مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
بيان من القيادة العامة : بيان بشأن القمة الأمريكية الصهيوسعودية بجدة
কায়িদাতুল জিহাদ - কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
জেদ্দায় মার্কিন-সৌদি যায়নিষ্ট শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ক বিবৃতি
New statement from al-Qā’idah’s General Command:
“Concerning the US-Saudi Summit in Jeddah
للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading
روابط بي دي اب
PDF (441 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৪১ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/D56koWcCw3csMZQ
https://mega.nz/file/KroG2JZZ#NuU_xVslYJXsbOF_f5_pX_xwhSDN-mzJEBrnvCdZ7VY
https://www.mediafire.com/file/g9ar2itoizawwyh/AQC+-+America-Saudi+Sombelon+Jeddha.pdf/file
روابط ورد
Word (1 MB)
ওয়ার্ড [১ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/SHsDwaboWX4dCZx
https://mega.nz/file/3nICxYwB#0JOKu_ffQf_eap9IjF8OBq-GVI9YTWRpmBOx0F1KfC0
https://www.mediafire.com/file/tvp5jhhs2kc620u/AQC+-+America-Saudi+Sombelon+Jeddha.docx/file
روابط صور
page 1
https://banglafiles.net/index.php/s/FkXBL3BJgBS2FQG
https://mega.nz/file/e2wxRIzB#a2sdfxdcf46F596_6DDpJiYSUbqXrgPf07y9yPg3OLo
https://www.mediafire.com/file/r2tyzq1koxbs02e/AQC---America-Saudi-Sombelon-Jeddha-1.png/file
page 2
https://banglafiles.net/index.php/s/by4LKczFXEmZeiy
https://mega.nz/file/LnJzhIAT#V9Ek5wiUE94BgNJbx2lypkcpLPBKznSvprFKhpCv674
https://www.mediafire.com/file/lru00r0zt24uteb/AQC---America-Saudi-Sombelon-Jeddha-2.png/file
page 3
https://banglafiles.net/index.php/s/dRfNQRHni2cMoGT
https://mega.nz/file/Gyo0jTRa#ylZhucCJ_-H88F4prJ-3nmgi9lkn0aRGk1fck6W7fns
https://www.mediafire.com/file/srexi3k6kzfjri7/AQC---America-Saudi-Sombelon-Jeddha-3.png/file
page 4
https://banglafiles.net/index.php/s/b8b59n35JwnS6ma
https://mega.nz/file/O6wn0LZJ#zkx_H6ndGEBRrhYOELuDPvin1XtNBYOGoxsxqfmyfcU
https://www.mediafire.com/file/ssx402zrrts7axr/AQC---America-Saudi-Sombelon-Jeddha-4.png/file
page 5
https://banglafiles.net/index.php/s/LKosiSTtPKw7K32
https://mega.nz/file/W3R2QD7a#636VEDLhqv3gbeuq9eLY8HPpLd91BFfdAGMSudispUU
https://www.mediafire.com/file/8e1uj48klj8wbj8/AQC---America-Saudi-Sombelon-Jeddha-5.png/file
page 6
https://banglafiles.net/index.php/s/MXK3kzcLwXzA7sb
https://mega.nz/file/XuZBQRyA#hx-f0Iu7URIuT_-Ng5_oHebPb6UiyaS7qew28cBjOik
https://www.mediafire.com/file/dlzkshu3oha1p08/AQC---America-Saudi-Sombelon-Jeddha-6.png/file
==============
কায়িদাতুল জিহাদ - কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
জেদ্দায় মার্কিন-সৌদি যায়নিষ্ট শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ক বিবৃতি
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি তাঁর পবিত্র কালামে ইরশাদ করেছেন-
أَتَوَاصَوْا بِهِ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ ﴿٥٣﴾ فَتَوَلَّ عَنْهُمْ فَمَا أَنتَ بِمَلُومٍ ﴿٥٤﴾ وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَىٰ تَنفَعُ الْمُؤْمِنِينَ ﴿٥٥﴾ وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ ﴿٥٦﴾ مَا أُرِيدُ مِنْهُم مِّن رِّزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَن يُطْعِمُونِ ﴿٥٧﴾ إِنَّ اللَّهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ ﴿٥٨﴾ فَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا ذَنُوبًا مِّثْلَ ذَنُوبِ أَصْحَابِهِمْ فَلَا يَسْتَعْجِلُونِ ﴿٥٩﴾ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُوا مِن يَوْمِهِمُ الَّذِي يُوعَدُونَ ﴿٦٠﴾
“অর্থঃ তারা কি একে অপরকে এই উপদেশই দিয়ে গেছে? বস্তুতঃ ওরা দুষ্ট সম্প্রদায়। (53) অতএব, আপনি ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। এতে আপনি অপরাধী হবেন না। (54) এবং বোঝাতে থাকুন; কেননা, বোঝানো মুমিনদের উপকারে আসবে। (55) আমার ইবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। (56) আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য যোগাবে। (57) আল্লাহ তায়ালাই তো জীবিকাদাতা, শক্তির আধার ও পরাক্রান্ত। (58) অতএব, এই জালেমদের প্রাপ্য তাই, যা ওদের অতীত সহচরদের প্রাপ্য ছিল। কাজেই ওরা যেন আমার কাছে তা তাড়াতাড়ি না চায়। (59) অতএব, কাফেরদের জন্যে দুর্ভোগ সেই দিনের, যেদিনের প্রতিশ্রুতি ওদেরকে দেয়া হয়েছে”। (সূরা যারিয়াত 53-60)
সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবীর উপর, যিনি সমগ্র বিশ্বের জন্য তরবারিসহ রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। তিনি ইন্তেকালের সময় আপন উম্মতকে অসিয়ত করে বলে গেছেন,
أَخْرِجُوْا الْـمُشْرِكِيْنَ مِنْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ
“তোমরা মুশরিকদেরকে জাযিরাতুল আরব তথা আরব উপদ্বীপ থেকে বের করে দাও” -(বুখারী - ৩০৫৩, ৩১৬৮, ৪৪৩১ মুসলিম - ১৬৩৭)
শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর পরিবার ও সকল সাহাবীদের উপর।
হামদ ও সালাতের পর-
দিন অতিক্রান্ত হচ্ছে, মাস পেরিয়ে যাচ্ছে, বছরের পর বছরও অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জাযিরাতুল আরবে, স্বয়ং ওহী নাযিলের স্থানে দিনকে দিন ইসলামকে সংকুচিত করে ফেলা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে!
ইসলাম এবং মুসলিমদেরকে অপদস্থ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। সৌদী-মার্কিন ঐক্যজোট ইসলামকে ক্ষতবিক্ষত ও পরাজিত করে জাযিরাতুল আরব থেকে বের করে দেয়ার জন্য একতাবদ্ধ হয়েছে।
পবিত্র বড় হজ্ব, তাকবীর ও তাওহীদের মাসের সূচনাতে হাজী সাহেবরা যখন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের আহবানে সাড়া দিয়ে হারাম শরীফের অভিমুখী হয়, ঠিক তখনই পবিত্র যিলহজ্ব মাসে এবং পবিত্র ভূমি হিজাযে যায়নবাদী ক্রুসেডার আমেরিকার প্রতিনিধিদল অবতরণ করে। অথচ এই ইহুদী ও খৃস্টানরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী যু্দ্ধ করে আসছে।
এ সময়ে তাদের এই আগমনের উদ্দেশ্য: পবিত্র বড় হজ্বের দিনে হারামাইন শরীফাইনে প্রবেশের মাধ্যমে, ইসলাম ও মুসলিমদের উপর ক্রুসেডারদের আধিপত্যের বিষয়টি বিশ্বকে স্পষ্টভাবে দেখানো। পবিত্র যিলহজ্ব মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক হারামাইন শরীফাইনে সফর করা, সেইসাথে মক্কা ও মদিনার পবিত্র ভূমিতে অপবিত্র ইহুদী জাতির অনুপ্রবেশ ঘটার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, জাযিরাতুল আরবের বর্তমান শাসকেরা জাযিরাতুল আরব থেকে ইসলামকে তাড়িয়ে দিতে চায়। মুসলিমরা নিজেদের দ্বীন ও সর্বোচ্চ পবিত্র জায়গাগুলোর মর্যাদা রক্ষার তাগিদে তাদের বিরুদ্ধে দুর্দমনীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারার প্রেক্ষিতে তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার দুঃসাহস করছে!
ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণাকারী এই কাফের প্রতিনিধিদলের আরব সফরের মাঝে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে। এগুলোর বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর জানা থাকা উচিৎ; যেন নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পুণ্যভূমি আরব উপদ্বীপে ইসলামের চরম দুরবস্থার সামান্য হলেও আমরা অনুধাবন করতে পারি।
কোন সফরই লক্ষ্যহীন বা স্বার্থহীন হয় না। আমেরিকা বা সৌদি আরবের কেউ-ই এই সফরের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে নি। কাফেরদের এই সফরের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল - হারামাইন শরীফাইনের ভূমিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বনূ কুরাইজা, বনূ নাজীর ও বনূ কাইনুকা’র অনুসারীরা বিজয়ী হওয়ার আগে মুসলিমরা ইসলামী শরীয়ার নির্দেশনার আলোকে নতুন করে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে, সেই বিষয়টি জানার চেষ্টা করা ও তা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা।
ইসলামী মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষিত সীমান্ত শহর ও হারামাইনের প্রবেশপথ জেদ্দা শহরে ক্রুসেডারদের এই সর্বশেষ সমাবেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে - মুসলিমদের মাঝে দলীয় মতানৈক্য আরও বিস্তৃত করা এবং ফিলিস্তিন-দখলকারী ক্রুসেডার ইহুদী সঙ্ঘের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা।
আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে: মুসলিমদের বুকের উপর চেপে বসা নামধারী মুসলিম শাসকদের মাঝে আব্রাহাম লিংকনের গণতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করার চুক্তিকে আরও পাকাপোক্ত করা।
এই চুক্তির ফল-স্বরূপ, পবিত্র মক্কা ও মদিনার আকাশপথ অভিশপ্ত ও জবর-দখলকারী ইহুদী এবং পথভ্রষ্ট খৃস্টানদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে পবিত্র ভূমির উপর দিয়ে তাদের অপবিত্র বিমান উড়ে বেড়ানোর পথ সহজ হয়েছে। তাদেরকে জাযিরাতুল আরব থেকে বের করার পরিবর্তে আরও সুযোগ-সুবিধা ও সম্মান দেয়া হচ্ছে।
সমাবেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল - একটি সৌদি-মার্কিন যৌথ প্রতিরক্ষা প্রকল্প তৈরি করা। এই প্রকল্পের অধীনে এমন একটি যায়নবাদী ক্রুসেডার সেনাবাহিনী তৈরি করা হবে, যারা ইসলামী জিহাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করবে। জাযিরাতুল আরবে ইসলাম আবার ফিরিয়ে আনার জন্য এবং মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলোর পক্ষে প্রতিরোধ গড়ার জন্য যেই বিপ্লবী দলগুলো দেশে তৈরি হবে, সেগুলোকে দমন করাই এই ক্রুসেডার বাহিনীর লক্ষ্য। তবে আল্লাহ অবশ্যই ওহীর অবতরণ ভূমি জাযিরাতুল আরবে এমন কিছু মানুষ তৈরি করে দিবেন, যারা ইসলামের পক্ষে লড়াই করবে এবং প্রতিরোধ করবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এই সমাবেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল - মুসলিম উম্মাহর দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্ব, সীমান্ত রক্ষাকারী প্রহরী, আত্মমর্যাদাশীল জনগণ ও তাদের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে যৌথ আক্রমণের পরিচালনার জন্য সৌদি-মার্কিন পরস্পর চুক্তিবদ্ধ হওয়া। এর ফলে শত্রুরা একই সাথে আমাদের তিনটি পবিত্র স্থান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে! আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন এই উম্মাহর জ্ঞান, সম্মান ও ক্ষমতা সুদৃঢ় রাখেন।
প্রিয় মুসলিম উম্মাহ!
এটি আমাদের জন্য চরম লজ্জাজনক যে, আমাদের পবিত্র ভূমিতে, একটি পবিত্র মাসে আমাদের স্বার্থ-বিরোধী এরকম একটি সমাবেশ সংগঠিত হয়েছে। এটি কোনভাবেই মুসলিম এবং আরবদের জন্য ভালো কোন সংবাদ বহন করে না।
পশ্চিমারা প্রাচ্যের সাথে নব্য মেরুকরণ যুদ্ধে বৈশ্বিক ভারসাম্য ঠিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আসছে। তাই তারা ভালোভাবেই জানে – এ সুযোগে মুসলিমরা চূড়ান্তভাবে আরেকটি ইসলামী বসন্ত নিয়ে জেগে উঠবে। প্রথম বিপ্লবের ক্ষত ও রক্তের বদলা নিতে তারা এই দ্বিতীয় বিপ্লবের সূচনা করবে। আর এই দ্বিতীয় জাগরণে তারা পূর্বের চেয়ে আরও বেশী অভিজ্ঞ ও পাকাপোক্ত হবে।
আর তাই পশ্চিমা বিশ্বের প্রয়োজন ছিল - পরস্পরের সন্তুষ্টিক্রমে জনগণের স্বার্থ-বিরোধী একটি যৌথ-সঙ্ঘ তৈরি করা। এ লক্ষ্যেই পশ্চিমারা যায়নবাদী ইসরাইল ও আরবের যায়নবাদীদেরকে একজায়গায় একত্রিত করেছিল। এরপর নিজ নিজ সামরিক শক্তি ও গোয়েন্দা শক্তিকে একসাথে ব্যবহার করে আরব বিশ্বের ‘ইসলামী-ঝুঁকি’ দমন করার ব্যাপারে সবাইকে রাজি করিয়েছে।
ইসলামী ঝুঁকি বলতে তারা - মুসলিম জনগণ, আরব শাসকদের বিরোধী দলগুলো এবং সরাসরি ইসরাইলের স্বার্থের বিরুদ্ধাচরণকারী গোষ্ঠীগুলোকে বুঝায়। পশ্চিমা বিশ্ব কখনোই একসাথে প্রাচ্য কমিউনিস্ট ও প্রাচ্য ইসলামিকদের বিরুদ্ধে অর্থাৎ একইসাথে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে পারবে না। আর এই আরব দেশগুলোরও নিজেদের দেশে তৈরি হওয়া ‘গণবিপ্লব’ ও ‘ইসলামী আন্দোলনের’ প্রতিরোধ করার কোন শক্তি নেই। তাই তারা দেশ ও জাতির সম্পদ তেল-গ্যাস-পেট্রল পশ্চিমাদেরকে নির্দ্বিধায় দিয়ে দেয়। বিনিময়ে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য পশ্চিমাদের সহযোগিতা পায়।
তো এই সমাবেশ থেকে আমাদের জন্য এটা স্পষ্ট যে, আরবদের দেয়া পেট্রলের বিনিময়েই আরবের আকাশে মার্কিন-সৌদি যৌথ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। ক্রুসেডার ও পুতুল আরব শাসকরা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যই মক্কা ও মদিনার পবিত্র আকাশে ইসরাইলী সামরিক বিমান উড়ার অনুমতি দিয়েছে।
এই সমাবেশে যায়নবাদী আরব শাসকদের একত্রিত হওয়ার আরেকটি কারণ - আফগানিস্তানে ও ইরাকে পরাজিত হওয়ার পর পশ্চদপসরণকারী আমেরিকার ভঙ্গুর অবস্থা। ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকার আচরণ থেকে আমেরিকা নামক সাম্রাজ্যের ভঙ্গুর অবস্থা আরও স্পষ্ট হয়েছে। আরব রাষ্ট্রগুলোর শাসকদের জন্য আমেরিকার এই রুগ্ন অবস্থা ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের ভয় – ভবিষ্যতে বিশ্বাসঘাতক শাসকগুলোর বিরুদ্ধে গণ-বিদ্রোহের সময় আমেরিকা হয়তো তাদেরকে আর সাহায্য করবে না বা করতে পারবে না।
যাই হোক, এ সকল কারণে এমন একটি নতুন যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির প্রয়োজনীয়তা তারা অনুভব করলো, যা বিশ্বাসঘাতক শাসকদেরকে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। আমেরিকা ও ইসরাইল এই চুক্তির অধীনে যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ হয়ে কাজ করবে। আর এজন্যই রাষ্ট্রগুলোর ইসলামবিরোধী শাসকদের জন্য জেদ্দার সমাবেশটি প্রয়োজন ছিলো।
মুসলিম উম্মাহ এই বিষয়ে আশাবাদী যে, পশ্চিমাদের সাথে আরবদের এই সম্পর্ক সুদৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী নয়। আজকের বন্ধু আগামীকাল শত্রু হয়ে যেতে পারে মাত্র কয়েক মূহুর্তের ব্যবধানে। ঠিক যেমন গতকালের শত্রু আমেরিকা আজকের সমাবেশে বন্ধুর রূপ নিয়েছে। আর পশ্চিমাদের বিশ্বাসঘাতক স্বভাবের কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মহান আল্লাহর পরে আমাদের ভরসার একমাত্র বিষয় এই যে - দিন দিন মুসলিম উম্মাহ জেগে উঠছে এবং সতর্ক হচ্ছে। বাকি আছে শুধু সরাসরি গণ-বিপ্লবের।
হে আল্লাহ, আপনি আপনার দ্বীনকে সাহায্য করুন! আপনি আপনার বান্দাদেরকে জাগিয়ে তুলুন! উম্মতকে ঐক্যবদ্ধ করুন এবং শত্রুকে পরাজিত করুন!
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين
যিলহজ্ব, ১৪৪৩ হিজরি জুলাই, ২০২২ ইংরেজি |
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent