NoteShare

AQC_Gaza_haspatal_hamla

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media

 

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

 

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ 
Bengali Translation

 

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled: 

 

پریس ریلیز – بيان بشأن الحرب الصهيوصليبية ضد مستشفيات غزة 
وذبح الالاف من المرضى والجرحى والأطفال الخدج الأبرياء

 

কায়িদাতুল জিহাদ - কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
গাজা’র হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে জায়নবাদী ক্রুসেডারদের যৌথ হামলা সম্পর্কে বিবৃতি
প্রসঙ্গত হাজারো অসুস্থ, আহত ও অপরিণত শিশুদের ইচ্ছাকৃত হত্যা

 

Press Release – 
Statement on the Zionist Crusaders' Joint Attack on Hospitals and Medical Centers in Gaza
Incidentally, thousands of sick, injured and premature babies were systematically killed  

 

 

কায়িদাতুল জিহাদ - কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
গাজা’র হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে জায়নবাদী ক্রুসেডারদের যৌথ হামলা সম্পর্কে বিবৃতি
প্রসঙ্গত হাজারো অসুস্থ, আহত ও অপরিণত শিশুদের ইচ্ছাকৃত হত্যা

 

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি ইরশাদ করেছেন:

إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِي الْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا يَسْتَضْعِفُ طَائِفَةً مِّنْهُمْ يُذَبِّحُ أَبْنَاءَهُمْ وَيَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ ۚ إِنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ﴿٤﴾‏ وَنُرِيدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ﴿٥﴾‏

অর্থ: “ফেরাউন তার দেশে উদ্ধত হয়েছিল এবং সে দেশবাসীকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে তাদের একটি দলকে দুর্বল করে দিয়েছিল। সে তাদের পুত্র-সন্তানদেরকে হত্যা করত এবং নারীদেরকে জীবিত রাখতো। নিশ্চয় সে ছিল অনর্থ সৃষ্টিকারী। দেশে যাদেরকে দুর্বল করা হয়েছিল, আমার ইচ্ছা হল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করার, তাদেরকে নেতা করার এবং তাদেরকে দেশের উত্তরাধিকারী করার।” (সূরা কাসাস ২৮: ০৪-০৫)

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি নিচে উল্লেখিত ঐশী বাণী দ্বারা আপন বান্দাদের হৃদয় প্রশান্ত করেছেন:

وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ﴿١٦٩﴾‏

অর্থ: “আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত।” (সূরা আলে-ইমরান ০৩: ১৬৯)

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি তাঁর পথে শাহাদাত লাভ করাকে সর্বোচ্চ সাফল্য, কামিয়াবি ও কল্যাণময় বানিয়েছেন। আহত বা নিহত হওয়ার কারণে জান্নাতে আপন বান্দাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করি, তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করি, তাঁর উপর ভরসা করি। একমাত্র তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট। কতইনা উত্তম কর্মবিধায়ক তিনি।

হে আল্লাহ! আমাদের দেহ, মন, রক্ত— সবকিছুই আপনার মালিকানাধীন; আমরা আপনার গোলাম। আমরা সকলেই আপনার কাছে প্রত্যাবর্তনকারী। আপনি যা কিছু আমাদের থেকে নিয়েছেন, তা আপনারই। যা কিছু আমাদেরকে দান করেছেন, তাও আপনারই। আপনার কাছে সবকিছুরই একটি সুনির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে।

হে আল্লাহ! সর্বাবস্থায় শুধু আপনার প্রশংসা। আপনার ফয়সালার ব্যাপারেও শুধু আপনার প্রশংসা। আপনার নির্ধারণের ব্যাপারেও আপনার প্রশংসা। আমরা যা কিছু বলি সব কিছুর চেয়ে আপনার প্রশংসাময় ফায়সালা অধিক উত্তম, অধিক সুন্দর। প্রকৃত অর্থেই একমাত্র আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আমরা আপনার ইবাদত করি। আমরা আপনার গোলাম হে আল্লাহ! আমাদের থেকে যতটুকু চান ততটুকু রক্ত আপনি গ্রহণ করে নিন।

শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। তিনি বলেছেন –

وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أَنِّيْ أُقْتَلُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا ثُمَّ أُقْتَلُ

অর্থঃ “সেই সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমি পছন্দ করি আমাকে যেন আল্লাহর রাস্তায় শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, অতঃপর শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, পুনরায় শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, আবার শহীদ করা হয়।” (সহীহ বুখারী: ২৭৯৭, সহীহ মুসলিম: ১৮৮৬)

 

ফিলিস্তিনে আমাদের দীনি ভাই বোনেরা!

আসসালামু আলাইকুম!

 আপনাদের পুণ্যবান শহীদানের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। যারা মুত্তাকী ও নির্বাচিত!

আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক ইসলামী ভূমির এমন সকল অতন্দ্র প্রহরীর উপর, যারা বরকতময় ঈমানী ভূমি ও পবিত্র মাটি থেকে ফিরে আসতে অনিচ্ছুক।

ধৈর্যশীল, অটল-অবিচল সৈনিকদের উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। সকল মুজাহিদ ও মুরাবিতের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের বিপদ-আপদ; আপনাদের হাজার হাজার ঈমানদার ভাই, বোন, শিশু ও বৃদ্ধের শাহাদাতের মধ্য দিয়ে যে বিপদ আপতিত হয়েছে আপনাদের উপর, এই বিপদে আল্লাহ আমাদের এবং আপনাদের প্রতিদান বৃদ্ধি করে দিন।

হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র, মসজিদ, বিদ্যালয় কোনো কিছুই গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। এ সমস্ত হামলায় আপনাদের যারা নিহত হয়েছেন, তাদেরকে আমরা শহীদ হিসেবে বিবেচনা করি। আমাদের রবের নিকট তারা নিশ্চয়ই রিযিকপ্রাপ্ত হচ্ছেন। আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে কামনা করি, যেন তিনি আমাদের শহীদদের পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফীক দান করেন। তিনি তাদের সহায় হয়ে যান। তিনি যে ফায়সালা করেছেন, তার প্রতি তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখেন।

আল্লাহর শপথ! এটা এমন এক দরজা যার ভেতরাংশে সাফল্য, রহমত ও প্রশান্তি। আর বাহ্যিক অংশ দুঃখ-বেদনা ও আঘাতে জর্জরিত। আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য বলেছেন। তিনি বলেছেন:

"‏ مَا يَجِدُ الشَّهِيدُ مَسَّ الْقَتْلِ إِلاَّ كَمَا يَجِدُ أَحَدُكُمْ مَسَّ الْقَرْصَةِ ‏"‏

অর্থঃ “শহীদ ব্যক্তি নিহত হওয়ার সময় কোনো কষ্টই অনুভব করে না, শুধু এতটুকু যে, তোমাদের কাউকে পিঁপড়ায় দংশন করলে সে যতটুকু ব্যথা অনুভব করে।” (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮০২, তিরমিযী: ১৬৬৮)

এই দেহ তো বন্দীশালা। শাহাদাতের মাধ্যমে হৃদয় তা থেকে মুক্ত হয়ে আপন রবের কাছে জান্নাতে চিরস্থায়ী অনাবিল সুখ শান্তির ঠিকানায় চলে যায়। তাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ওই ব্যক্তিকে, যে দেহের বন্দীদশা থেকে হৃদয়কে মুক্ত করতে পেরেছে। কাবার রবের শপথ! ওই ব্যক্তির জন্য মোবারকবাদ; যে ব্যক্তি আপন রবের পথে শাহাদাত বরণ করে সাফল্য অর্জন করেছে।

কবি বলেন:

أَغَزَّةُ عُذْرًا أَنْتِ أَسْمَى مَكَانَةً

দুঃখিত হে গাজা! তুমি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী

وَشَأْنُكِ مِنْ كُلِّ الْقَصَائِدِ أَرْفَعُ

এবং তোমার মর্যাদা সকল কবিতার চেয়েও সর্বোচ্চ

فَشِعْرُكِ بُرْكَانٌ مِنْ الرَفَضِ ثَائِرٌ

তোমার কবিতা তো দ্রোহের জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি

وَصَوْتُ مدوٍّ بِالْكَرَامَةِ يَصْدَعُ

এবং গৌরবমিশ্রিত ধ্বনিতে বাজতে থাকা কণ্ঠস্বর

فَمِنْكِ تَعَلَّمْنَا القَصِيْدَ وخُظْمَهُ

তোমার কাছ থেকেই আমরা শিখেছি কবিতা এবং মহত্ব

وَكَيْفَ الْإبَا وَالنَّصْرُ بِالْفَعْلِ يَصْنَعُ

এবং শিখেছি কিভাবে অর্জন করতে হয় বিজয় ও গৌরব

أَلَا عَلَّمِيْنَا كَيْفَ نَحْيَا أَعِزَّةَ

আমাদের শেখাও তুমি, কিভাবে সম্মানের সাথে বাঁচতে হয়

وَكَيْفَ جِبَاهُ الْحَقِّ بِالْحَقِّ تُرْفَعُ

এবং কিভাবে হকের ললাট সত্য দ্বারা সমুন্নত হয়

 

হে গর্বিত উম্মাহ!

মার্কিন জায়নবাদী জোট ইচ্ছাকৃতভাবে বারংবার মসজিদ, মাদরাসা, বাজার, হাসপাতাল- সবকিছুকেই টার্গেট করে হামলা করছে। বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এ থেকে বোঝা যায়, তাদের মনের মধ্যে কতটা হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা রয়েছে। বিকৃত হয়ে যাওয়া তাওরাত গ্রন্থের হিংস্রতার শিক্ষা নিয়ে এই ইহুদী প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে। মানবিকতার সামান্যতম ছোঁয়া থাকলেও এমন কর্মকাণ্ড কারো দ্বারা প্রকাশ পাওয়া সম্ভব না।

আল্লাহ তাআলা যেদিন থেকে যুদ্ধ ও তরবারি ব্যবহারের আয়াত নাযিল করেছেন, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত- ইসলামে লড়াইয়ের পথ ও পন্থা কখনোই এ জাতীয় হিংস্রতা ও পাশবিকতার দিকে অগ্রসর হয়নি। যদি ‘সেপ্টেম্বরের হামলা’ এবং ‘তুফানুল আকসা’ এই উভয় অভিযানের কথাও বলি, যে অভিযানগুলো বর্তমান সময়ে ক্রুসেডার জায়নবাদীদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে, সেখানেও এমন হিংস্রতা দেখা যায়নি। গোটা বিশ্বের কাছে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি, তারা শিশুদের এমন কিছু চিত্র দেখাক, যেখানে মুসলিম যোদ্ধারা এতটা নির্মমতা ও নৃশংসতার সাথে হত্যা করেছে।

এগুলো কখনোই মুসলিমদের পরিচয় ও কাজ নয়। মুসলিমদের উপর এই নৃশংসতা চালানোর পর, গোটা বিশ্বে আর কারো এই সুযোগ নেই যে, মুসলিম উম্মাহকে সভ্যতা, ভদ্রতা ও মানবাধিকার শেখাতে আসবে। ক্রুসেডার জায়নবাদী ও পশ্চিমা যৌথ শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের আগামী দিনের যুদ্ধগুলোতে মুসলিম উম্মাহ জাতিসংঘের কোনো চুক্তি অথবা তথাকথিত মানবাধিকারের কোনো তোয়াক্কা করবে না। কারণ রক্ত শুধু রক্তই বয়ে আনে। যে ব্যক্তি সমান সমান প্রতিশোধ নেয়, তার এহেন কাজ জুলুম নয়। আল্লাহ তাআলা ইসলামের শহীদ শায়খ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহকে কবুল করুন। তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে এই বলে সতর্ক করেছিলেন: “নিশ্চয়ই প্রতিক্রিয়া, ক্রিয়া থেকেই উদ্ভূত হয়। আর আমাদের কাজগুলো কাফেরদের কাজের প্রতিক্রিয়া।”

আল্লাহ সুবহানাল্লাহ ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُم بِهِ

অর্থ: “আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়।” (সূরা নাহল ১৬: ১২৬)

কাপুরুষ জায়নিস্ট সেনাবাহিনী আল-শিফা হাসপাতাল নিয়ে যে মিথ্যা, প্রতারণামূলক ও অন্যায় নাটক দেখিয়েছে, চিকিৎসারত শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও আহতদেরকে হত্যা করার পর তারা যা যা করেছে, এই হাসপাতালকে গাজার জিহাদী নেতৃবৃন্দের কেন্দ্র ঘোষণা করে যেভাবে তারা চিৎকার চেঁচামেচি করেছে, সবকিছু শেষে দেখা গেলো, ওই হাসপাতালে একজনও সশস্ত্র সৈনিকের কোনো চিহ্ন নেই! আসলে এসবের পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিল: হাসপাতালে এমআরআই মেশিন এবং এ জাতীয় অন্যান্য সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা। কারণ এগুলোর উপর আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নির্ভর করে। এগুলোর দ্বারা চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষকে সুস্থ করে তোলা হয় এবং তাদের জীবন রক্ষা হয়।

আল্লাহর কসম! আল্লাহর শপথ! আজ হোক কাল হোক, মুসলিম উম্মাহ হিসেবে আমাদের উপর আযাব ও শাস্তি চলে আসবে- যদি আমরা এই জায়নবাদী ও আমেরিকানদের মত অসভ্য জাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বের না হই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

إِلَّا تَنفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا ۗ وَاللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴿٣٩﴾‏

অর্থ: “যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।” (সূরা তওবা ০৯: ৩৯)

এমন ব্যক্তিদের উদরপূর্তি না হোক, যারা আজও জায়নবাদী ও মার্কিন কোম্পানির খাবার ও পানীয় পানাহার করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান থাকলেও কোনো ব্যক্তি মার্কিন, ইউরোপিয়ান ও জায়নবাদী কোম্পানির খাবার, পানীয়, পোশাক ও অন্যান্য আসবাবপত্র ক্রয় করতে পারে না। সামান্য পরিমাণ ঈমান থাকলে তাদের জিনিস ক্রয় করে সেগুলোতে ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনদের রক্তের রং ও স্বাদ অনুভব করবে না- এমন কেউ থাকতে পারে না। কতই না নিকৃষ্ট মুসলিম আমরা, যদি প্রতিটি মার্কিন, ইউরোপিয়ান ও জায়নবাদী কোম্পানিকে আমরা বয়কট করতে না পারি!

হে মুসলিম উম্মাহ!

নিশ্চয়ই যে মিসাইল ও রকেটগুলো গর্বিত গাজায় আমাদের ভাই-বোনদেরকে দগ্ধ করছে, সেগুলোর উৎস হলো আমাদের বুকের উপর চেপে বসা আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান সেনা ঘাঁটিগুলো। যেমন কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটি, রিয়াদের প্রিন্স সুলতান ঘাঁটি, বাহরাইন, আমিরাত, কুয়েত ও মিশরে অবস্থিত ঘাঁটি, তুরস্কে অবস্থিত ইনসিরলিক ঘাঁটি। এমনিভাবে ইসলামী বিশ্বের আরো বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিসমূহ। যদি ইসলামপন্থিরা শত্রু বাহিনীকে আক্রমণের জন্য এবং গাজায় আমাদের ভাই-বোনদের হত্যাকারীদেরকে বিতাড়িত করার জন্য গণসমাবেশ ও মিছিল বের না করে, তাহলে ইসলামপন্থিদের মাঝে কোনো কল্যাণ নেই।

আমেরিকা, ইসরাঈল এবং অপরাধী এই চক্রকে সমর্থনকারী সকল দেশের দূতাবাস মুসলিম উম্মাহর সন্তানদের বৈধ টার্গেট। উম্মাহর যুবকদেরকে আমরা আহ্বান করি, এ সমস্ত দূতাবাসে তোমরা ঝাঁপিয়ে পড়, এগুলো পুড়িয়ে দাও। বেনগাজি শহরের আত্মমর্যাদাপূর্ণ যুবকদের পথ তোমরা অনুসরণ করো। অল্প কয়েক বছর আগে লিবিয়ার রাজপথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তারা হত্যা করে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল।

 

উদ্ধত পশ্চিমা বিশ্বে বসবাসকারী হে উম্মাহর সন্তানেরা!

আজ আপনাদের ভাইদেরকে  সহযোগিতা করার এবং তাদের পাশে এসে দাঁড়াবার সুযোগ আপনাদের সামনে। আপনারা জায়নবাদীদেরকে হত্যা করে চরম শিক্ষা দিয়ে দিন। তাদেরকে হত্যা করতে এবং তাদের মালিকানাধীন সকল কিছু ধ্বংস করার বিষয়ে কারো পরামর্শের প্রয়োজন নেই। তাদের মাঝে যারা জায়নবাদী রাষ্ট্রকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে— এমন নিকৃষ্ট ব্যক্তিদেরকে আপনারা চরম মূল্য দিতে বাধ্য করুন।

 

মুসলিম উম্মাহর অস্ত্র বহনকারী হে মুজাহিদীন!

এখনই তো আপনাদের সময়। তাই আপনারা আল্লাহকে দেখিয়ে দিন— যা তিনি পছন্দ করেন। আপনারা নিজেদের বন্দুক ও ড্রোন বিমানগুলো, নিজেদের কামান ও ফিদায়ী তথা জীবন উৎসর্গকারী সৈনিকদেরকে জালিম কাফির সম্প্রদায়ের কণ্ঠে আঘাতের জন্য পাঠিয়ে দিন।

وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ وَأَخْرِجُوهُم مِّنْ حَيْثُ أَخْرَجُوكُمْ ۚ وَالْفِتْنَةُ أَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ

অর্থঃ “আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে।” (সূরা বাকারা ০২: ১৯১)

গাজায় আপনাদের ভাই-বোনদের সাহায্যের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন! জায়নবাদীরা আমাদের ভাই-বোনদেরকে আমাদের ভূমি ছাড়তে বাধ্য করার আগেই এবং আমাদের উপর ১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের বিপদ চাপিয়ে দেবার আগেই আপনারা উঠে দাঁড়ান।

জায়নবাদী যুদ্ধাপরাধী বাইডেন জায়নবাদী রাষ্ট্রে সফরকালে এ কথা বলে তার বক্তব্য শেষ করেছে যে, তাদের প্রতি তার একটিই বার্তা: “তোমরা একা নও।” আমরা মুসলিম উম্মাহ এবং উম্মাহর মুজাহিদ দল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সফরের ভূমিতে অবস্থানরত আমাদের ভাই-বোন ও মুজাহিদদের একটি কথাই বলতে চাই আপনারাও একা নন।

হে আল্লাহ! আপনি আপনার দীন এবং প্রিয় বান্দাদেরকে সাহায্য করুন। আপনার বান্দা-বান্দীদের রক্ত হেফাযত করুন। জিহাদের পতাকা উঁচু করে দিন। কাফের মুরতাদ ও পাপিষ্ঠদের নির্মূল করুন। আপনার শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং আপনার বান্দাদের সাহায্যে আমাদেরকে ব্যবহার করুন।

 

وآخر دعوانا ان الحمد لله رب العالمين

                                                                     

জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী

নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

 ***

 


روابط بي دي اب
PDF (594 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৫৯৪ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/aqc-gazar-haspatale-hamla/AQC%20-%20GazarHaspataleHamla.pdf


https://jmp.sh/0Lox9tpo


https://www.mediafire.com/file/cejcf97sn20ty4m/AQC+-+GazarHaspataleHamla.pdf/file


https://mega.nz/file/FcRwibAQ#GwbDInV4PXWW5LvOOaGqgdOoTM1kL0uJmim3rMXgSMs

 

 

روابط ورد 
Word (710 KB)
ওয়ার্ড [৭১০ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/aqc-gazar-haspatale-hamla/AQC%20-%20GazarHaspataleHamla.docx


https://jmp.sh/BVcwDeDo


https://www.mediafire.com/file/dogsix3wiiub9xe/AQC+-+GazarHaspataleHamla.docx/file


https://mega.nz/file/QExTgYqC#VkG4C9uke7tIh_6FhDywzY1-z_nzbEk4gVBZneaA76w

 

 


روابط الغلاف
Banner [2 MB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [২ মেগাবাইট]
https://archive.org/download/aqc-gazar-haspatale-hamla/AQC%20-%20GazarHaspataleHamla.png


https://jmp.sh/8y2v6iVJ


https://www.mediafire.com/file/7octg1p4ythxp7a/AQC+-+GazarHaspataleHamla.png/file


https://mega.nz/file/dIQQjC4S#dKrPpC4yCg4QEu2WGfteVxcJrh4tsuipAwUlJJLlrAQ

 

 


مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي 
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية 
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent