NoteShare

nirbason_noy

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media

 

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

 

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ 
Bengali Translation

 

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled: 

 

لا للتهجير – بعض الأفكار من خارج الصندوق || بقلم: محسن الرومي

 

নির্বাসন নয়
ফ্রেমের বাইরে কিছু চিন্তা-ভাবনা || মূল- মুহসিন আল রুমি

 

Not exiled
Some thoughts outside the frame || Author - Muhsin Al Rumi

 

 

 

 

নির্বাসন নয়

ফ্রেমের বাইরে কিছু চিন্তা-ভাবনা

মূল

মুহসিন আল রুমি

 

অনুবাদ

আন-নাসর অনুবাদ টিম

 

 

ইউক্রেনে যুদ্ধ লেগে গেল। তখন তার অর্ধেক অধিবাসী ইউরোপে পারি জমালো। ‍সিরিয়ায় আমাদের পুণ্যবান নাগরিকদের অর্ধেক, সেখানকার নুসাইরি সরকার ও তার মিত্রদের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে হিজরত করলো। সুদানে আমাদের লাখ লাখ জনগণ সেখানকার কসাই, সুদানের সম্ভ্রান্ত নারীদের সম্মান হরণকারী হামিদাতির অপরাধযজ্ঞ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে চলে যায়। অত্র অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোকে ছিন্নভিন্ন করা এবং তার অস্ত্র ও সম্পদগুলো নষ্ট করার ইহুদীবাদী নীল নকশা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই হামিদাতি আরবের শয়তান ইবনে যায়দের এজেন্ট। এমনিভাবে সুদানিগণ তাগুত বুরহানের সন্ত্রাস ও বোম্বিং থেকে বাঁচতেও হিজরত করে, যে হল ইবনে যায়দের সহযাত্রী বিন সালমানের চাকর। এরা নিজ ইহুদী-খ্রিস্টান মনিবদের সেবায় মুসলিম জনগণের শক্তিগুলো ধ্বংসের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

সোভিয়েতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও আমেরিকান যুদ্ধের সময় আফগান থেকে লাখ লাখ নাগরিক হিজরত করেন। এমনিভাবে পাকিস্তানে পাক-মুরতাদ সেনাবাহিনীর জুলুম থেকে বাঁচতে, হাজার হাজার কাবায়েলি আত্মমর্যাদাশীল লোককে গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত হতে হয়। এই সেনাবাহিনী তাদের আমেরিকান মনিবদের সেবায় মানুষ ও পাথরের উপর ঢালাওভাবে বোম্বিং করেছে।

 

১৯৪৮ ও ১৯৬৭ সালের সংঘাতের সময় আরব শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আমাদের পিতৃপুরুষগণও হিজরত করেন।

 

তাদেরকে শাসকরা ওয়াদা দিয়েছিল, ‍যুদ্ধের সমাপ্তির পরে ফিরে আসতে পারবে। কিন্তু বহু দশক অতিবাহিত হওয়ার পর, এখনও তারা সেই প্রত্যাবর্তনের সময়ের অপেক্ষায় আছে।

তবে তাদের আত্মমর্যাদাশীল নাতিরা বর্তমানে গাজা থেকে জোরপূর্বক দেশত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়ে দিয়েছে। তাদের উপর টনে টনে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে, যার নজির মানবজাতি হিরোশিমায় আমেরিকান ধ্বংসযজ্ঞের পর থেকে আজ পর্যন্ত দেখেনি। গত দুই সপ্তাহে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের উপর যে বোম্বিং করা হয়েছে, তা হিরোশিমার মার্কিন বোমাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

তারা পরিপূর্ণ অবিচলতা ও দাপটের সঙ্গে তাদের পূর্বসূরিদের ট্রাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

 

আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন! তাদের পুরস্কার তো আল্লাহর নিকট। কিন্তু তারা আমাদেরকে আদর্শ, অবিচলতা ও দৃঢ়তার কত দামি শিক্ষা উপহার দিলেন! আল্লাহ তাদেরকে দৃঢ় রাখুন এবং সাহায্য করুন।

হে মুসলিম উম্মাহ!

আমাদেরকে যেন সেই কথার পুনরাবৃত্তি করতে না হয়, যা অতীতেও বলা হয়েছে। এখনও অনবরত বলা হচ্ছে যে, এই মোকাবেলায়, এই পবিত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করাটা জরুরি এবং এটা ফরয। যারা এই ফরযকে অস্বীকার করে, তারা কাফের। এমনটা স্পষ্টভাবে বলেছেন সেই সকল সম্মানিত আলেম, যারা মধ্যপন্থি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ আন্দোলনগুলোকে পর্যবেক্ষণ করছেন। এটা সেই সকল লোকদের বক্তব্য নয়, যারা এ সকল আন্দোলনকে ‘কট্টরপন্থা’ হিসাবে গণ্য করে। যদিও শত্রুরা এখন এর মাঝে আর ওর মাঝে কোনো পার্থক্য করে না। এখন সকলেই একশ্রেণিভুক্ত হয়ে গেছে।

আমরা এই প্রকাশনাটির মাধ্যমে আমাদের জনগণের জন্য প্রথাগত ফ্রেমের বাইরে কিছু চিন্তা-ভাবনা পেশ করতে চাই। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি এর দ্বারা সকলকে উপকৃত করুন। আর আমরা এই প্রবন্ধটির মাধ্যমে আমাদের সম্মানিত ডাক্তার শ্রেণি, উম্মতের বাহাদুর যুবক শ্রেণি এবং ঈমানদার তরুণ শ্রেণি, তথা মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পুণ্যবান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করছি:

 

আমাদের জাতির সম্মানিত ডাক্তারদের প্রতি বার্তা -

আমাদের মহান জাতি!

 

বর্তমান সময়ে অনেক মুসলিম দেশ থেকে আমাদের চিকিৎসক সন্তানদের ৫০% এরও বেশি চিকিৎসক পশ্চিমা দেশগুলাতে চলে যাচ্ছে। কারণ আমাদের নষ্ট সরকারগুলো চিকিৎসকদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও উপযুক্ত বেতন সরবরাহ করে না। এমন সময় গাজার মহান চিকিৎসকগণ, পাহাড়ের ন্যায় ধৈর্য ধারণ করে সবচেয়ে কঠিন ও বিপদজনক পরিস্থিতিতে তাদের মহান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ধ্বংসাত্মক বোম্বিংয়ের নিচে থাকা পবিত্রাত্মাগুলোকে রক্ষা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এমনকি তাদের কেউ কেউ নিজ পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে হারিয়েছেন। তারপরও আল্লাহর নিকট এর পুরস্কারের আশা করে এবং আল্লাহর দিকেই রুজু হয়ে নিজেদের মহান দায়িত্ব অব্যাহত রেখেছেন। আল্লাহর শপথ! এগুলো পবিত্রাত্মা, যারা আল্লাহর নিকট যা আছে, তা কামনা করছে। আমরা তাদের ব্যাপারে এমনটা ধারণা করছি; বাকি, তাদের হিসাব আল্লাহর হাতে।

তাদের জন্য সম্ভব ছিল তাদের সহপাঠীদের ন্যায় পশ্চিমা দেশগুলোতে চলে যাওয়া। কিন্তু

 

 

তারা তাদের রবের নিকট যা আছে, সেটাকেই বেছে নিয়েছেন। আর নিজেকে দীন ও মুসলিম ভাইদের খেদমতে নিয়োজিত করেছেন। তাই আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করি, তিনি তাদের মর্যাদা উঁচু করুন। তাদের সম্মান বাড়িয়ে দিন। আর মহত্ত্ব ও আত্মমর্যাদার জন্য তাদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় করে রাখুন। আল্লাহর শপথ! গৌরব ও মর্যাদার কথা আলোচিত হলেই তাদের অবদান বিশাল গর্ব ও মর্যাদা হিসাবে বিবেচিত হবে।

আমাদের জাতির সমস্ত ডাক্তার এবং বিশেষত মিশরের স্বাধীনচেতা ডাক্তারগণ কি তাদের অনুসরণ করে নিজেদের ভ্রাম্যমান হাসপাতাল ও সকল চিকিৎসা-সরঞ্জামগুলো নিয়ে রাফার দিকে বের হয়ে পড়বেন? সিসির সেনাদের অধিকৃত সীমান্ত ক্রসিংয়ে যেয়ে অবস্থান করবেন? যেন গাজায় প্রবেশ করে তাদেরই সহযাত্রীদের সঙ্গে বিশাল সাওয়াব ও মহান কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন? আল্লাহর শপথ! গাজার চিকিৎসকগণ যা করছেন, তা জিহাদের গুরত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম; যার বিনিময় তারা হিসাবের দিন পাবেন ইনশাআল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাদেরকে কয়েক দশকের জিহাদের অভিজ্ঞতা দান করেছেন। এ দীর্ঘ সময়ে জিহাদের ময়দানগুলোতে চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয়তা এবং ‍রণাঙ্গনগুলোতে তাদের উপস্থিতির আবশ্যকীয়তার চেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ও আবশ্যক আর কোনো কিছুই দেখিনি। তাই আল্লাহর নিকটই সকল দুঃখ জানাচ্ছি।

তাই হে উম্মতের চিকিৎসকগণ!

আপনারা নিজেদেরকে রক্ষা করুন সেই দিন থেকে, যেদিন গাজার শিশু, নারী ও মুজাহিদগণ রক্তে রঞ্জিত অবস্থায় আসবে। সে রক্ত হবে রক্তের রংয়ের, কিন্তু ঘ্রাণ হবে মিশকের। অতঃপর আপনাদের বিরুদ্ধে আপনাদের মহান রবের সামনে নালিশ করবে। তাঁর নিকট অভিযাগ দায়ের করবে যে, আপনারা তাদেরকে পরিত্যাগ করেছেন। তাদেরকে ও তাদের জখমী ও আহতদেরকে সাহায্য ও চিকিৎসার জন্য বের হননি।

যেন তারা সুস্থ হয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের পবিত্র প্রতীকসমূহ রক্ষার মোকাবেলায় ও লড়াইয়ে ফিরে যেতে পারে।

মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উম্মতের যুবকদের প্রতি বার্তা:

হে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঈমানদার তরুণ ও মুসলিম যুবকরা!

আমরা আমাদের বার্তা দিয়ে তোমাদের শিরায় এমন কোন শক্তি ঢেলে দিতে পারবো না, যা আগে থেকে উপস্থিত নেই। কিন্তু আমরা চাই, তোমাদের সুপ্ত শক্তিগুলোকে জাগিয়ে তুলতে। আমরা তোমাদেরকে, তোমরা এখন যে পর্যায়ে আছো, তা থেকে শ্রেষ্ঠ বানিয়ে দিতে পারবো না। তবে আমরা তোমাদেরকে এ কথা বুঝাতে চাই যে, তোমরা আসলে এখন যে অবস্থায় আছো, তা থেকে অনেক ভালো অবস্থানের যোগ্য...।

হে উম্মতের যুবকরা! গাজার গণহত্যায় সৃষ্ট এই ক্রোধ এবং তার তুফানে সৃষ্ট এই আশা যদি তোমাদের শিরায় সঞ্চিত শক্তিগুলোকে প্রকাশ করতে না পারে, তাহলে কখন তোমাদের সুপ্ত শক্তিগুলো জেগে উঠবে?

হে উম্মতের বাহাদুরগণ! স্বর্ণের টুকরো কখনও কখনও কাঁদায় পড়ে গিয়ে ময়লা হয়ে যায়। কিন্তু ময়লা লাগলেও তা স্বর্ণই থাকে। নিশ্চয়ই তোমাদের অন্তরের গভীরে আছে বিস্ময়কর বীরত্ব। যাকে ভীষণ কষ্ট-ক্লেশই একমাত্র জাগিয়ে তুলতে পারে। আর যখনই তোমাকে কোনো ভয়-আশঙ্কা আচ্ছন্ন করে, তখনই তার মাণিক্য স্বচ্ছ হয়ে যায় এবং তার মণি-মুক্তা বের হয়ে আসে।

নিশ্চয়ই আজ ইহুদী, পশ্চিমা জায়নবাদী ও খ্রিস্টবাদীদের সাথে আমাদের যুদ্ধের আগুন প্রজ্জ্বলিত হয়েছে। এর স্ফুলিঙ্গ প্রতিটি মুসলিম দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই হে বিজয়ীদের বংশধর! তোমাদের রক্তে সাদ, খালিদ ও মুসান্না রাযিয়াল্লাহু আনহুমের রক্ত খোঁজো। তোমাদের বক্ষে হুসাইন, সিদ্দীক ও ফারুক রাযিয়াল্লাহু আনহুমের হৃদয় খোঁজো। তোমরা যদি অস্ত্র না পাও, তবে সেই আকল তো হারিয়ে ফেলোনি, যা অস্ত্র তৈরি করে। সেই হাত তো হারিয়ে ফেলোনি, যা অস্ত্র ধার করে। উপরন্তু তোমারা যদি অস্ত্রের অভাব বোধ কর, তবে তোমরা তোমাদের শত্রুদের হাত থেকে তা নিয়ে নাও এবং তা-ই দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর। ০৭ই অক্টোবরে ‘তুফানুল আকসা’র বাহাদুরগণ তো এটাই করেছিলেন। এমনিভাবে তার পূর্বে পশ্চিম তীর ও অন্য অঞ্চলের কতিপয় নিরস্ত্র যুবকও এমনটা করেছে। তাদের নিকট শুধু ধারালো খঞ্জর ছাড়া কোনো অস্ত্রই ছিল না। তাই তারা হোক তোমাদের অনুসরণীয় ও মডেল।

‘তুফানুল আকসা’র ঘটনার পূর্বে ফিলিস্তিনের উপর অনেক বড় বড় বিপদ এসেছে। প্রতিটি সময়েই তোমরাই ছিলে উম্মতের স্থায়ী যুদ্ধ ও গৌরবময় বিজয়গুলোর মূল উপাদান। তাই দুনিয়ার সম্মান ও পরকালের সফলতার জন্য বেরিয়ে পড়ো। তোমাদের ক্রোধের পেয়ালা সেই সকল জালিম কাফেরদের উপর ঢেলে দাও, যারা তোমাদের ভাইদেরকে, তোমাদের জাতিকে এবং তোমাদের মর্যাদাশীল গাজার পিতৃপুরুষদের শাস্তি দিয়েছে। কারণ যুগে যুগে তোমরাই ছিলে যুদ্ধ ও বিজয়ের মূল উপাদান।

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের শিরায় বীরত্ব ঢেলে দিয়েছেন এবং তোমাদের রক্তে ও শ্বাস-প্রশ্বাসে তা প্রবাহিত করেছেন। আজ পশ্চিমা জায়ন-খ্রিষ্টবাদীরা স্ফুলিঙ্গের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু স্ফুলিঙ্গের মুখ বন্ধ করা হলে তো তা গোটা পৃথিবী নিয়ে বিস্ফোরিত হয়। আর আমরাও তোমাদের সাথে কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য তোমাদের সামনে এবং উম্মতের সকল সিংহ শার্দুলদের সামনে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করছি:

প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্রভাবে একেকটি পতনোম্মুখ পশ্চিমা 

 

দূতাবাসের উপর আক্রমণ করতে পারে। সকলে মিলে একই দূতাবাসে আক্রমণ করবে না। বরং শত্রুদের রক্ষণাবেক্ষণকারী অ-নিরাপত্তাকর্মী ও মুরতাদ সেনাবাহিনীর চেষ্টাগুলোকে বিক্ষিপ্ত করে দাও। কারণ যখন মোকাবেলার ফ্রন্ট বহু সংখ্যক হবে, তখন তাদের ইউনিট ভেঙ্গে যাবে। তাদের শক্তিগুলো ক্ষয় হবে এবং তারা তোমাদের আক্রমণের সামনে আত্মসমর্পণ করবে।

তোমাদের যা দিয়ে সম্ভব, দূতাবাস ও সামরিক ঘাঁটিগুলোকে নিশানা বানাও। তোমাদের ধারালো খঞ্জর দিয়ে জায়নবাদীদেরকে টার্গেট করো। তাদের ঘাড় মটকে দাও। তাদের জোড়াগুলো কেটে দাও। আর তাদের ব্যাপারে কোনো ধরনের দয়া ও কোমলতা যেন না জাগে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরবারি দিয়ে আঘাত করো। কারণ তাঁর তরবারি ক্লান্ত হতো না। আর যে-ই তার তরবারি দিয়ে আঘাত করবে, সে-ই বিজয়ী হবে।

 

রসায়ন ও এ জাতীয় অন্যান্য বিষয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষার্থীরা!

আপনারা ইন্টারনেটে আপনাদের উপকারি এবং আল-আকসা সমস্যার জন্য উপকারি বিষয়গুলো খুঁজবেন। যেন সেখান থেকে বোমা ও বিস্ফোরক বেল্ট তৈরির নিয়ম শিখতে পারেন। সেখানে প্রয়োজনীয় সবকিছু, বরং আরও অতিরিক্ত পাবেন। আর প্রয়োজনীয় উকরণগুলো তো প্রতিটি শহরেই সহজলব্ধ। তাই নিজ রবের উপর ভরসা করে এবং নিজ সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট করতে নেমে যান।

 

শিখতে পারেন। সেখানে প্রয়োজনীয় সবকিছু, বরং আরও অতিরিক্ত পাবেন। আর প্রয়োজনীয় উকরণগুলো তো প্রতিটি শহরেই সহজলব্ধ। তাই নিজ রবের উপর ভরসা করে এবং নিজ সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট করতে নেমে যান।

 

 

আর মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও এ জাতীয় অন্য বিশেষজ্ঞগণ!

আপনারা আধুনিক যুগের অস্ত্র, জাদুর অস্ত্রটিকে কাজে লাগান। এটা কখনও কখনও জাদুকরের উপরই উল্টে পড়ে। এটা হচ্ছে - চালকবিহীন বিমান (ড্রোন)।

 

 বাজারে এগুলো পর্যাপ্ত। মূল্যও খুব চড়া নয়। আর এর আঘাত বেশ বড়। শুধু উপযুক্ত সময় ও উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করুন।

 

তারপর আল্লাহকে আপনাদের থেকে সেই বিষয় দেখিয়ে দিন, যা তিনি ভালোবাসেন। আজ আমাদের গাজাবাসীদের উপর যে ‍যুদ্ধ
আঘাত হেনেছে, তা একটি মহাযুদ্ধ। আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমারা এটা চালাচ্ছে। এটা কোনো দল, কোনো রাষ্ট্র কিংবা কোনো অঞ্চলের উপর নয়, বরং সমস্ত উম্মতের উপর। কারণ বায়তুল মুকাদ্দাস সমস্ত উম্মতের বিষয়। ইসরাঈলের মোকাবেলা করার মতো কোনো রাষ্ট্র অথবা গোষ্ঠী নেই। এটাই আমাদের শত্রুদের দাবি। তার সাথে সহমত পোষণ করে আমাদের জাতিরও কতিপয় সদস্য।

আসলে জায়নবাদী সেনারা তো সেই শক্তির একটি অংশ ছাড়া কিছু নয়, যারা অবরুদ্ধ গাজায় আমাদের অধিবাসীদের উপর আক্রমণ করছে। সেখানে ব্যাপক তাণ্ডব ও বোমাবৃষ্টি বর্ষণ করছে। শুধু জায়নবাদী সেনাদের পক্ষে একা এ কাজ করা সম্ভব নয়। বরং এটা হল বৈশ্বিক জোট, যাতে আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসলামী বিশ্বের তাগুত শাসকরা অংশগ্রহণ করেছে।

সম্প্রতি জায়নবাদী ম্যাক্রো, কসাই সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই জোট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মুখ ফস্কে এসব প্রকাশ করে দিয়েছে। ইতিপূর্বে পশ্চিমা নেতৃবৃন্দ ও নিজ সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাতগুলোতেও এটা প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি আমেরিকা তো এই যুদ্ধে তাদের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বের কথাও গোপন করে নি।

 

যখন ‘তুফানুল আকসা’র অভিযানের ঘটনায় ইহুদী জেনারেলদের মনোবল ভেঙ্গে পড়লো, তাদের ব্যর্থতা, কাপুরুষতা ও অযোগ্যতা প্রকাশ হয়ে পড়ল, তখন আমেরিকা সরাসরিই বলল যে: এখন এখানে যুদ্ধ পরিচালনা করবে মার্কিন জেনারেলরা।

হে আমাদের মুসলিম উম্মাহ ও গাজার অধিবাসীগণ!

আপনারা বিপদের ঘনঘটার কারণে এবং বিশ্ব কুফরী শক্তির আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণে অস্থির ও হতাশ হবেন না। আপনাদের স্লোগান হোক মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর এই বাণী-

الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ ﴿١٧٣﴾‏

অর্থঃ “যাদেরকে লোকে বলেছিল, (মক্কার কাফের) লোকেরা তোমাদের (সাথে যুদ্ধ করার) জন্য (পুনরায়) একত্র হয়েছে, সুতরাং তাদেরকে ভয় করো। তখন এটা (এই সংবাদ) তাদের ঈমানের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় এবং তারা বলে উঠে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্মবিধায়ক।” (সূরা আলে ইমরান ০৩:১৭৩)

তাই আপনাদের সাথে যা ঘটছে, তা আপনাদের জন্য এবং আমাদের জাতির জন্য একটি অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ। লড়াকু বীর যখন অলস হয়ে যায়, তার জযবা যখন কমে যায়, তখন পেশিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেরার জন্য তাকে অবশ্যই কষ্টকর অনুশীলন করতে হয়। যেন উদ্যমতা ও শৌর্য-বীর্য ফিরে আসে। এমনিভাবে আল্লাহও আমাদের সঙ্গে ও আপনাদের সঙ্গে সেটাই করছেন।

আমরা ছিলাম যুদ্ধ, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের জাতি। আমরা ছিলাম ‍যুদ্ধ ও রণাঙ্গনের অশ্বারোহী। আমরা পূর্ব-পশ্চিম জয় করেছি। আরব স্পেনিশ সেনাবাহিনী নিয়ে ইউরোপে পশ্চিম দিক থেকে প্রবেশ করেছিলাম। এমনকি ফ্রান্সের হৃদপিণ্ড পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলাম। আর পূর্ব দিক দিয়ে প্রবেশ করেছিলাম আমাদের তুর্কি উসমানী বাহিনী নিয়ে। এমনকি ভিয়েনার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।

তারপর দীর্ঘকাল আমরা ঘুমালাম। আমাদের উপর দিয়ে ক্রমাগত স্থবিরতার দিনগুলো অতিবাহিত হল। ফলে আমরা নিজেদের ইতিহাস ও নিজেদেরকে নিয়েই সন্দিহান হয়ে গেলাম। হারিয়ে ফেললাম আমাদের বিজয়ী পূর্বপুরুষদের সুন্দর প্রতিভা ও সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলো।

এখন সময় এসেছে…। দ্বিতীয়বার বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ডাক এসেছে। হ্যাঁ, আল্লাহর শপথ! নতুন করে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ডাক এসেছে। তাই এর জন্য অবশ্যই নজিরবিহীন কষ্টকর অনুশীলনের প্রয়োজন। আর আল্লাহ আমাদের জন্য ও আমাদের উম্মতের জন্য যে সম্মানজনক ভবিষ্যৎ চাচ্ছেন, তার তুলনায় এসব নিতান্তই সহজ।

তাই মৃত্যু, বোম্বিং ও ধ্বংসযজ্ঞকে স্বাগতম। আল্লাহর শপথ! এ হলো তাদের জন্য লাঞ্ছনার সূচনা আর আমাদের আত্মমর্যাদাশীল অবিচল উম্মতের জন্য সম্মানের সূচনা। আমরা আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রেখে বলতে পারি, হে গাজাবাসী! আপনারাই হলেন আল্লাহর সৈন্য। আমরা আরও বেশি নিশ্চয়তার সঙ্গে বলতে পারি যে, আল্লাহর সৈন্যরাই বিজয়ী হবে।

তাই আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করি, তিনি আপনাদেরকে সাহায্য করুন এবং অবিচল রাখুন। এমনিভাবে আরও প্রার্থনা করি, তিনি সকলের জন্য কল্যাণের দরজাসমূহ, তথা দীনকে সাহায্য করা, আল্লাহর কালিমাকে উঁচু করা এবং মসজিদে আকসাকে রক্ষা করার পথসমূহ খুলে দিন। নিশ্চয়ই প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহই একমাত্র সাহায্যের উৎস।

 ***

 


روابط بي دي اب
PDF (636 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৬৩৬ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/nirbashon-noy/NirbashonNoy%20Final%20.pdf


https://www.mediafire.com/file/de8adjj3rdoqnyo/NirbashonNoy+Final+.pdf/file


https://nirbasonnoy.files.wordpress.com/2023/11/nirbashonnoy-final-.pdf


https://mega.nz/file/kP931aJL#mRP3_VMopTrI3zxQwSYNLFm8qyckI2EezIbdUMYfpto


https://jmp.sh/ODvBGVne

 


روابط ورد 
Word (1.7 MB)
ওয়ার্ড [১.৭ মেগাবাইট]
https://archive.org/download/nirbashon-noy/NirbashonNoy%20Final%20.docx


https://www.mediafire.com/file/2djwj8kf0isn4gy/NirbashonNoy+Final+.docx/file


https://nirbasonnoy.files.wordpress.com/2023/11/nirbashonnoy-final-.docx


https://mega.nz/file/NOckDDCI#Jk0LkDwAA_anKWWqJqqvz-W8RBLgPO1PKT7bqBvQYF8


https://jmp.sh/5Sz7OA6h

 


روابط الغلاف- ١ 
book Banner [929 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৯২৯ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/nirbashon-noy/Book%20Cover.png


https://www.mediafire.com/file/o0tthrl228bky3e/Book+Cover.png/file


https://nirbasonnoy.files.wordpress.com/2023/11/book-cover.png


https://mega.nz/file/1S810SwC#CwOSx3pz8fKMmkrnexhnk1Sy1szeS9BdYRVMdU5P38w


https://jmp.sh/HkrPMnGE

 


روابط الغلاف- ٢
Banner [282 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [২৮২ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/nirbashon-noy/Web-benner.jpg


https://www.mediafire.com/file/u66353fsuhlwi4j/Web-benner.jpg/file


https://nirbasonnoy.files.wordpress.com/2023/11/web-benner.jpg


https://mega.nz/file/NGU1jSLS#AXmffJ2vq9IAdnuAlvNYlltqC-hDaLIxpRYX9R6yqRM


https://jmp.sh/iNMAcUwv

 

 


مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي 
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية 
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent