مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled
ان تنصروا الله ينصركم
যদি তোমরা আল্লাহকে (তাঁর দ্বীনকে) সাহায্য করো,
তাহলে তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন।
১৪৪৫ হিজরীর বেদনাদায়ক ঈদুল ফিতর উপলক্ষে
উপমহাদেশের মুসলিম এবং গোটা বিশ্বের ঈমানদারদের নামে পয়গাম
If you help Allah,
Then He will help you.
از استاد اسامه محمود حفظه الله
উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ
Ustad Usama Mahmud Hafizahullah
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على حبيبنا وحبيب ربنا محمد وآله وصحبه ومن والاه
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য! রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয়ভাজন এবং আমাদের প্রভুর প্রিয়ভাজন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর, তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর, তাঁর সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহুদের উপর এবং তাঁর ভক্ত অনুরাগী সকলের উপর!
হামদ ও সালাতের পর..!
উপমহাদেশ এবং গোটা বিশ্বে আমার ঈমানদার ভাইয়েরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
ربي اشرح لي صدري ويسر لي امري واحلل عقدة من لساني يفقهوا قولي
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ
অর্থঃ “হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হতে পার। (সূরা বাকারা ২:১৮৩)
রমজানুল মোবারকের শেষ সময়টা আমরা অতিবাহিত করছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে কামনা করি, তিনি যেন রমজানুল মোবারকের সমস্ত বরকত ও কল্যাণ সকল ঈমানদারকে দান করেন! তিনি যেন আসন্ন মোবারক ঈদুল ফিতরকে উপমহাদেশ এবং গোটা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য বরকতময় করেন!! আল্লাহ যেন রমজান মাসের ইবাদত ও দুআ সমূহকে উম্মাহর সংশোধন, জাগরণ, জিহাদ ও বিজয়ধারার কারণ হিসেবে সাব্যস্ত করেন। আমিন, ইয়া রব্বাল আলামীন!!
হে শ্রদ্ধেয় ঈমানদার ভাইয়েরা!
এই ঈদে যদি ঈমানদারেরা অত্যাচারিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত না হতেন এবং আল্লাহর দ্বীন পরাজিত না হয়ে বিজয়ী থাকতো - তবে আমাদের আনন্দ নিঃসন্দেহে আরো বেড়ে যেত। কিন্তু অত্যন্ত আফসোসের বিষয় হচ্ছে - আমরা পরীক্ষার মধ্যে রয়েছি বিধায় পুরোপুরি আনন্দ উদযাপনের পরিস্থিতি আজ নেই।
আজ উম্মাহর অধিকাংশই হয় নির্যাতিত অথবা গাফিলতি ও উদাসীনতার অন্ধকারে আচ্ছাদিত। এমন উদাহরণ অতীতে কখনো দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ। গাজা উপত্যকার মুসলিমদের উপর ইসরাইল ও আমেরিকার পক্ষ থেকে বিগত ছয় মাসের অধিককাল যাবত জুলুম নির্যাতন চলে আসছে। রমজান মাসেও তাদের গণহত্যা বন্ধ হয়নি। এই রমজান মাসেও প্রয়োজনীয় আহার্য ও খাদ্যদ্রব্য গাজা উপত্যকায় পৌঁছুতে পারেনি। এমনকি কখনো কখনো শুধু পানি দিয়ে তাদের সেহরি করতে হয়েছে, আবার শুধু পানি দিয়েই ইফতারি করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হয়েছে।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে, দরিদ্র জনসাধারণ নারী শিশুদেরকে তো আগেই শহীদ করে দেয়া হয়েছে। এই মাসে মা-বোনদের ইজ্জত সম্মানের উপরেও হাত দেয়া হয়েছে। যা কিছু হয়েছে এই সব কিছুর ভয়াবহ সংবাদগুলো গোটা দুনিয়াতে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু হৃদয় চূর্ণ করার মত ব্যাপার হল - নিজেদের ভাই বোনদের ডাকে ‘লাব্বাইক’ বলে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার যোগ্যতা এখনো মুসলিম উম্মাহর হয়ে উঠেনি। ফলশ্রুতিতে ইহুদিরা গাজাবাসীর বিরুদ্ধে তাদের অন্যায় অনাচার জারি রাখার সাহস পাচ্ছে এবং যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই জুলুম নির্যাতনের পাহাড় গড়ে তুলছে।
জুলুম নির্যাতনের এই কাহিনী শুধু গাজা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। হিন্দুস্তান বা ভারতের মুসলিমদের উপরেও জীবন সংকীর্ণ হয়ে এসেছে। তারা নিকৃষ্টতম দাসত্ব অথবা মৃত্যুর মধ্য থেকে যেকোনো একটি অপশন বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন দীর্ঘদিন যাবত। মসজিদ সমূহ ভেঙে ফেলা, ঈমানদারদেরকে শহীদ করা নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ করে তারা সফল হয়েছে। আজ তারা - আল্লাহ না করুন- হাজার হাজার মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তরিত করতে এবং দারুল উলুম দেওবন্দকে ভেঙে দেয়ার বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আফসোসের বিষয় হল - ঈমানদারদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের এই জায়নবাদী হিন্দুত্ববাদী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে ঠিকই অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু হিন্দুস্তানের ভেতরে অথবা তার বাইরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে কোথাও এর বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন এখন পর্যন্ত দাঁড়াতে পারেনি। উপমহাদেশের আকাশে এমন কোন শক্তির আজও দেখা মেলেনি, যা দেখে হিন্দুরা নিজেদের এই ভয়ানক ইচ্ছা থেকে পেছনে সরে আসবে এবং যেই শক্তির কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের দ্বীন ও দুনিয়া হেফাজত হবে।
গাজার যুদ্ধে ইসরাইল ও আমেরিকা - আরব সেনাবাহিনী ও শাসকবর্গের পুরোপুরি সহযোগিতা পাচ্ছে। একইভাবে উপমহাদেশেও ভারত ও আমেরিকা - পাকিস্তান ও বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অঘোষিত অথবা ঘোষিত সহযোগিতা পাচ্ছে। আজ আরব বিশ্বে জায়নবাদী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য আরব শাসকবৃন্দ নিজেদের অঞ্চলে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। সমাজ থেকে ইসলাম বের করে দেয়া এবং কুফরি ও পাপাচারের প্রচার প্রসারকে লক্ষ্য হিসেবে স্থির করে নিয়েছে। একইভাবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও সরকারগুলো নিজ নিজ অঞ্চলে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। এই উভয় অঞ্চলের কর্ণধারদের প্রচেষ্টা এমন - তাদের দেশে যেন এমন কোন শক্তি উঠে দাঁড়াতে না পারে, যার দ্বারা ইসলামের নবজাগরণ, পুনর্জীবন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে। এই জায়নবাদী হিন্দুত্ববাদী পরিকল্পনাগুলোর বিরুদ্ধে ইসলামপন্থীদের মধ্যে যারা প্রতিরক্ষা ও সাহায্যের জন্য কাজ করবে তারা যেন কিছুতেই সামনে এগোতে না পারে সে লক্ষ্যেই এই সেনাবাহিনী ও সরকারগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
এই জায়নবাদী যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অতি কার্যকরী ভূমিকা সবচেয়ে ‘নিকৃষ্ট’। পাকিস্তান বিগত ২৫ বছর যাবত আমেরিকার দাসত্বে ইসলাম ও মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে কাজ করছে। জায়নবাদী ঐক্য জোটের প্রতিরক্ষায় ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। ইসলামের যে সমস্ত মুজাহিদ - ইসলামপন্থী এবং ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোর প্রতিরক্ষায় লড়াই করেন এবং যারা পাকিস্তানের বাতিল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে শরীয়ত বাস্তবায়নের পতাকা উত্তোলন করেন, ওই মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে পাক বাহিনীর অপারেশন ইতিহাসের পাতায় পুরো একটি কালো অধ্যায় রচনা করেছে।
আজ পাকিস্তানি জেনারেলরা জায়নবাদীদের দাসত্বে লাঞ্ছনার শেষ সীমায় পৌঁছেছে। যে আমেরিকার জন্য তারা এতকিছু করলো, সেই আমেরিকার কাছে পাক সেনাবাহিনীর এতদিনের কষ্ট, পরিশ্রম ও কোরবানি যথেষ্ট মনে হয়নি। সেজন্য তারা পাকিস্তানের জেনারেলদের কাছে দাবি করেছে - ইজরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ এতেও কোন অস্বস্তি অনুভব করেননি। তারা ইসরাইলের সঙ্গেও সম্পর্ক বিনির্মাণে এগিয়ে এসেছেন। তারা সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল ইসরাইলে প্রেরণ করেছেন। কৃষি ও চিকিৎসা বিষয়ক টেকনোলজিতে ইসরাইলি ইউনিভার্সিটিগুলোর সাথে একসঙ্গে গবেষণা ও সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন। ক্রিকেট ম্যাচে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেওয়া ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আমার এত কিছু বলার উদ্দেশ্য হলো- জায়নবাদী হিন্দুত্ববাদী এই বৈশ্বিক যুদ্ধে যাদেরকে আমরা ইসলামের সেনাবাহিনী বলি, তারা ইসলামপন্থীদের পক্ষে নয় বরং তাদের বিরুদ্ধে উম্মাহর শত্রুদের কাতারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হিন্দুস্তান ও গাজার ইসলামপন্থীরা যে জুলুম নির্যাতনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, তাতে ইসলামের তথাকথিত এই সেনাবাহিনীর সরাসরি একটা অংশ দায়ী। কারণ তারাই মুসলিম উম্মাহর প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে শত্রু বাহিনীর অগ্রসেনা দল।
হে প্রিয় ঈমানদার ভাইয়েরা!
ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ খুবই ব্যাপক ও প্রসারিত। এর প্রভাব অনেক বেশি। এই যুদ্ধের প্রভাব উপমহাদেশ এবং আরব বিশ্ব উভয় জায়গায় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এই যুদ্ধের একমাত্র লক্ষ্য হলো, ইসলামের আলো নিভিয়ে দিয়ে তদস্থলে কুফর ও শিরকের অন্ধকার ছড়িয়ে দেয়া। হিন্দুস্তান থেকে ইসলাম অপসারণ করা এবং গোটা ভারতীয় উপমহাদেশকে হিন্দুত্ববাদীদের দাসত্বে নিয়ে আসাই এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য। আল্লাহ না করুন! মসজিদে আকসাকে ধ্বংস করা, তার স্থলে ইহুদিদের টেম্পল নির্মাণ করা, এরপর বিরাট আয়তনের ইসরাইল গঠন করে সারা পৃথিবীতে শিরক ও ফাসাদের দাজ্জালি শাসনব্যবস্থা কায়েম করাই - গোটা পৃথিবীতে চলমান এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য। এ পর্যায়ে যখন এই যুদ্ধ এবং তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, তখন এ কথা আমাদের বলতেই হয় যে, না ... কখনোই নয়.. তারা কখনোই সফল হবে না…।
ফিলিস্তিন কখনো ইহুদীদের ছিল না আর কখনো তাদের হবেও না। ফিলিস্তিন মুসলিমদের ছিল এবং তাদেরই থাকবে। আল্লাহর দ্বীনই বিজয়ী হবে। আল্লাহর সাহায্য অবশ্যই আসবে। আমাদের উপরোক্ত বক্তব্য পুরোপুরি ন্যায় সঙ্গত। এই বক্তব্য সঠিক হবার ব্যাপারে আমাদের তিল পরিমাণও সন্দেহ নেই। এই প্রসঙ্গে আপনাদের নিকট দুটি বিষয় নিবেদন করা জরুরি মনে করছি।
প্রথম বিষয়: নিঃসন্দেহে আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে। কিন্তু এই সাহায্য কখনো নিজ থেকে আসবেনা। তার জন্য ঈমানদারদের উঠে দাঁড়াতে হবে এবং কোমর বেঁধে নেমে পড়তে হবে। মুসলিমরা যদি নিজেরা নিজেদেরকে যোগ্য করে তোলে, তাহলেই আল্লাহর সাহায্য তাদের সঙ্গী হবে।
আল্লাহর কিতাবে বলা হয়েছে, তার সাহায্যের জন্য শর্ত হলো আমাদের উঠে দাঁড়ানো, উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং আল্লাহর রাস্তায় জান মালের কুরবানি পেশ করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন:
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن تَنصُرُواْ ٱللَّهَ يَنصُرۡكُمۡ وَيُثَبِّتۡ أَقۡدَامَكُمۡ
অর্থঃ “হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, তবে তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা সমূহ সুদৃঢ় করবেন”। (সূরা মুহাম্মদ ৪৭:৭)
যদি আমরা আল্লাহর হয়ে যাই, আল্লাহর দ্বীনের অনুসরণ করি, তার শরীয়তের পাবন্দি করি, দ্বীন ইসলামের জন্য আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করি, ত্যাগ তিতিক্ষা স্বীকার করি, তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে সাহায্যকারী ও অভিভাবকহীন অবস্থায় ছেড়ে দিবেন না। বরং এমন ঈমানদারদেরকে সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব। আল কুরআনের বাণী
وكان حقا علينا نصر المؤمنين
অর্থঃ “ঈমানদারদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব”। (সূরা রুম ৩০:৪৭)
এটাই যেহেতু বাস্তবতা, এখন আমাদের দেখা উচিত, আমরা নিজেদের অন্তর ও কাজ কর্মের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর নিকট আল্লাহর সাহায্য ঘনিয়ে নিয়ে আসছি নাকি তার বদলে আল্লাহর সাহায্যকে আরো দূরে ঠেলে পাঠিয়ে দিচ্ছি?
আমাদের এমন প্রতিটি কাজকর্ম - যা করার দ্বারা অথবা না করার দ্বারা আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন, তেমন প্রতিটি কাজকর্মই আল্লাহর সাহায্যকে এই উম্মাহর কাছ থেকে দূরে ঠেলে দেয়। ওই সমস্ত কাজের মধ্যে একটি ‘আমর বিল মারুফ এবং নাহি আনিল মুনকার’ ছেড়ে দেয়া। এই মহান কাজ যখন ছেড়ে দেয়া হয় এবং এর ফলে অনাচার, পাপাচার ও গর্হিত কাজকর্ম ব্যাপক হয়ে ওঠে, তখন আল্লাহর সাহায্য ও সঙ্গলাভ থেকে এই উম্মাহ বঞ্চিত হয়। তখনই উম্মাহর শত্রুরা অগ্রসর হবার সুযোগ পেয়ে যায়।
এমনিভাবে আরো গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি পরিত্যাগ করার দ্বারা আল্লাহর সাহায্য দূরে চলে যায় তা হল- জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ্। এটি ওই ফরজ বিধান যা পরিত্যাগ করলে আল্লাহ (কুরআনের ভাষায়)
إِلَّا تَنفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا ۗ وَاللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
অর্থঃ “যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান”। (সূরা তাওবা ৯:৩৯)
এভাবেই আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে আযাব ও শাস্তির ধমকি বাণী শুনিয়েছেন। আর আল্লাহর বিধান পরিত্যাগকারী সম্প্রদায়কে নিজের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করে তাদের স্থলে অন্য কোন সম্প্রদায় এনে দাঁড় করাবার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে। কিন্তু সেই সাহায্য লাভের যোগ্য হওয়ার জন্য আমাদের কষ্ট ও পরিশ্রম করতে হবে। নিজেদের হৃদয়, অন্তর, বাহ্যিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, কথাবার্তা ও কাজকর্মের দ্বারা এ বিষয়টা প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা বাস্তবেই ঈমানদার। গাইরুল্লাহর বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে এই দ্বীনের প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
দ্বিতীয় নিবেদন হলো: মুসলিম উম্মাহর স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বিজয় প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোকে রক্ষার আবেগ আমাদের হৃদয়ে রয়েছে। সেজন্য জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ হওয়াকেও আমরা অবশ্য করণীয় বলে মনে করি। এই অবস্থায় জায়নবাদীদের আজ্ঞাবহ সেনাবাহিনীর সামনে দাবি পেশ করা, তাদের পক্ষ থেকে মুসলিম উন্মাহর সাহায্যে এগিয়ে আসার প্রত্যাশা করা অথবা নিজেদের জিহাদ ও অন্যান্য কার্যকলাপকে তাদের অনুমতি ও অনুমোদনের সঙ্গে শর্তযুক্ত রাখা- কখনোই আমাদের জিহাদের সঠিক পন্থা হতে পারেনা। উল্টো এমনটা করা জায়নবাদীদের কাছে ইসলামের সাহায্য আশা করারই নামান্তর।
ঈমানদারেরা এক গর্তে দুবার দংশিত হয় না। ঈমানদারের শত্রু মিত্র কে হবে সেই সিদ্ধান্ত শরীয়ত দিয়ে দিয়েছে। ঈমানদার আল্লাহর জন্যই কাউকে সাহায্য সমর্থন করে। আল্লাহর জন্যই বন্ধুত্ব করে, আল্লাহর জন্যই শত্রুতা করে। কোন জাতি, রাষ্ট্র, মাতৃভূমি, গোত্র অথবা গ্রুপের পরিচয়ের ভিত্তিতে এই শত্রুতা মিত্রতা নির্ণীত হয় না। মুসলিম উম্মাহর প্রতিষ্ঠা, ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোর মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলাম বিজয়ী হবার জন্য জিহাদ ফরজে আইন। এই জিহাদ জায়নবাদীদের আজ্ঞাবহ সেনাবাহিনীর সমর্থন ও সহানুভূতি সহকারে কখনোই সম্ভব নয়। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন তাদের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে এবং শত্রুতার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হবে। যে সেনাবাহিনী আজ ইসলামের মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাকে নিজেদের কর্তব্য মনে করে এবং মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত করে জায়নবাদীদের কাছ থেকে দাসত্বের পারিশ্রমিক বুঝে নেয়, তাদেরকে মুসলিমদের সেনাবাহিনী বলা এবং আমেরিকা ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের কাছে জিহাদের দাবি পেশ করার বদলে সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-জিহাদ করাটাই মুসলিম উম্মাহর ফরজ দায়িত্ব হয়ে যায়।
আল্লাহর কাছে কামনা করি, তিনি মুসলিম উম্মাহর ওপর রহম করুন! ইসলামের মুজাহিদীনকে সঠিক পথনির্দেশনা ও একতা দান করুন!
হে আল্লাহ! যে মুজাহিদীন জায়নবাদী অনাচার অত্যাচারের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে, তারা ফিলিস্তিনের ভেতরে হোক কিংবা বাহিরে, আপনি তাদেরকে সাহায্য করুন! তাদের নিশানা সঠিক করে দিন! তাদেরকে মজলুম এই উম্মাহর হৃদয়ের শীতলতার কারণ বানিয়ে দিন!!
আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন জায়নবাদীদের আজ্ঞাবহ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত মুজাহিদীনকে সাহায্য ও বিজয় দান করেন! ঈমানদারদের ওপর থেকে এই আজ্ঞাবহ সেনাবাহিনীর অনিষ্ট দূর করার তাওফিক তাদেরকে দান করেন! যেন পৃথিবীর বুকে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ প্রস্তুত হয়ে যায়।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে সাহায্য করুন, সঠিক পথ দেখান, উম্মাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদেরকে আপনি ব্যবহার করুন। আপনার সন্তুষ্টি, মুসলিম উম্মাহর প্রতিষ্ঠা ও নবজাগরণে আমাদের রক্তকে আপনি কবুল করুন! আমীন, ইয়া রব্বাল আলামীন!!
وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين
২৮ শে রমযানুল মোবারক ১৪৪৫ হিজরী,
৮ই এপ্রিল ২০২৪ ঈসায়ী
***
روابط بي دي اب
PDF (222 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [২২২ কিলোবাইট]
https://archive.gnews.to/index.php/s/36WSF9MMP4QFiHZ
https://workdrive.zohopublic.eu/file/5zzjv2ddbbef843fa4323998e50c44eb22ca0
https://mega.nz/file/YX9X3I6I#kEpm0QQ_cl5JwN_0kQqXJWll4dIR3R4cEBAL-Vw5hAo
https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=r2v2c6k1o8
روابط ورد
Word (540 KB)
ওয়ার্ড [৫৪০ কিলোবাইট]
https://archive.gnews.to/index.php/s/GRqjoNLJegdPkZT
https://workdrive.zohopublic.eu/file/5zzjv73ad78409b694715a479272fea437c3e
https://mega.nz/file/wPESlBgL#LI1GvZwxZhqdLfoXLiePJXX22blYmkKw9bdBl4h4QJA
https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=q1k4f7s4c7
روابط الغلاف- ١
book cover [1.1 MB]
বুক কভার ডাউনলোড করুন [১.১ মেগাবাইট]
https://archive.gnews.to/index.php/s/NTiqWRZeef4ZwEb
https://workdrive.zohopublic.eu/file/5zzjv732a891413934be9b45a48d859d95127
https://mega.nz/file/QSsRRIRT#9pfs2qT0khkebSXasGR_7xtasPDr10x0jDLUHyE4OmU
https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=v6p4z7m9u8
روابط الغلاف- ٢
Banner [2.1 MB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [২.১ মেগাবাইট]
https://archive.gnews.to/index.php/s/Y25KQ8dRH4bj78c
https://workdrive.zohopublic.eu/file/5zzjvedb2d3a80bed44d8b839f4b27b3c92a3
https://mega.nz/file/0GdG0C6R#DsmgGjAPYhtIe0mMVA1WR9MWVjPDm5DyTN1AmlpAbuY
https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=d1v8r7h5j2
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent