NoteShare

bidyatider_sathe_acoronniti-7


مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media

 

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

 

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ 
Bengali Translation

 

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled

 

أصول التعامل مع أهل البدع والمخالفين
"الدرس السابع"

বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণনীতি 
"সপ্তম দরস"

Treatment policy with bidat and opponents
"7th dars " 

 

للشيخ الأمير خالد باطرفي – حفظه الله
শাইখ খালিদ বাতারফি হাফিযাহুল্লাহ
By Sheikh Khalid Batarfi Hafizahullah

 


للمشاهدة المباشرة والتحميل 
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
https://justpaste.it/bidyatider_sathe_acoronniti-7

 

روابط الجودة الاصلية 
FULL HD 1080 (164.7 MB)
মূল রেজুলেশন [১৬৪.৭ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/A8rdoM94jE7nRLB


https://archive.org/details/usul-7/Usul-7.mp4


https://archive.org/download/usul-7/Usul-7.mp4


https://mega.nz/file/I4sG1TDZ#hCT4HWZ-J1uJ4Xki0ldqPQhpECMk8BjyvrUHobYElQ4


https://www.mediafire.com/file/f0hb2qfy401ykjd/Usul-7.mp4/file


https://krakenfiles.com/view/nHdBbp9NHP/file.html


http://e.pc.cd/2OWotalK


https://usersdrive.com/wq0uzeqk2b4r.html


https://files.fm/f/8zkp3qaq9

 

 

روابط الجودة العالية
HQ 1080 (117.3 MB)
১০৮০ রেজুলেশন [১১৭.৩ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/9nMaoEC62MWpZtN


https://archive.org/details/usul-7/Usul-7+HQ.mp4


https://archive.org/download/usul-7/Usul-7%20HQ.mp4


https://mega.nz/file/xhNnwQhQ#sC9jrbcoFpj7zQ17inyzMIBQZBoMVH7O2w6G3JzspI4


https://www.mediafire.com/file/1omxjikntoch2q3/Usul-7_HQ.mp4/file


https://krakenfiles.com/view/9tFYOEv5Ox/file.html


http://e.pc.cd/i7uotalK


https://usersdrive.com/uw9gk69dor7o.html


https://files.fm/f/7uk796fpa

 

 

روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (51.1 MB)
৭২০ রেজুলেশন [৫১.১ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/Zq5HgN3oyr6p2qX


https://archive.org/details/usul-7/Usul-7+MQ.mp4


https://archive.org/download/usul-7/Usul-7%20MQ.mp4


https://mega.nz/file/wxdnXS7a#pORrvyknOWnr_o7Lao0pAgESZ4n41uzqPJ6BkkcMc8I


https://www.mediafire.com/file/2dpwpjhit2c7v60/Usul-7_MQ.mp4/file


https://krakenfiles.com/view/17NHIIP7X9/file.html


http://e.pc.cd/AAWotalK


https://usersdrive.com/cl35fcm7357c.html


https://files.fm/f/554av5pz2

 

 

روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (21.4 MB)
৩৬০ রেজুলেশন [২১.৪ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/MKk7BsK5abFYZCL


https://archive.org/details/usul-7/Usul-7+LQ.mp4


https://archive.org/download/usul-7/Usul-7%20LQ.mp4


https://mega.nz/file/9sVHQKAK#37m9ck_u655-CuNmq57HkUyatyQ_BKDEkEljzZbZlcI


https://www.mediafire.com/file/7oxgelsvaalp5me/Usul-7_LQ.mp4/file


https://krakenfiles.com/view/ik6RUGmIkH/file.html


http://e.pc.cd/hAWotalK


https://usersdrive.com/e43nfe9gkfjd.html


https://files.fm/f/njzw6tbwf

 

 

روابط جودة الجوال 
Mobile Qoality (22.7 MB)
3GP রেজুলেশন [২২.৭ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/kMpBETFwoETc6sK


https://archive.org/download/usul-7/Usul-7.3gp


https://mega.nz/file/VgdzASSD#6WGJR__yvg9pR6pYkcljkI6PfNolaE1l__6ki9tyAME


https://www.mediafire.com/file/jlnzhl3hzku4cmx/Usul-7.3gp/file


https://krakenfiles.com/view/WBkQfUuqqc/file.html


http://e.pc.cd/DIWotalK


https://usersdrive.com/x82dfc34hqbu.html


https://files.fm/f/vzxmvzugk

 

 

روابط بي دي اب
PDF (533 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৫৩৩ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/46Fm5oG5XqFHJLq


https://archive.org/download/usul-7/Dors-7.pdf


https://mega.nz/file/0gcnRYoS#CcMxhdniW7mcFOwkw-eHvnzMbEVReRtCVy-DQuUqXt8


https://www.mediafire.com/file/57fwkvjugq9zv4p/Dors-7.pdf/file


https://krakenfiles.com/view/TgfwrHJsCh/file.html


http://e.pc.cd/8ljotalK


https://usersdrive.com/vafsfe1lts9w.html


https://files.fm/f/sxc44cpux

 

 

روابط ورد
Word (343 KB)
ওয়ার্ড [৩৪৩ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/dZSFDLgJ8TM5sZc


https://archive.org/download/usul-7/Dors-7.docx


https://mega.nz/file/dxUDlagC#E7xIQZgkInechLQCyO-i5avozPuPAiTkMTVfjIIDdGo


https://www.mediafire.com/file/4wdlg2uym0w0l30/Dors-7.docx/file


https://krakenfiles.com/view/GG5jJeHvXz/file.html


http://e.pc.cd/jAWotalK


https://usersdrive.com/yehnuehramwq.html


https://files.fm/f/jcxdd6hgp

 

 

روابط الغلاف- ١
book Banner [628 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৬২৮ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/9mg3J8qBpf2MYFS


https://archive.org/download/usul-7/Dors-7%20Prossod.jpg


https://mega.nz/file/MwFBzCjD#v7Fke3n2v_hCC4Nuw60rvzzuBmSZjL0D_mx2cCpj_PY


https://www.mediafire.com/view/xgdsdwj9qiros8w/Dors-7_Prossod.jpg/file


https://krakenfiles.com/view/n3Iwqkh5VT/file.html


http://e.pc.cd/WJuotalK


https://usersdrive.com/x01ezz02pyxx.html


https://files.fm/f/qcwm9tkbs

 

 

روابط الغلاف- ٢
Banner [946 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৯৪৬ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/fezHpZG9cRDsm4z


https://archive.org/download/usul-7/Dors-7%20Banner.jpg


https://mega.nz/file/FpcFnQ6T#-NJmDp_61EMjgQcJDuaq15mMmTmW4wYVpViAMMqprM8


https://www.mediafire.com/view/7ypiw54vujlv8zu/Dors-7_Banner.jpg/file


https://krakenfiles.com/view/b6XywWGefH/file.html


http://e.pc.cd/vAWotalK


https://usersdrive.com/5iwrwjvggcng.html


https://files.fm/f/6ukabznj8

 

*************

 

 

বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণনীতি

শাইখ খালিদ বাতারফি হাফিযাহুল্লাহ

সপ্তম দরস

 

 

 

 

অনুবাদ ও প্রকাশনা

 

 

 

 

 

 

-মূল প্রকাশনা সম্পর্কিত কিছু তথ্য-

মূল নাম:

أصول التعامل مع أهل البدع والمخالفين - الدرس السابع، للشيخ الأمير خالد باطرفي – حفظه الله  -

ভিডিও দৈর্ঘ্য: ১১:০৯ মিনিট

প্রকাশের তারিখ: রজব ১৪৪২ হিজরি

প্রকাশক: আল মালাহিম মিডিয়া

 

 

 

 

নিম্নের মূলনীতি হচ্ছে: বিদআতপন্থী এবং ভিন্নমতালম্বীদের প্রশংসা এবং নিন্দা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে ইনসাফ করা। তাদের সঠিক বিষয়গুলো গ্রহণ করা আর অবাস্তব বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা।

কিন্তু কীভাবে?

এ বিষয়ে উদাহারণস্বরূপ আমরা সালফে সালেহীনদের এমন কিছু বক্তব্য উল্লেখ করবো, যেখানে তাঁরা আশআরীদের মধ্যে কিছু বিদআত থাকা সত্ত্বেও এ জন্য প্রশংসা করেছিলেন যে, আশআরীগণ নিজেদের বিপরীতে মুতাজিলা, রাফেজী ও জাহমিয়াসহ অন্যান্য মুতাকাল্লিমীনদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং তাদের দালিলিকভাবে রদ করেছিলেন। কিন্তু সালাফদের দৃষ্টিতে আশআরীদের বিদআতের তুলনায় ঐ সমস্ত বাতিল ফিরকাগুলোর বিদআত ছিল অধিক জঘন্য।

সুতরাং তাঁরা তাঁদের ওই কাজের প্রশংসা করেছেন। বরং কোনো কোনো আশআরি আলেম নিজ যুগে এতো বড় আলেম ছিলেন, যার উদাহরণ এ যুগে কিছুতেই পাওয়া যাবে না। 

আশআরীদের কথা গ্রহণের ক্ষেত্রে বর্তমান যুগের কিছু ব্যক্তির মত এই যে - ঈমাম নববী, ইবনে হাজার, ইবনে হাজম রহিমাহুল্লাহ সহ অন্যান্যদের মত আলেমদের কথা গ্রহণ করা যাবে না, কেননা তারা আশআরী ছিলেন। কিন্তু অতীতের কোন আলেমের মধ্যে এমন দেখা যায়নি। আমার জ্ঞাতসারে সালাফদের যুগে এ জাতীয় কথা কখনো শোনা যায়নি যে, কোন আলেমের ইলমী অবদান তিনি আশআরী হওয়ার কারণে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, এমনকি মু’তাযিলা কোন আলেমের ক্ষেত্রেও নয়।

তবে সালাফগণ তাদের বিদআত গ্রহণ করেননি। যেমন তাদের আল্লাহর সিফাত সংশ্লিষ্ট আলোচনা গ্রহণ করেননি। তবে ইলমের অন্যান্য অধ্যায়গুলোর ক্ষেত্রে তাদের থেকে জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং সেক্ষেত্রে তাদের যথোপোযুক্ত প্রশংসাও করেছেন। এ বিষয়ে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ’র বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি বলেন:

“যে ব্যক্তি কোন মুজতাহিদকে কোন একটি মাসআলায় ভুল বা পদস্খলনের কারণে - নিন্দিত, ধিকৃত এবং ঘৃণার পাত্র মনে করে, সে অবশ্যই ভুল পথে রয়েছে। সে গোমরাহ্ ও বিদআতপন্থী”।

বর্তমান সময়ের কিছু সালাফি দাবিদার আলেম ইমাম নববি এবং ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ এর মত প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের কিতাবপত্র থেকে তাদের হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। তো আমরা যদি এ ধরনের ব্যক্তিবর্গের কিতাবাদি থেকে হাত গুটিয়ে নেই, তাহলে ইলম অর্জন করবো কোথা থেকে!?

কেউ কেউ মনে করেন, ভারসাম্য বলতে কিছু নেই। ভারসাম্যপূর্ণ জ্ঞান আবার কি জিনিস?

তাদের বলবো যে, আপনি কোন ব্যক্তির ভালো এবং মন্দ বিষয়গুলো পরিমাপ করে দেখবেন। এরপর যদি ভালো বিষয়গুলো মন্দ বিষয়ের উপর প্রধান্য পায় তবে আপনি তার থেকে ইলম গ্রহণ করবেন এবং তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবেন। আর যদি এর বিপরীত হয় তাহলে তার নিন্দার ঝড় তুলবেন। আসলে কি বিষয়টি এমন?

না, তা নয়। এধরনের বিবেচনা গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মানুষ সব দিক থেকেই প্রশংসিত কিংবা সব দিক থেকেই নিন্দিত হবে এটা একেবারেই অসত্য বিষয়। রাফেজীদের মধ্যেও এমন ব্যক্তি আছে, যে খুব ইবাদাতগুজার ও খোদাভীরু। এ ক্ষেত্রে তারা অন্যান্য প্রবৃত্তিপূজারী দলগুলোর মত নয়।

বলা যায়, মুতাযিলা সম্প্রদায় বিবেকবোধ এবং দ্বীনদার সম্পন্ন। তাদের মাঝে মিথ্যাবাদিতা এবং পাপাচারিতা রাফেজীদের চেয়েও কম।

যাইদি শিয়ারা তাদের চেয়েও উত্তম। তারা সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ এবং ইলমের নিকটবর্তী।

প্রবৃত্তিপূজারিদের মাঝে খারেজিদের চেয়ে অধিকতর ইবাদাতগুজার কেউ নেই। এতকিছু সত্ত্বেও আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআত তাদের সাথে ন্যায় এবং ইনসাফপূর্ণ আচরণ করে, তাদের প্রতি জুলুম করে না। কেননা তা যে কারো ক্ষেত্রেই হারাম।

এর পাশাপাশি আহলুস সুন্নাহ এধরনের প্রত্যেক জামাতের ক্ষেত্রে কল্যাণকামিতার আচরণ করতো। বরং রাফেজীদের প্রত্যেক জামাতের সাথে তাদের গোমরাহীর স্তর অনুযায়ী আচরণ করে। এ বিষয়টা তারা নিজেরাই স্বীকার করে। এ ক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য হচ্ছে যে, ‘তোমরা আমাদের সাথে এতটাই ইনসাফপূর্ণ আচরণ কর, যা আমরা আমাদের পরস্পরের মাঝে করতে পারি না’। সেটা এ কারণে যে, তারা যে মূলনীতির অনুসরণ করে তার ভিত্তি হচ্ছে অজ্ঞতা এবং জুলুম। যার ফলে তারা ডাকাতের ন্যায় সমস্ত মুসলিমের সাথে অবিচারের ক্ষেত্রে একতাবদ্ধ।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, একজন নিষ্ঠাবান আলেম তাদের সাথে এমন নিষ্ঠার আচরণ করে থাকেন, যা তাদের পরস্পরের আচরণ থেকেও অধিক ইনসাফপূর্ণ। খারেজীরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতকে কাফের মনে করে। অপরদিকে অধিকাংশ মুতাযিলা তাদের বিরোধীদের কাফের মনে করে। এমনিভাবে অধিকাংশ রাফেজী এবং প্রবৃত্তিপূজারী - যারা নতুন নতুন মতবাদ আবিষ্কার করে – তারা এসব বিষয়ে যারা তাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয় তাদেরকে কাফের সাব্যস্ত করে। আর তাদের মধ্যে থেকে যারা বিরোধীদের কাফের মনে করে না, তাদেরকে তারা ফাসেক মনে করে।

পক্ষান্তরে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আগত সত্য বিষয়ের অনুসরণ করে। যে সত্য বিষয় নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তারা সত্য বিষয়ে অগাধ জ্ঞান রাখেন এবং সৃষ্টিকূলের প্রতি অতি দয়াশীল। যেমনটা আল্লাহ তায়ালা নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছেন:

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ

“অর্থঃ তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে”। (সূরা আল ইমরান ৩:১১০)

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন:

خَيْرَ النَّاسِ لِلنَّاسِ تَأْتُوْنَ بِهِمْ فِي السَّلَاسِلِ فِيْ أَعْنَاقِهِمْ حَتَّى يَدْخُلُوْا فِي الإِسْلَامِ.

“অর্থঃ মানুষের জন্য মানুষ কল্যাণকর তখনই হয় যখন তাদের গ্রীবাদেশে (আল্লাহ্‌র আনুগত্যের) শিকল লাগিয়ে নিয়ে আসে। অতঃপর তারা ইসলামে প্রবেশ করে। (সহিহ বুখারী-৪৫৫৭)

মোটকথা, আমরা যদি রাফেজী, খারেজি, মুতাযিলা ও অন্যান্য বিদআতপন্থীদের সাথে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করতে পারি যেমনটা সালাফরা করে গেছেন, তাহলে যে বা যারা মৌলিকভাবে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী - কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করেছে কিংবা এমন কোন পন্থা গ্রহণ করেছে - যে ব্যাপারে তার ধারণা হলো তা তাকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিবে এবং দ্বীনের উপকার সাধন করবে - তাহলে তার সাথে আমরা কেন পরিপূর্ণ ইনসাফের আচরণ করব না?

বর্তমানে কিছু দল ছাড়া বাকি সব ইসলামি দলগুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাই যে, তাদের উত্থান হয়েছিলো একমাত্র ইসলামের জন্যই। কিন্তু পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের কারণে তাদের মাঝে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি আমরা তাদেরকে মৌলিক উদ্দেশ্যের দিকে ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলে তারা দ্বীনের অনেক বিষয়ের ক্ষেত্রে আমাদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করবে। আমরা যদি তাদেরকে মূলনীতির দিকে ফিরিয়ে আনতে পারি, তাহলে অনেক বিষয়ে তারা আমাদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করতে পারবে। তখন আমরা সকলেই আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবো।

এই জামাতগুলোর বিভিন্ন সংগঠনের ক্ষেত্রে আমার মন্তব্য হচ্ছে – আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কারো কারো কাছে এ বিষয়টা স্পষ্ট করতে হবে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ওয়াদা অনুযায়ী আল্লাহর দ্বীনই বিজয় অর্জন করবে। তবে সে বিজয় আমাদেরকেই ছিনিয়ে আনতে হবে। যদি আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে মানুষের অন্তরে এ বিষয়টা কার্যত বদ্ধমূল করে দিতে পারি এবং নিজেরা এ পথে স্থির এবং অবিচল থাকতে পারি, তাহলে তাদের অনেককেই আমরা সাথী হিসেবে পেয়ে যাবো।

তারা শত্রুর সমান সমকক্ষতা অর্জন করতে চান, যা অনেক উলামায়ে কেরাম বলে থাকেন। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, তারা সমকক্ষতা বলতে শুধুমাত্র সামরিক ক্ষেত্রে সমকক্ষতাই বুঝে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সমকক্ষতা শুধু সামরিক শক্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়। তা ধৈর্যের ক্ষেত্রেও হতে পারে। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন:

بَلَى إِن تَصْبِرُواْ وَتَتَّقُواْ وَيَأْتُوكُم مِّن فَوْرِهِمْ هَـذَا يُمْدِدْكُمْ رَبُّكُم بِخَمْسَةِ آلافٍ مِّنَ الْمَلآئِكَةِ مُسَوِّمِينَ

“অর্থঃ অবশ্য তোমরা যদি সবর কর এবং বিরত থাক আর তারা যদি তখনই তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের পালনকর্তা ঘোড়ার উপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা তোমাদের সাহায্যে পাঠাতে পারেন”। (সূরা আল ইমরান ৩:১২৫)

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরও বলেন:

لَن يَضُرُّوكُمْ إِلَّا أَذًى

“অর্থঃ তারা সামান্য কষ্ট দান ছাড়া কখনই তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না”। (আলে ইমরান ৩:১১১)

অন্যত্র বলেছেন:

إِن تَمْسَسْكُمْ حَسَنَةٌ تَسُؤْهُمْ وَإِن تُصِبْكُمْ سَيِّئَةٌ يَفْرَحُوا بِهَا ۖ وَإِن تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا لَا يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا ۗ

“অর্থঃ তোমাদের যদি কোন মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে তারা আনন্দিত হয় আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না”। (সুরা আলে ইমরান ৩:১২০)

তাদের এই চক্রান্ত বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَقَدْ مَكَرُواْ مَكْرَهُمْ وَعِندَ اللّهِ مَكْرُهُمْ وَإِن كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ الْجِبَالُ

“অর্থঃ তারা নিজেদের মধ্যে ভীষণ চক্রান্ত করে নিয়েছে এবং আল্লাহর সামনে রক্ষিত আছে তাদের কু-চক্রান্ত । তাদের কুটকৌশল পাহাড় টলিয়ে দেয়ার মত হবে না”। (সূরা ইবরাহীম ১৭:৪৬)

এই চক্রান্ত এবং কুটকৌশল (যা শত্রুপক্ষ করে থাকে) পাহাড়কে টলিয়ে দেওয়ার মতও যদি হয়, তথাপি আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَإِن تُصِبْكُمْ سَيِّئَةٌ يَفْرَحُوا بِهَا ۖ وَإِن تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا لَا يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا ۗ

“অর্থঃ যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তাহলে তাদের চক্রান্ত কখনো তোমাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারবেনা”। (সুরা আলে ইমরান ৩:১২০)

আমাদের ধৈর্য এবং অবিচলতার মাঝে যে শক্তি লুকায়িত আছে তা শত্রুপক্ষের শক্তির মুকাবিলার জন্য যথেষ্ট হবে। তাদের সাথে আমাদের এটাই সমকক্ষতা। আর এভাবেই দুর্বল মুমিনের সামনে (যে ঈমানের বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারেনি) এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, সঠিক আকিদা বিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকা, বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করা ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের পথে অবিচল থাকা এবং ধৈর্যধারণ করার মাধ্যমেই কেবল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। তার কাছে এটাও স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, শরীয়তবিরোধী বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সে ভুল পথে ছিলো। সে পথ এমন পথ ছিলো, যা তাকে কখনই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না।

স্বভাবত, আমরা যখন এই মূলনীতিগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করবো তখন অবশ্যই আমাদের সে বিষয়গুলো খেয়াল করে চলতে হবে - যাতে আমরা বাস করছি।

আমরা বিরুদ্ধবাদী এবং বিদআতপন্থীদের সাথে ইনসাফের কথা বলে থাকি, যা এই উম্মাহর সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরাই কেবল বাস্তবায়ন করতে পারবে। যেমনটা বলা হয়ে থাকে যে, ইনসাফ হচ্ছে মহান ব্যক্তিদের ভূষণ। তবে যে নফস এবং প্রবৃত্তিপূজারী - সে কারো প্রতি ইনসাফ করতে পারে না। কেননা সে নিজের উপরই ইনসাফ করতে পারেনা। আর অন্যদের বেলায় কীভাবে পারবে? সে তো আদতে ইনসাফের কোন তোয়াক্কাই করে না।

 

 

*****************
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية 
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent