مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled
أصول التعامل مع أهل البدع والمخالفين
"الدرس العاشر"
বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণনীতি
"দশম দরস"
Treatment policy with bidat and opponents
"Tenth dars "
للشيخ الأمير خالد باطرفي – حفظه الله
শাইখ খালিদ বাতারফি হাফিযাহুল্লাহ
By Sheikh Khalid Batarfi Hafizahullah
للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
روابط الجودة الاصلية
FULL HD 1080 (207.7 MB)
মূল রেজুলেশন [২০৭.৭ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/f7tQSCrepPAPonL
https://archive.org/details/usul-10/Usul-10.mp4
https://archive.org/download/usul-10/Usul-10.mp4
https://www.mediafire.com/file/34u4p2gygusppey/Usul-10.mp4/file
https://krakenfiles.com/view/6Zp2gR4Q2i/file.html
روابط الجودة العالية
HQ 1080 (137.4 MB)
১০৮০ রেজুলেশন [১৩৭.৪ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/MYF4bjWQXTJMTMZ
https://archive.org/details/usul-10/Usul-10-1080.mp4
https://archive.org/download/usul-10/Usul-10-1080.mp4
https://www.mediafire.com/file/6qpeorl6787tcbw/Usul-10-1080.mp4/file
https://krakenfiles.com/view/0G0KJu4Ggy/file.html
روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (68.1 MB)
৭২০ রেজুলেশন [৬৮.১ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/3p2GpMk4xJDiejS
https://archive.org/details/usul-10/Usul-10-720.mp4
https://archive.org/download/usul-10/Usul-10-720.mp4
https://www.mediafire.com/file/hqfksnywhkcb7pd/Usul-10-720.mp4/file
https://krakenfiles.com/view/nj0FfoKaVB/file.html
روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (16.4 MB)
৩৬০ রেজুলেশন [১৬.৪ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/weinP6C2wwT6dTg
https://archive.org/details/usul-10/Usul-10-360.mp4
https://archive.org/download/usul-10/Usul-10-360.mp4
https://www.mediafire.com/file/4ek1ho8fucuf17f/Usul-10-360.mp4/file
https://krakenfiles.com/view/LFLgXFaGFq/file.html
روابط جودة الجوال
Mobile Qoality (28.5 MB)
3GP রেজুলেশন [২৮.৫ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/dDmQDnAzRAHnDm4
https://archive.org/download/usul-10/Usul-10.3gp
https://www.mediafire.com/file/n8zguxoqdrfkvd7/Usul-10.3gp/file
https://krakenfiles.com/view/XjrioHDPI3/file.html
روابط بي دي اب
PDF (456 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৫৬ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/S7BsCFzKMscrrGg
https://archive.org/download/usul-10/UsulSeries-10.pdf
https://www.mediafire.com/file/8b4zpni6r95ue36/UsulSeries-10.pdf/file
https://krakenfiles.com/view/cba1RUrvph/file.html
روابط ورد
Word (342 KB)
ওয়ার্ড [৩৪২ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/N4ed8Y8wi2Kka7D
https://archive.org/download/usul-10/UsulSeries-10.docx
https://www.mediafire.com/file/w8hblz2c3vuo338/UsulSeries-10.docx/file
https://krakenfiles.com/view/9To0JMzJhY/file.html
روابط الغلاف- ١
book Banner [627 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৬২৭ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/DZesSgNBWiZQXty
https://justpaste.it/img/29f1463db91460ce9509d781b2e92061.jpg
https://www.mediafire.com/file/665c6ph6ck1vnh1/UsulSeries-10+cover.jpg/file
https://krakenfiles.com/view/1uZTuaEwDd/file.html
روابط الغلاف- ٢
Banner [943 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৯৪৩ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/nqipcf6GtMeg5Tz
https://justpaste.it/img/72257f298f40cf5376a534a9dfce3ea7.jpg
https://www.mediafire.com/file/j6xszhcbqe40c88/UsulSeries-10+Banner.jpg/file
https://krakenfiles.com/view/PRXOsVxkxD/file.html
*************
বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণনীতি
শাইখ খালিদ বাতারফি হাফিযাহুল্লাহ
দশম দরস
অনুবাদ ও প্রকাশনা
-মূল প্রকাশনা সম্পর্কিত কিছু তথ্য-
মূল নাম:
أصول التعامل مع أهل البدع والمخالفين - الدرس العاشر، للشيخ الأمير خالد باطرفي – حفظه الله -
ভিডিও দৈর্ঘ্য: ১১:০৯ মিনিট
প্রকাশের তারিখ: শাবান ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশক: আল মালাহিম মিডিয়া
এগারতম মূলনীতি: এই পাঠে আমরা এগারতম মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করবো। আর তা হলো - বিদআতপন্থীদের পেছনে সালাতের হুকুম।
কখনো যদি অনুসরনযোগ্য (সঠিক আকিদা সম্পন্ন) ইমাম না পাওয়া যায় তখন যে বিদআতির বিদআত কুফরের পর্যায়ে পৌঁছায়নি তার পেছনে সালাত পড়া সহিহ হবে। আর যদি সহিহ আকিদা সম্পন্ন ইমাম পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আহলে ইলমদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
এখন আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। উদাহরণস্বরূপ - আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের উলামাদের নিকট আশআরীর অবস্থান এমন যে, উলামায়ে কেরাম আশআরীদেরকে কাফের বলেন না বা ফতোয়া দেন না। কারণ আশআরীরা তাবীলের অনুসরণ করেন, যদিও তা ভুল। কিন্তু জাহমিয়া, মু’তাযিলা, রাফেযিয়াহ, কাদেরীয়াহগণ এমন বিদআতি যাদের বিদআত কুফরের পর্যায়ের। তাই এই সকল মতবাদের অনুসারীদের পেছনে আলিমগণ সালাত আদায় করাকে জায়েজ মনে করেন না।
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহিমাহুল্লাহ জাহমিয়াদের পিছনে সালাত না পড়ার ফতোয়া দিতেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি তাদেরকে নির্দিষ্টভাবে কাফের ফতোয়া দিয়েছেন। আবার এর অর্থ এটাও নয় যে, তিনি কোন বিদআতির পেছনে কখনো সালাত আদায় করতেন না। সামনে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা আসবে ইনশা আল্লাহ।
এমন বিদআতি, যার বিদআত এমন স্তরের না যে, তাকে কাফির বলা হয় - তাদের পিছনে নামাজ পড়ার হুকুম বিষয়ে আমি আলেমদের বিভিন্ন মতামত উল্লেখ করবো।
হাবীব ইবনে উমর আল-আনসারী বলেছেন, “আমার বাবা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন; তিনি বলেছেন, ‘আমি ওয়াসেলাহ ইবনুল আসকা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে কাদরিয়াদের পিছনে নামাজ পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি’। উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘তার পিছনে নামাজ পড়া যাবে না। তবে যদি কখনো আমি তার পিছনে নামাজ পড়তাম পুনরায় সেই নামাজ আবার পড়ে নিতাম’। (ই’তিকাদু আহলিস সুন্নাহ লিল আলকায়ী)
লেখক তার ই’তিকাদু আহলিস সুন্নাহ গ্রন্থে আরো বলেছেন যে; সাইয়ার আবুল হিকাম বলেন, “কাদরিয়াদের পিছনে নামাজ পড়া যাবে না। যদি কেউ তাদের কারো পিছনে নামাজ পড়ে ফেলে তাহলে পুনরায় তা আদায় করে নিবে”।
সালমান ইবনে শাবীব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন; মারওয়ান ইবনে মুহাম্মাদ আমাদেরকে বলেছেন, “আমি কাদরিয়াদের বিবাহ করার বিষয়ে মালেক ইবনে আনাসকে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন, অবশ্যই একজন মুমিন বান্দা একজন মুশরিক থেকে উত্তম”। আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে হাম্বল থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন: “আমি আমার বাবাকে বলতে শুনেছি: তিনি বলেন; কাদরিয়া এবং মু’তাযিলাদের পিছনে নামাজ পড়া যাবে না”।
সিওয়ার ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন; মুআয ইবনে মাআয আমার কাছে বর্ণনা করেছেন - তিনি বলেছেন, “আমি বনু সাআদ গোত্রের এক ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়েছি। তারপর আমার কাছে সংবাদ এসেছে যে, সে একজন কাদরিয়াহ। আমি চল্লিশ কিংবা ত্রিশ বছর পর ঐ নামাজ পুনরায় আদায় করেছি”।
আসলে আলোচনাটি একটু ব্যাখ্যার দাবি রাখে। আর তা হলো; বিদআতের প্রতি দাওয়াত প্রদানকারী ইমামের পিছনে নামাজ সহিহ হওয়ার বিষয়ে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন; “যদি মুক্তাদী জানতে পারে যে ইমাম সাহেব এমন বিদআতি যিনি বিদআতের দিকে দাওয়াত প্রদান করেন, অথবা জানতে পারেন যে ইমাম প্রকাশ্য ফিসকে লিপ্ত, কিন্তু সে ইমামে রাতেব তথা একজন স্থায়ী ও নিয়োগপ্রাপ্ত ঈমাম, তবে তার পেছনে সালাত আদায় করা জায়েজ হবে”।
উল্লেখ্য, তাদের অধিকাংশ ফতোয়াই ছিলো সেই যামানা হিসেবে। কেননা সে সময়ে (পুরো অঞ্চল জুড়ে) অল্প কিছু জামে মসজিদ থাকতো। তাই ফতোয়া ছিলো জুম’আ, ঈদ ও হজ্জের সময়ের সালাতের ইমামতি প্রসঙ্গে। তখন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত তো যে কেউ মহল্লার যে কোন মসজিদে আদায় করতো পারতো। (যেখানে ইমামে রাতিব তথা স্থায়ী ও নিযুক্ত ইমাম থাকতো না) তাই ফতোয়া চাওয়া হতো জামে মসজিদের ইমামতি বিষয়ে।
কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থা নেই। এখন প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। বর্তমানে একটি মহল্লায় কমপক্ষে পাঁচটি জামে মসজিদ পাওয়া যায় এবং যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়া সত্ত্বেও ছোট একটি শহরেই একাধিক ঈদগাহ দেখতে পাওয়া যায়। যদিও কিছু কিছু অঞ্চলে মাত্র একটি ঈদগাহ ও একটি জামে মসজিদ থাকে যেখানে সালাত অনুষ্ঠিত হয় এবং এজন্য তাদের ঈদ ও জুমার একাধিক জামাতও করতে হয়। (এজন্য এখন ফতোয়ার ক্ষেত্রে ওয়াক্তিয়া নামাজের ইমামতি প্রসঙ্গটিও থাকবে)
ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আর তিনিই হলেন বেতনভুক্ত ইমাম যার পিছনে নামাজ পড়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। যেমন, জুমার ইমাম, উভয় ঈদের ইমাম ও হজ্জের ইমাম ইত্যাদি। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল আলিমগণের মতে - মুক্তাদীগণ এই জাতীয় ইমামের পিছনে নামাজ পড়বেন। ইমাম আহমাদ, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আবু হানিফা ও অন্যান্যদের মাযহাব এটিই।
(বক্তব্যের শেষে তিনি বলেছেন,) ঐ ইমামের পিছনে মুক্তাদী সালাত পড়বে এবং এসব সালাত পুনরায় আদায় করবে না। কারণ, সাহাবায়ে কেরাম ফাসেক ইমামের পিছনে জামাতের সালাত ও জুমআর সালাত পড়তেন এবং তারা তা পুনরায় আদায় করতেন না।
তেমনি ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হাজ্জাজের পিছনে সালাত পড়তেন। ইবনে মাসউদসহ অন্যান্যরা ওয়ালিদ ইবনে আকাবার পিছনে নামাজ পড়তেন। আর ওয়ালিদ মদ পান করতো। এমনকি ওয়ালিদ মুসল্লিদের নিয়ে ফজরের সালাত চার রাকাত পড়েছেন! তারপর সালাত শেষে ওয়ালিদ বলেছেন, “আমি কি তোমাদের নিয়ে দু’রাকাতের বেশী পড়েছি”? জবাবে ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু (ঠাট্টা করে) বলেছেন, “আমরা আজ থেকে আপনার সাথে সর্বদা বেশীই পড়তে থাকবো”। এ কারণে তারা ওয়ালিদের বিষয়ে উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে অভিযোগ পেশ করেছিলেন।
সহিহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে যে - উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার পর এক ব্যক্তি লোকদেরকে সালাত পড়ান। পরবর্তীতে এক ব্যক্তি উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুকে প্রশ্ন করে বসল,[1] “আপনি তো জনসাধারণের ইমাম, আর যিনি সালাত পড়িয়েছেন তিনি ফেতনা সৃষ্টিকারীদের ইমাম”। তখন উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, “ভাতিজা! মানুষের সর্বোত্তম আমল হলো সালাত। যখন তারা সালাত সুন্দরভাবে আদায় করবে তখন তুমি তাদের সাথে সদাচরণ করো। আর সালাত খারাপভাবে আদায় করলে তাদের মন্দকে উপেক্ষা করে চলো”।
(অর্থাৎ উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে ঐ ইমামের পিছনে সালাত পড়তে বলেছেন)।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেছেন – “মুক্তাদীর পক্ষে যদি বিদআতি ছাড়া সহীহ আকিদা সম্পন্ন কারো পিছনে নামাজ পড়া সম্ভব হয় তবে তা নিঃসন্দেহে উত্তম। কিন্তু যদি কেউ বিদআতির পিছনে সালাত আদায় করে, তখন এই সালাত সহীহ হওয়ার ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের মাঝে মতবিরোধ আছে। ইমাম শাফেয়ী ও আবু হানিফার মাযহাব বলে তার নামাজ সহিহ হয়ে যাবে। তবে ইমাম মালেক ও আহমাদ রহিমাহুল্লাহ উভয়ের মাযহাবে মতবিরোধ ও ব্যাখ্যা রয়েছে”। (মাজমুউল ফতোয়া)
সাধারণত বিদআতির পিছনে নামাজ পড়া বিষয়ে আলোচনা দীর্ঘ। যেমন আমরা পূর্বে বলেছিলাম যে, বিদআতির পিছনে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে আইম্মায়ে কেরাম ও সালাফদের মত হলো - যেই বিদআতির বিদআত কুফুরের পর্যায়ে তার পিছনে নামাজ সহিহ হবে না। এটি একটি আম হুকুম। কিন্তু তারা যখন নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে আসেন এবং তার বিদআত কুফরি পর্যায়ে হওয়া সত্ত্বেও কোন তাবীলের কারণে তাকে কাফির বলা না যায়, তাহলে এমন ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায় করলে তা আদায় হবে। যেমন ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহ জাহমিয়াদের পেছনে সালাত আদায় জায়েজ মনে করতেন না। কিন্তু তিনিও কখনো কখনো জাহমিয়া ইমামের পেছনে সালাত আদায় করতেন। যেমন খলিফা মামুন ও খলিফা মু’তাসিম বিল্লাহ। কারণ তিনি তাদেরকে নির্দিষ্টভাবে কাফের বলতেন না। এ বিষয়ে উলামায়ে কেরাম ও শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ এর দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে।
ইতিপূর্বে আমি উল্লেখ করেছি যে, আপনারা চাইলে দরস শেষে আপনাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। এমনকি ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহ জাহমিয়া, রাফিযিয়া ইমাম, যাদের নির্দিষ্ট করে কাফির বলা হয় না, তাদের পেছনে সালাত আদায় করাকে বৈধ মনে করতেন।
তবে আমরা যার ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে জানবো যে (তাকে কাফির ফতোয়া দেয়া যাবে) তখন ঐ ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়া জায়েজ হবে না এবং সাধারণ মানুষকেও তার বিষয়ে সতর্ক করতে হবে। যখন তার বিদআতটা অন্য বিদআত থেকে অধিক গুরুতর হবে, অর্থাৎ যেখানে কোন ধরণের তাবীলের সুযোগ থাকবে না, যেমন মুলহিদ ও যিন্দিকের মতো ব্যক্তি। তখন তাদের ব্যাপারে আমভাবে ফতোয়া দেয়া হবে যে, তাদের পেছনে সালাত পড়া বৈধ হবে না।
যেই বিদআতির বিদআত কুফর পর্যায়ের না, তার পিছনে সালাত পড়া বিশুদ্ধ মতানুযায়ী জায়েজ এবং সেই সালাত পুনরায় পড়তে হবে না। উল্লেখিত মাসআলায় মতবিরোধ থাকলেও বিশুদ্ধ মত হলো, সেই সালাত পুনরায় পড়তে হবে না। তবে যদি সহীহ আকিদাসম্পন্ন ইমাম পাওয়া যায়, তখন সর্বোত্তম হলো তার পিছনে সালাত আদায় করা। বিদআতির পিছনে সালাত না পড়া চাই, বিদআতির বিদআত কুফুরের পর্যায়ে হোক বা না হোক।
আর যেই বিদআতির বিদআত কুফর পর্যায়ের, তবে তাকে নির্দিষ্টভাবে কাফের ফতোয়া দেয়া হয়নি এবং তাকে ছাড়া সহীহ আকিদা সম্পন্ন কোন ইমাম পাওয়া না যায়, তখন তার পিছনে সালাত পড়া জায়েজ। আলিমগণ পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরাম থেকে এমনটি বর্ণনা করেছেন।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ অন্যত্র এই আলোচনা উল্লেখ করে বলেন যে-
“এমন বিদআতি যার বিদআত কুফরের পর্যায়ের তবে তাকে নির্দিষ্টভাবে কাফের ফতোয়া দেয়া হয়নি, তার পেছনে সালাত আদায় করবে না। অর্থাৎ তার পেছনে জামাতে সালাত আদায় করবে না, এই কারণে যে, সে একজন বিদআতপন্থী”।
এই যে, জামাতে সালাত বর্জন করা হলো এর অর্থ হলো তার পেছনে না পড়ে অন্য মসজিদের সহীহ আকিদা সম্পন্ন কোন ইমামের পেছনে জামাতে সালাত আদায় করবে। এটাই উত্তম, যাতে করে সাধারণ মুসলিমগণ সেই বিদআতি ইমামের বিষয়ে সতর্ক হয়।
তেমনি মাসতুরুল হাল (তথা যার বিষয়টি অস্পষ্ট) ব্যক্তির পিছনে সালাত পড়ার মাসআলাও। এই ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো, আকিদা জানা নেই এমন ব্যক্তি সম্পর্কে তার আকিদা বিশ্বাস সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া ছাড়াই তার পিছনে সালাত পড়া জায়েজ হবে।
এখন যদি কেউ এসে বলে যে, “ভাই! সব জায়গায় একই সমস্যা। কারো এই সমস্যা তো কারো ঐ সমস্যা। সুতরাং আমি কি ইমামের আকিদা সম্পর্কে অবগত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন মসজিদেই সালাত পড়বো না?
তাহলে আপনি তাকে বলুন যে, “আপনি নিজেই বিদআতে লিপ্ত আছেন”। মূলকথা হলো - মাসতুরুল হাল যে ব্যক্তি, তার আকিদা সম্পর্কে খোজ খবর নেয়া ছাড়াই তার পেছনে সালাত আদায় করতে হবে - এটাই ফায়সালা। তবে যদি কারো বিষয়ে জানা যায় যে, সে এমন বিদআতে লিপ্ত, যার ফলে তাকে কাফির ফতোয়া দিতে হয়, এবং তাকফীরের সকল শর্ত পাওয়া যায়, সাথে মাওয়ানেয়ে তাকফীর না থাকে, তাহলে তার পেছনে সালাত আদায় করা জায়েজ হবে না।
উদাহরণস্বরূপ কোন ব্যক্তি নিজ গৃহ থেকে বের হয়ে বললো, আমি অমুক। তখন আমি এই ব্যক্তির ব্যাপারে শুধু ভালোই বলবো। আমি এই ব্যক্তির পিছনে সালাত পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবো। আর এতে কোন সমস্যাও নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে জামাত ছাড়বো না।
ইদানিং খুবই আশ্চর্যজনক একটি কথা আমরা শুনতে পেয়েছি। কিছু মানুষ বলছে যে, ‘বর্তমানে উপযুক্ত কোন ইমাম নেই তাই জামাতে সালাত আদায় করতে গেলে মুরতাদের পিছনেই সালাত আদায় করতে হবে। এই বলে তারা জুমা ও জামাতে অংশগ্রহণ ছেড়ে দিয়েছে। এধরণের কথা আমরা পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামের কারো মুখ থেকেই শুনিনি। তবে গোলযোগের সময়ে উলামায়ে কেরাম (আপাতত) জামাত ছাড়ার সুযোগ দিয়েছেন। এমন গোলযোগ - যা কখনো বন্ধ হওয়া অথবা হালকা হওয়ার আশা করা যায় না। এমন গোলযোগ – যে সময়ে নিজেদের প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকে। শুধুমাত্র অসুস্থতা ও প্রাণনাশের আশঙ্কা, এ’দু অবস্থায় মুসলমানের জন্য জামাত ছাড়ার সুযোগ রয়েছে। আর প্রাণনাশের আশঙ্কা না থাকলে তিনি নিরাপদ বলে গণ্য হবেন। এমতাবস্থায় তাকে অবশ্যই জামাতে সালাত আদায় করতে হবে।
বর্তমানে কোন কোন ভাইকে বলতে শুনেছি; ‘আমি জুমা জামাতে পড়বো না’। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম এধরণের বিভ্রান্তিপূর্ণ উক্তি তুমি কোথায় শুনেছ? উত্তরে সে বললো; তা আমি জানি না, অমুক ব্যক্তি এবং অমুক সাহাবী এমনটি করেছে।
যে সময়ে সাহাবায়ে কেরাম নিজেদের প্রাণনাশের আশঙ্কা করেন তখনো ‘মাহদাবিয়া’ জাতি ছাড়া তাদের কাউকে এমনটি বলতে ও এমন মূলনীতি নির্ধারণ করতে দেখা যায়নি। ‘মাহদাবিয়া’ জাতিকে আপনারা তো চিনেন। তারা হলো কুয়েতের বাসিন্দা হুসাইন ইবনে মাউসিল আল লাহীদীর অনুসারী। এরা বলে, মাহদী আগমন না করা পর্যন্ত কোন জুমা এবং কোন জামাত সংগঠিত হবে না। যেমনটা এই যুগের রাফেজিরাও বলে। যদিও তারা এখন ফকীহের (ইমামতির আকিদার) কর্তৃত্বের ভিত্তিতে জুমআ ও জামাতের সাথে সালাত আদায় করা শুরু করেছে।
[1] অর্থাৎ বিদ্রোহকারীদের মধ্য হতে এক ফেতনাবাজ সালাত পড়ালেন। তিনি সর্বদা সালাত পড়াতেন। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সহ জুমার সালাত পড়াতেন।
***********
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent