীয়ত: আমেরিকার দোসরদেরকে টার্গেট বানানোর ব্যাপারে বলবো”।
আমাদের প্রথম টার্গেট হলো আমেরিকা এবং তার পতন। আমেরিকার পতন হওয়ার অর্থ হলো সাপের মাথা চূর্ণ হয়ে গিয়েছে, এখন আবশ্যকীয় ভাবে তার শরীর নিস্তেজ হয়ে যাবে। এটাই হলো আমাদের লক্ষ্য। এখন সাপের মাথা যদি হয় আমেরিকা, তাহলে তার দেহ কোনটি? এই দেহ হচ্ছে তার মিত্রগোষ্ঠী এবং তার জোটভুক্ত অন্যান্য শক্তি।
শাইখ বলেন-
খ) “আমেরিকার তাবেদার আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে টার্গেট বানানোর ব্যাপারটি স্থান ভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে। এক্ষেত্রে মূল বিষয় হচ্ছে- তাদের সঙ্গে লড়াই এড়িয়ে চলা। তবে যেসব রাষ্ট্রে তাদের মোকাবেলা করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে সেখানে ভিন্ন কথা। অর্থাৎ আমরা আফগানিস্তানে বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়ছি। সেখানে আমাদের লড়াই আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শাখা স্বরূপ।”
কারণ আমেরিকাই হলো আমাদের মূল শত্রু, যারা এই অঞ্চলে এসে কর্তৃত্ব বিস্তার করেছিল। এখন পর্যুদস্ত হয়ে তারা এই অঞ্চল ছেড়ে পালাচ্ছে। কিন্তু তাদের তাবেদার শ্রেণীকে এখানে রেখে যেতে চাইছে।
“ একইভাবে পাকিস্তানেও আমাদের লড়াই আফগানিস্তান স্বাধীন করার জন্য আমেরিকার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের পরিপূরক অংশবিশেষ। এই লড়াইয়ের মাধ্যমে আমরা পাকিস্তানের ভেতরে মুজাহিদদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চলের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হব।”
অর্থাৎ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই প্রথমত এজন্যই যে, আমরা সেখানে মুজাহিদদের জন্য একটি নিরাপদ স্পেস চাই। সেই স্পেসের মাধ্যমেই আল্লাহর তাওফীকে পরবর্তীতে পাকিস্তানে ইসলামী নেজাম প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
“একইভাবে ইরাকে আমেরিকার সাফাভি মিত্রদের কাছ থেকে আহলে সুন্নাতের অধিকৃত অঞ্চলগুলো স্বাধীন করার লক্ষ্যে আমাদের লড়াই।”
কারণ এই মিত্রদেরকেই সে অঞ্চলে আমেরিকা দায়িত্বে নিযুক্ত রেখেছে।
“এরপর আসি আলজেরিয়ার প্রসঙ্গে। এ অঞ্চলে আমেরিকার সরাসরি উপস্থিতি একেবারেই অল্প, যা একেবারেই তেমন গুরুত্বের অপেক্ষা রাখে না; তো সেখানে সরকারি পক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে- এই লড়াইয়ের প্রবাহকে বৃদ্ধি করা, ইসলামী মাগরিব, পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ সাহারা অঞ্চলের জন্য জিহাদের ক্ষেত্র প্রস্তুত ও বিস্তার করা। সম্প্রতি এসব অঞ্চলে আমেরিকা এবং তার মিত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
আরব উপদ্বীপে শত্রুদের সঙ্গে আমাদের লড়াই এই হিসেবে যে, তারা আমেরিকার আজ্ঞাবহ তাবেদার।
সোমালিয়াতে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই এই হিসেবে যে, সেখানকার শত্রুরা ক্রুসেডার আগ্রাসনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সাপের মাথা।
সিরিয়াতে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই এই হিসেবে যে, সেখানকার আঞ্চলিক শত্রুরা কোনমতেই কোন ইসলামী গোষ্ঠীর উপস্থিতি সেখানে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়; জিহাদী কোন শক্তির উপস্থিতি মেনে নেওয়া তো দূরের কথা। অর্থাৎ তারা সাধারণ ইসলামপন্থীদেরকেই মেনে নিতে রাজি নয়, জিহাদীদেরকে কেমন করে মানবে! ইসলাম ও মুসলমানদেরকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টায় তাদের রক্তাক্ত ইতিহাস আমাদের সকলেরই জানা।
আর বাইতুল মুকাদ্দাসের প্রাঙ্গণে প্রধান ও মূল সংঘর্ষ ইহুদিদের সঙ্গে। তবে অসলো চুক্তির অধীনে শাসন পরিচালনাকারী সরকারের ব্যাপারে যথাসম্ভব ধৈর্য ধারণ করা হবে।”
আপনি ফিলিস্তিনের দিকে তাকালে সেখানে আপনার টার্গেট স্পষ্ট। ঠিক কি-না? সেখানে এমন এক শত্রু বিরাজ করছে; যারা গোটা উম্মাহর সর্বসম্মতিতে আমাদের শত্রু। সাম্প্রতিককালে এরাই উম্মাহর জন্য বড় সমস্যা। সেইসঙ্গে সে অঞ্চলে এমন এক শ্রেণী রয়েছে, যারা তাদের অনুগত।
এ কারণেই লেজে আঘাত করার পরিবর্তে আমাকে মাথায় আঘাত করতে হবে। পুরো শক্তিকে যদি আমি একটি প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করি, তবে সে প্রাণীকে কাবু করতে হলে আমি লেজে আঘাত করতে পারি না; আমাকে মাথায় আঘাত করতে হবে। এ কথা ঠিক যে, আঘাত করলে অবশ্যই তার গোটা শরীরে এমন কি মাথায় পর্যন্ত সে আঘাতের প্রভাব পৌঁছে যাবে। কিন্তু তাতে প্রাণীটি কাবু হয়ে যাবে না। কাবু করার জন্য আমার মাথায় আঘাত করতে হবে।
শাইখ বলেন-
৩- “এবার আসি দাওয়াতি কাজের আলোচনায়। আমাদের এই কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো- উম্মাহকে ক্রুসেড আগ্রাসনের ভয়াবহতা সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন করে তোলা”।
সচেতনতামূলক আমাদের এই আহ্বান বিশেষভাবে উম্মাহর দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের প্রতি।
“এমনিভাবে দাওয়াতি কার্যক্রমের আরও লক্ষ্য হলো- তাওহীদের ব্যাখ্যা মানুষের কাছে এভাবে স্পষ্ট করা যে, শাসন ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। লক্ষ্য হলো, মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা, মুসলিম দেশগুলোকে আল্লাহর তাওফীকে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠার ভূমিকা ও অবতারণা হিসেবে একই পতাকাতলে নিয়ে আসা ইত্যাদি।”
দুঃখের সঙ্গে দেখুন, যখন বলা হয়, এ দাওয়াতের দ্বারা আপনার লক্ষ্য কি? তখন আপনি বলেন, এমন একটি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা, যা গোটা উম্মাহকে ছায়াদান করবে। সেই খেলাফত উম্মাহর হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনবে। গোটা বিশ্ব শাসন করবে। এমনই আরো অনেক কিছু। তখন মানুষ যদি খেলাফত নামে অসম্পূর্ণ কোন কিছুর চিত্র দেখতে পায়, তখন তারা আপনাকে বলবে, এই খেলাফত আমরা চাই না। জি হ্যাঁ, এটাই বাস্তবতা। দুঃখজনক ব্যাপারটা কেন ঘটে? এই ট্রাজেডি কেন আমাদের সামনে? মূল কারণ হলো- একটা বিষয়কে ভুল নামে নামকরণ করা। এটা খুবই দুঃখজনক। খেলাফত নামে একটা নমুনা দাঁড় করিয়ে আপনি যেটা চাচ্ছেন, সেটা অন্যেরা চাচ্ছে না।
এ কারণেই দুঃখজনকভাবে অনেক ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা আমাদের মুখোমুখি হয়। কি কারণে? কারণটা আসলেই অনেক গুরুতর। অর্থাৎ আমরা বহু মানুষকে সংগঠিত করলাম। আমরা অনেক দূর অগ্রসর হলাম। যদি জিজ্ঞেস করা হয় আপনাদের উদ্দেশ্য কি? তখন বলা হলো- আমরা চাই এ অঞ্চলের লোকেরা এবং যুবকেরা মিলে শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করুক। জাযাকাল্লাহ, অনেক ভালো নিয়ত। কিন্তু কাজের ময়দানে তো ব্যর্থতা থেকে গেল। দেখা গেল আপনার দাওয়াতে একটি অঞ্চল শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত হবার পর ব্যাপারটি ঘোষিত হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ শত্রু বিমান এসে সে অঞ্চলে বম্বিং করে সবকিছুই গুঁড়িয়ে দিল।
তো আপনি আপনার এই কর্মপরিকল্পনার কারণে তো কর্মপরিসর এগিয়ে নেয়ার অন্যান্য ধারণা ও অভিজ্ঞতার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেন। এখন তো আর কেউ উদ্যোগী যুবকদের সঙ্গে কাজে আসতে চাইবে না। কারণ হল আপনি একটি পরিকল্পনা ও অভিজ্ঞতাকে আঘাত করেছেন।
তো এবার লক্ষ্য করুন! এসবের মন্দ প্রভাব কি হতে পারে? দেখুন এই প্রভাব কতটা নেতিবাচক?! খেলাফত নামটির ব্যাপারেও একই কথা। সত্যিকার অর্থে যে বিষয়টি বিদ্যমান নেই, তেমন একটা কিছুর উপস্থিতির ব্যাপারে আপনি ঘোষণা করে দিলেন। সেইসঙ্গে পদে-পদে ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন, ভুল পন্থা অবলম্বন করলেন। এমনকি মুজাহিদ হিসেবেও। অর্থাৎ আপনাদের কারো ব্যাপারে পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ল ইনি একজন মুজাহিদ ফি সাবিলিল্লাহ । এরপর দেখা গেল পথে-ঘাটে শাইখ বিভিন্ন ভুল কাজ করছেন। এতে করে আসলে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। তাই এগুলো কখনো কাজের সঠিক নমুনা হতে পারে না। এ কারণে আমাদেরকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।
অনেক সময় এমন অনেক লোক আমাদের কাছে আসে, যারা মনে-মনে একেবারে আমাদের মত নয়। দেখা গেল তারা আমাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি। অনেক দূরে থেকে আমাদেরকে ভালোবেসেছে। মুজাহিদদের সম্পর্কে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা শুনেছে এবং আন্তরিকভাবেই তাদেরকে ভালোবেসেছে। এরপর বাজারে গিয়ে তারা নিজেদের মতো যাচ্ছেতাই বিভিন্ন ভুল আচরণ করে বসেছে। এদের কারণে কিন্তু সমস্যা হয়।
তাই এ জাতীয় লোকদেরকে এমন কাজ থেকে বিরত রাখা, তাদেরকে শিক্ষাদান করা আমাদের দায়িত্ব। তাদেরকে কখনোই নিজেদের সঙ্গে গ্রহণ করা যাবে না। কারণ এ ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তা থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দেবে। আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে আন্তরিক হয়েও দেখা যাবে সে আল্লাহর রাস্তা থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এমন অনেকেই থাকে, যাদের পেছনের ইতিহাস ভালো হয় না। এ মানুষগুলো হঠাৎ আন্তরিক হয়ে আমাদের কাছে যদি চলে আসে, তাহলে প্রথম থেকেই এদেরকে দায়িত্বে বসিয়ে দেয়া এবং মানুষদের উপর চাপিয়ে দেয়া উচিত হবে না। এ মানুষগুলো যদি তাৎক্ষণিকভাবে সত্যিকার অর্থেই নিজেদের জীবনযাত্রা ও আচার-আচরণ ইতিবাচকভাবে পাল্টে ফেলে, তবুও নয়। বরং কিছু সময় তাদেরকে দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে এই মানুষগুলো তাদের পূর্বের জীবন পুরোপুরি ভুলে যাবে। সে সময় তাদেরকে ভালোভালো দিকনির্দেশনা দিতে হবে। ধীরে ধীরে জনসাধারণ যখন বুঝতে পারবে, তাদের অবস্থা উন্নত হয়েছে তখন মানুষেরা নিজেদের থেকেই তাদেরকে গ্রহণ করে নেবে। এ মানুষগুলো তখন জনসাধারণের জন্য ফিতনার কারণ হবে না।
যাই হোক,
শাইখ বলছিলেন-
“আমাদের দাওয়াতমুখী কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো- উম্মাহকে ক্রুসেডার আগ্রাসনের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, তাওহীদের এই অর্থ সুস্পষ্ট করে তোলা যে, শাসন ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
এমনিভাবে আরও লক্ষ্য হলো- মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ধারণা সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং আল্লাহ তা‘আলার তাওফীকে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠার ভূমিকা হিসেবে সমগ্র মুসলিম জাহানকে এক পতাকা তলে নিয়ে আসা।
এই পর্যায়ে আমাদের কাজ আবারও দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এক ভাগ হলো- উম্মাহর মুজাহিদ; সেই শ্রেণীর উন্নয়ন, গঠন ও তরবিয়ত, যারা আল্লাহর ইচ্ছায় খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ক্রুসেডারদের মোকাবেলা করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবে।
আর দ্বিতীয় ভাগ হলো, জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি, তাদেরকে উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত করা এবং আন্দোলনের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা, যাতে তারা নিজেদের অঞ্চলের শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে এবং ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে প্রস্তুত হয়ে যায়।”
অর্থাৎ তরবিয়ত ও জাতি গঠনের কাজটি আমাদের জন্য দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম ভাগ হলো- অভ্যন্তরীণ তরবিয়ত ও দিকনির্দেশনা প্রদান, যা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আর অপর ভাগ হলো উম্মাহর বহিরাংশ তথা সাধারণ মুসলমানদের প্রতি দিকনির্দেশনা প্রদান।
হে আকসা! আমরা আসছি...
*********
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent